আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন থেকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তজাতিক ভাষা দিবস পালন করবে।ধণ্য হোক আমার ভাষা বাংল।

If you wish to change the world, change yourself first

বিশ্বের সব মাতৃভাষা সংরড়্গণে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। । বাংলা ভাষাকে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দ্রুত শুরুর লড়্গ্যে শিগগিরই আইন প্রণয়ন করা হবে- জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাতৃভাষার সম্মান রড়্গায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে এ ইনস্টিটিউট। একই সঙ্গে বিশ্বের সব মাতৃভাষা সংরড়্গণেও নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।

শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে এই সংক্রান্ত তথ্য দেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও শিড়্গা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান। ্ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়-য়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ একাধিক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ইনস্টিটিউট যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়ন করে এ ইনস্টিটিউটকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে যেতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে এটা নিয়ে কেউ খেলা খেলতে না পারে।

একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবেই এটি গড়ে উঠবে। সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান এর আগে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি খসড়া আইন করা হয়েছে। এটি পাস হলেই নির্ধারিত হবে এ ইনস্টিটিউটের কাজ কী হবে। দেশে ও দেশের বাইরে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারসহ ভাষা বিষয়ক গবেষণা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রধান কাজ হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে।

২০০১ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমান মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ভবনের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য আবারো উদ্যোগ নেয়। এক দশমিক তিন একর জমিতে নির্মিত ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণে একটি প্রকল্পের আওতায় (২০০১ সালে) প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ধরা হয় ১৯ কোটি ৪৯ লাখ। সে অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ভবনটি ১২ তলা ভিতের ওপর পাঁচতলা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আপাতত তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ হয়েছে।

এতে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও খুব দ্রুত শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, যারা নিজের ভাষার মর্যাদা দেয় না, সংস্কৃতির মর্যাদা দেয় না, তারা খাঁটি বাঙালি কিনা, বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী কিনা, সে প্রশ্নটা দেখা দেয়। তা না হলে এতো মহৎ একটা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হলো কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চারুকলা ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সেখানে স্থাপিত বিজয়স্তম্ভ, শিখা চিরন্তন, বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী- এসব মিলিয়ে এ এলাকাটাকে একটা সাংস্কৃতিক বলয় হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ইনস্টিটিউটে শুধু বাংলা নয়, সারা বিশ্বের যতো মাতৃভাষা আছে সবগুলোর চর্চা হবে।

এখানে ভাষার চর্চা হবে, সংগ্রহশালা হবে, বিভিন্ন ভাষার উপাদানগুলো সংগ্রহ করা হবে, গবেষণাও হবে। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি একদিন তার নিজের ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল। আজ তারা সারা বিশ্বের মাতৃভাষা রড়্গার দায়িত্ব নিয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল নকশা অনুযায়ী তা আরো সুন্দর করার আগ্রহের কথাও জানান শেখ হাসিনা।

২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টায় উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।