ফেইসবুক, ট্যুইটার ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে স্টোলেনবার্গ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য হল, “জনগণ কি ভাবে তা জানা আমার খুব দরকার, সরাসরি তাদের ভাবনা জানার জন্য ট্যাক্সির চেয়ে ভালো কোনো জায়গা নেই। ”
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নরওয়ের সাধারণ নির্বাচন। এ নিয়ে দেশটিতে জোর প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার এ পূর্ণ জোয়ারের মধ্যেই ভিডিওটি প্রকাশ করা হল।
জুন মাসের এক বিকালে নরওয়ের রাজধানী অসলোর এক ট্যাক্সি চালকের ছদ্মবেশ নেন প্রধানমন্ত্রী স্টোলেনবার্গ। বুকে একটি ব্যাজ লাগিয়ে পুরোপুরি ট্যাক্সি চালকের বেশে কালো একটি মার্সিডিজ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
তার ক্যাবটিতে গোপন একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল। এই ক্যামেরার সাহায্যে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়েছে।
যাত্রীদের মধ্যে একজনের মন্তব্য ছিল, “এ পাশ থেকে তাকে পুরোপুরি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো লাগছে।
”
ট্যাক্সিতে ওঠা এক বয়স্ক নারী প্রধানমন্ত্রীকে চিনে ফেলেন। সুযোগ পেয়ে অফিসের “বস”দের বেশি বেতন নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন তিনি। কর্তাদের লাখ লাখ টাকা বেতন নেয়া উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু একটা করার জন্য অনুরোধ জানান।
আট বছর গাড়ি চালননি, এ কথা চিনে ফেলা অপর এক যাত্রীর কাছে স্বীকার করেন তিনি।
নির্বাচনে হারলে তিনি ট্যাক্সি চালকের কাজ করবেন কিনা, ট্যাবলয়েড ভার্দেনস গ্যাং এর এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ট্যাক্সি চালক না হয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী হলেই এই দেশ ও নরওয়ের ট্যাক্সি যাত্রীরা বেশি সেবা পাবে।
”
ট্যাবলয়েডটির খবর অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেননি চালকবেশি প্রধানমন্ত্রী।
তবে নির্বাচনে স্টোলেনবার্গের বামপন্থী জোট পরাজিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সর্বশেষ নির্বাচনী জরিপেও তার অভাস পাওয়া গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।