আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রচর্চা যথাযথ নয়।

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল

স্বাধীন বাংলাদেশ, তথা সাবেক পুর্ব বঙ্গের মানুষদের জীবনধারা ছিল তার পুর্বের প্রতিবেশির চেয়ে সম্পুর্ণ আলাদা। বিশেষ করে ধর্মের ভিন্নতায় তাদের মধ্যে ছিল ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি পালনে আকাশ পাতাল ফারাক। যদি ভাষা ছিল অভিন্ন। তার উপর বৃটিশ আমলে লর্ড কর্নওয়ালিশের স্থায়ি বন্দোবস্তের কারণে কোলকাতা কেন্দ্রিক ভদ্দরনোকেরা হয়ে উঠেন পুর্ব বঙ্গের মানুষদের প্রভু। ইতিহাসের পাতায় পাতায় সেই অত্যচার নিপীড়ন আর শোষনের কথা লেখা আছে।

পুর্ব বঙ্গের মানুষদের রক্ত আর ঘামের অর্জনে পশ্চিম বঙ্গের ভদ্দরনোকেরা তখন কাব্যচর্চা আর মদ মেয়ে মানুষ নিয়ে ফুর্তিতে মজে ছিল। সেই সময়কারই কবি হলেন রবীন্দ্রনাথ। তবে তিনি তিনি সেই কালের মহা মেধাবি সেটাও মিথ্যে কিছু নয়। তবে তার অর্জন যাই হোক, আপন চিন্তা চেতনা আর গন্ডীর বাইরে যাবার মত উদারতা তার ছিল না। এমনকি বিশেষ করে বঙ্গভঙ্গ রোধের সময় তার মানষিক দৈন্যতা আর উগ্র ভাবে প্রকাশিত হয়।

আজ বঙ্গভঙ্গ রোধকে কেন্দ্র করে তার লেখা গানটি আমাদের জাতিয় সঙ্গিত হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে রীতিমত অপমান করে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করে তিনি প্রমান করেছিলেন যে তিনি বাঙ্গালিত্বের সার্বজনিনতায় বিশ্বাসি ছিলেন না। অথচ তাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কান্ডারি প্রমান করতে কত না চেস্টা ! রবী বাবু ছিলেন ব্রাক্ষ্ম সমাজের প্রতিনিধি। বৃটিশদের প্রাশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতায় সেকালে কোলকাতার বাবু সমাজে এর উত্থান এবং লালন পালন। যদিও মুসলমান অধ্যুসিত পুর্ব বঙ্গের মানুষদের প্রতি তার দৃস্টিভঙ্গির সাথে তৎকালিন চরম সাম্প্রদায়িক হিন্দু গোষ্ঠির ফারাক তেমন ছিল না।

আর এই রবীন্দ্রচর্চার আফিমের নেশায় বুদ হবার ফলে, একই ভাষাভাষির হলেও পশ্চিম বঙ্গের মানুষ হয়ে গিয়েছে নিবীর্য। আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে যে আমাদের মিডিয়া এবং সাংস্কৃতিক জগতে সেই নিবীর্যদের প্রতিনিধিরাই জাকিয়ে বসেছে। ফলে আমাদের একান্ত নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি বিকশিত হতে পারছে না। একারণেই এক ধরণের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসি ভুগছে পুরো জাতি। একারণেই "রবীন্দ্র চর্চা ইবাদতের সমতুল্য" বলেও সুফিয়া কামালরা পা পেয়ে যাচ্ছে।

বৃটিশদের একান্ত দাসানুদাস রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের স্বাধীনতার চেতনা বলেও গালে চড় খায়নি পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাইগ্রেটেড সৈয়দ হাসান ইমাম। আর অধুনা রবিন্দ্র শিল্পি মিতা হক তো এক কাঠি বেড়ে বলেই বসেছেন, যে ঘোমটা দেয়া, দাড়ি টুপি পড়া এই সব নাকি বাঙ্গালিত্বের পরিপন্থি। তাকে সমর্থন করতে গিয়ে যথেষ্ট পরিমানে নাকাল হতে হচ্ছে ব্রেন ড্যামেজড কিছু রবীন্দ্রপ্রেমিদের। যুক্তির কথা হলো, রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্র প্রেমিদের স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা। একাডেমিক পর্যায়ে উনার লেখা অবশ্য থাকতে পারে।

যেমনটি শেক্সপিয়ারের লেখা থাকে। ব্যাস ! এই বাইরে আদিখ্যতা দেখানোর সুযোগ নেই। এই রবীন্দ্র প্রেমিকদের প্রত্যেককেই দেখেছি (আমি যাদের চিনি, এবং তার সংখ্যাটিও কম নয়) তারা অল্প বিস্তর মানসিক সমস্যায় ভোগেন। ব্যাক্তিগত জীবনে চরম অস্থির এবং অসুখি। সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, এরা স্বাধীন বাংলাদেশের চেয়ে অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেন।

ভারতের চরম হিন্দুত্ববাদ এদের কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। আর সেই চরম সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার জন্য এরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এক বিখ্যাত রবী সংগিত শিল্পির কথা জানি। যিনি আবার পুরুষ প্রেমি। আর অন্তত দুজন মহিলার কথা জানি, যারা রবী রবী করতে করতে তাদের জীবন যৌবন সব ধবংস করে দিয়েছে।

আমরা পুর্ব বঙ্গ তথা স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। ভিনদেশি পুর্ববঙ্গকে ঘৃণা করা কোন লোক, যে যতই মহান হোক, তাকে নিয়ে উলম্ফনের কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। বাপ গরিব বপলে বড়লোক অন্য একটা মানুষকে বাপ ডাকা আর যাই হোক, আত্ম সম্মানবোধের পরিচায়ক নয়। এই সব রবীন্দ্র প্রেমিক প্রেমিকারা তো নিজেদের জীবন ধবংস করেছেই, অন্যদের জীবন ধবংস করতেও সদা তৎপর। ভারতের ফান্ডে চলা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এই জন্য কাজ করছে।

এই সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি কিংবা সামাজিকভাবে এক পাল অসুস্থ মানুষ তৈরির কারখানা এখানে চলতে দেয়া যায় না। হিন্দি ইংরেজি গানের মত বিনোদনের জন্য একান্ত নিজস্ব জগতে যে কেউ রবিন্দ্র সংগিত শুনতে পারেন। কিন্ত সেটাকে কেন্দ্র করে কাল্ট বানানোর কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না। চলুন রবি চর্চা নামের মানসিকভাবে অসুস্থ করার হীন প্রচেস্টা থেকে নিজে বাচি এবং আপনজনদেরও রক্ষা করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.