আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যাশেজ জিতল ইংল্যান্ড

অসাধারণ! অসাধারণ এক দিন দেখল টেস্ট ক্রিকেট।
২৯৯ রানের লক্ষ্য। চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনাররা দলকে এনে দিলেন ১০৯ রান। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ক্রিস রজার্স ৪৯ রান করে ফিরে গেলেও অস্ট্রেলিয়া চা-বিরতিতে (১২০/১) গেল ফুরফুরে মেজাজেই। তখন কে ভাবতে পেরেছিল ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে চতুর্থ দিনেই, আর এক ম্যাচ হাতে রেখে ইংল্যান্ড জিতে নেবে অ্যাশেজ।


ঘটল অভাবনীয় ব্যাপারটাই। উত্থান-পতনে ভরা নাটকীয় এক দিনের শেষে হাসল ইংল্যান্ডই। স্টুয়ার্ট ব্রডের দারুণ এক স্পেলে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে ইংলিশরা ম্যাচ ও অ্যাশেজ জিতে নিল বাড়িয়ে নেওয়া সময়ে। ৭৭ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২২৪ রানে। ৭৪ রানের হার।

টানা তৃতীয় অ্যাশেজে পরাজয়।
৯ ওভারের সেই স্পেলে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট ব্রডের। শুরু প্রিয় শিকার মাইকেল ক্লার্ককে দিয়ে। অসাধারণ এক বলে বোল্ড ক্লার্ক। এরপর একে একে বিদায় করলেন স্টিভেন স্মিথ, ব্র্যাড হাডিন, রায়ান হ্যারিস ও নাথান লায়নকে।

লায়নের আউটের পর একটু বিশ্রাম। আট ওভার পর ফিরে পিটার সিডলকে অ্যান্ডারসনের ক্যাচ বানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শেষকৃত্যও সারলেন ব্রড, পেলেন ইনিংসের ষষ্ঠ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২১ রানে ১১ উইকেট, ৬১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ম্যাচসেরা বোলিং চেস্টার-লি-স্ট্রিটেই করলেন ব্রড।
অথচ দিনের শুরুটা নিজের করে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলার রায়ান হ্যারিস। প্রায় নাগালের বাইরে চলে যাওয়া টেস্টটা এনে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ধরাছোঁয়ার মধ্যে? আগের দিন ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন।

কাল নতুন বল হাতে হ্যারিসের কাছে আত্মসমর্পণ করল ইংল্যান্ডের মিডল আর লোয়ার অর্ডার। শেষ পর্যন্ত তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ২৮-২-১১৭-৭, যেটা দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বড় লিডের স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছে ৩৩০ রানে।
চতুর্থ দিনটা যখন শুরু হয়, ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ২৩৪। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩২ রানের লিড ঘুচিয়ে অ্যালিস্টার কুকের দল এগিয়ে ২০২ রানে। টিম ব্রেসনানকে সঙ্গে নিয়ে জেঁকে বসেছেন অ্যাশেজের ‘সেঞ্চুরিম্যান’ হয়ে ওঠা ইয়ান বেল।

কুকের চোখে বড় লিডের স্বপ্ন। নতুন বল পাওয়ার পর সেটা হ্যারিসের হাতে তুলে দিতে তাই একটুও দ্বিধা করেননি মাইকেল ক্লার্ক।
বেল ফিরে গেলেন হ্যারিসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে, আগের দিনের ১০৫ রানের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে। পরের বলেই ম্যাট প্রায়রের স্টাম্প লন্ডভন্ড। স্টুয়ার্ট ব্রড এসে কোনোরকমে হ্যাটট্রিক ঠেকালেন।

কিন্তু পরের ওভারের শেষ বলেই স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ হয়ে তিনিও হ্যারিসের শিকার। ১১ বলে ৩ উইকেটের এই বিধ্বংসী স্পেলকে দিনের শেষে কে আর মনে রেখেছে? তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।