আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

NCTB Book ) তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে। -------হাসান হাফিজ আরবী আমার পাঠ্য বিষয় ছিল না, কিন্তু আমার এক আত্মীয় খুব পীড়াপীড়ি করল তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্ম বইয়ের ১ম ও ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরি করে দিতে। কথায় আছে না,"পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে"-শত ব্যস্ততার মাঝে তাই করে দিতে হলো । আর আপনাদের সাথে তা শেয়ার করলাম, যদি কারো উপকারে আসে। আমার জন্য দোয়া করবেন।

************************************************** ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা তৃতীয় শ্র্রেণি দ্বিতীয় অধ্যায়--------------------এবাদত সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ১) রুকুর তসবি কী? উত্তর ঃ সালাতে সূরা আল্-ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ার পর আল−াহু আকবার বলতে বলতে রুকূ করতে হয়। রুকূতে তসবিহ পাঠ করতে হয়। রুকূর তসবিহ - সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম-( ) অর্থ- আমার সুমহান পালনকারীর পবিত্রতা ঘোষনা করছি। ২) সিজদার তসবি কী? উত্তর ঃ সালাতে সূরা আল্-ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ে রুকূ করার পর সিজদা করতে হয়। সিজদাতে তসবিহ পাঠ করতে হয়।

সিজদার তসবিহ - সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা-( ) অর্থ- আমার সুমহান পালনকারীর পবিত্রতা ঘোষনা করছি। ৩) সালাত কয় ওয়াক্ত? উত্তর ঃ আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল- সালাত । দিনে-রাতে পাঁচ বার সালাত আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত হল- ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা। ৪) ওযুর ফরয কয়টি? উত্তর ঃ আমরা জানি মহান আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল সালাত (নামায)।

সালাত পড়ার আগে পাক-পবিত্র হতে হয়। পাক-পবিত্র হওয়ার একটি উপায় হল উযূ। উযূর ফরয ৪টি যথা : ১. মুখমণ্ডল ধোয়া। ২. কনুইসহ দুই হাত ধোয়া। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসহ করা।

৪. গিরাসহ দুই পা ধোয়া। ৫) ইসলামের ভিত্তি কয়টি? উত্তর ঃ মহানবি (স) বলেছেন ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। যথা : ক) ঈমান (কালিমা), খ) সালাত, গ) যাকাত, ঘ) সাওম, ঙ) হজ বর্ণনামূক প্রশ্নোত্তর: ১) এবাদত কাকে বলে ? উদাহরণসহ লেখ। উত্তর ঃ এবাদত: এবাদত অর্থ গোলামি করা, আমল করা, কাজ করা। আল্লাহর হুকুম মানা, তাঁর কথামত ও রাসূলের দেখানো পথে চলাকে এবাদত বলে।

প্রধান এবাদত হল : সালাত (নামায), যাকাত, সাওম (রো যা), হজ। এছাড়া আরও ইবাদাত আছে। যেমন- সালাম দেওয়া, আব্বা-আম্মার কথা শোনা, জীবে দয়া করা, সৃষ্টির সেবা করা, রোগীর যত্ন নেয়া, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়া, ইয়াতীম-মিসকিনকে সাহায্য করা, সত্য কথা বলা, ভাল কাজে আদেশ ও মন্দকাজে নিষেধ করা ইত্যাদি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা তাঁর বান্দা।

তাঁর হুকুম মানলে ও তাঁর রাসূলের দেখানো পথে চললে তিনি খুশি হন। ইবাদাত করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। তাই মহান আল্লাহর হুকুম মানা, তাঁর রাসূলের দেখানো পথে চলা আমাদের কর্তব্য। আমরা আল্লাহর হুকুম মানব, তাঁর ইবাদাত করব। ২) ইসলামের ভিত্তি কয়টি ও কী কী ? উত্তর ঃ মহানবি (স) বলেছেন ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।

যথা : ক) ঈমান (কালিমা), খ) সালাত, গ) যাকাত, ঘ) সাওম, ঙ) হজ সালাত ও সাওম ধনী-গরিব সকলের জন্য ফরয। ফরয অর্থ অবশ্য কর্তব্য, অবশ্য পালনীয়। যাকাত ও হজ কেবলমাত্র ধনীদের জন্য ফরয। ৩) পাক সাফ থাকলে কী কী উপকার হয়? উত্তর ঃ কুরআন মাজীদে আছে- “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের ভালবাসেন”। আমাদের মহানবি (স) বলেছেন- “পাক-পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।

” পেশাব-পায়খানা, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি নাপাক জিনিস হতে পাক সাফ থাকাকেই পাক-পবিত্রতা বলে। আমাদের শরীর ও কাপড়- চোপড় পাক সাফ রাখা দরকার। শরীর ও কাপড়- চোপড় পাক-সাফ বা পবিত্র না থাকলে মন ভাল থাকে না। নানারকম অসুখ-বিসুখ হয়। যারা পাক-পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে মহান আল্লাহ তাদের ভালবাসেন।

সবাই তাদের ভালোবাসে। অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে তারা রক্ষা পায়। পেশাব-পায়খানা লাগলে কাপড় নাপাক হয়। শরীর নাপাক হয়। শরীর, কাপড় নাপাক হলে পানি দিয়ে তা ধুয়ে পাক-সাফ করতে হয়।

আমরা-আল্লাহর কথা মানব, পাক-সাফ থাকব। ৪) হাত - পা পরিষ্কার রাখার উপকারিতা কী? উত্তর ঃ আমাদের হাত-পা মহান আল−াহর বড় দান। হাত-পা আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংগ। তাই হাত-পা পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী । হাত ও পায়ের নখ বড় হলে না কাটলে এর ভিতর ময়লা জমে থাকে।

এই ময়লা হাত দিয়ে খাবার খেলে ময়লা আমাদের পেটে যেতে পারে। ফলে পেটের অসুখ হতে পারে । কিন্তু হাত-পায়ের নখ ছোট রাখলে, খাওয়ার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিলে নানারকম অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমাদের মহানবি (স) সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতেন। হাত ও পা পাক-সাফ রাখতেন।

সপ্তাহে অন্তত এক বার নখ কাটতেন। যারা পাক-সাফ থাকে মহান আল্লাহ তাদের ভালবাসেন। আমরা নিয়মিত নখ কাটব, হাত-পা পরিষ্কার রাখব কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করব আল−াহ আমাদের ভালোবাসবেন। ৫) চোখ পরিষ্কার রাখার উপায় কী? উত্তর ঃ আমাদের চোখ দুটি মহান আল−াহর বড় দান। এই চোখ দিয়েই আমরা দেখি, কুরআন মাজীদ পড়ি, বই পড়ি, খাবার খাই, রাস্তায় চলি ।

যাদের চোখ নেই তারা কিছুই দেখতে পায় না। তাদের অনেক কষ্ট। তাই আমরা আমাদের চোখের যত্ন নেব। যত্ন না নিলে চোখ খারাপ হয়ে যাবে। কিছুই দেখতে পাব না।

লেখাপড়াও করতে পারব না। চোখে কখনো হাত লাগাব না । কারণ, হাতে ময়লা থাকতে পারে । রোগ জীবানু থাকতে পারে। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।

আমাদের মহানবি (স) চোখের ব্যাপারে খুব সাবধান থাকতেন। ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে। চোখের পিঁচুটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। সারাদিন কত ধুলোবালি চোখে এসে পড়ে।

নিয়মিত উযূ করে সালাত আদায় করলে চোখ পরিষ্কার থাকে। চোখের অসুখ থেকে বাঁচা যায়। আমরা নিয়মিত উযূ করব, সবুজ শাকসবজি খাব, চোখ-মুখ পরিষ্কার রাখব। ৬) ওযুর নিয়ম লিখ। উত্তর ঃ আমরা জানি, মহান আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল সালাত (নামায)।

নামায পড়ার আগে পাক-পবিত্র হতে হয়। পাক-পবিত্র হওয়ার একটি উপায় হল উযূ। প্রতি দিন অন্তত পাঁচ বার আমাদের উযূ করতে হয়। আমাদের মহানবি (স) নামায আদায়ের জন্য উযূর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আর বলেছেন- “ সালাত বেহেশতের চাবি এবং পবিত্রতা সালাতের চাবি।

” ওযুর নিয়ম ঃ সব কাজেরই নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে কাজ করলে সুফল পাওয়া যায়। উযূ করারও নিয়ম আছে। আমাদেরকে নিয়ম মেনে উযূ করতে হবে। উযূতে পর পর কতকগুলো কাজ করতে হয়।

যেমন, ১. কবযি পর্যন্ত দুই হাত ধোয়া। ২. কুলি করা। ৩. পানি দিয়ে নাক সাফ করা। ৪. সম¯ত মুখ ধোয়া। ৫. কনুইসহ প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত ধোয়া।

৬. মাথা, কান ও ঘাড় মাসহ করা। ৭. গিরাসহ প্রথমে ডান ও পরে বাম পা ধোয়া। ৭) ওযুর ফরয কয়টি ও কী কী ? উত্তর ঃ মহান আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল সালাত (নামায)। নামায পড়ার আগে পাক-পবিত্র হতে হয়। পাক-পবিত্র হওয়ার একটি উপায় হল উযূ।

প্রতি দিন অন্তত পাঁচ বার আমাদের উযূ করতে হয়। ওযুর ফরয ঃ উযূতে ৪টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। এদের কোন একটি বাদ গেলে উযূ হয় না। এগুলোকে উযূর ফরয বলে। ফরয অর্থ অবশ্য কর্তব্য বা পালনীয়।

উযূর ফরয ৪টি যথাbr /> ১. মুখমণ্ডল ধোয়া। ২. কনুইসহ দুই হাত ধোয়া। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসহ করা। ৪. গিরাসহ দুই পা ধোয়া। উযূর ফরযগুলো সম্পর্কে আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

উযূর জন্য যে যে অঙ্গ ধোয়া ফরয সেগুলোর কোন অংশ যেন শুকনো না থাকে। শুকনো থাকলে উযূ হবে না। উযূ না হলে নামায হবে না। বাড়িতে আমাদের আব্বা-আম্মা উযূ করেন। শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম সাহেব ভালভাবে উযূ করেন।

আমরা তাঁদেরকে দেখে ভালভাবে উযূ করা শিখব। ৮) দিনে ও রাতে কয়বার সালাত আদায় করতে হয়? ওয়াক্ত গুলোর নাম লিখ। উত্তর ঃ মহান আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদাত হল সালাত (নামায)। দিনে-রাতে পাঁচ বার সালাত আদায় করতে হয়। ওয়াক্ত মানে সময়।

সময়মত সালাত আদায় করা আল্লাহর হুকুম। সময়মত আদায় না করলে সালাত হয় না। মহান আল্লাহ বলেন- “সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য ফরয। ” মহানবি (স) বলেছেন- সুন্দর ও সঠিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে। সঠিক সময়ে সালাত আদায় করতে হলে আমাদের সালাতের ওয়াক্তগুলো চিনতে হবে।

নিম্নে সালাত ও সালাতের ওয়াক্ত গুলোর বর্ণনা দেয়া হল ঃ সালাতের নাম ওয়াক্ত ফজর( ) রাত শেষে পূর্ব আকাশে আলো দেখা দিলে ফজর শুরু হয়। সূর্য উঠার পূর্ব মুহূর্তে তা শেষ হয়। যোহর( ) দুপুরে সূর্য পশ্চিমে নামতে আরম্ভ করলে যোহর শুরু হয়। আর কোন কাঠির ছায়া দ্বিগুণ হলে তা শেষ হয়। আসর ( ) যোহর শেষ হওয়ার সাথে সাথে আসর শুরু হয়।

সুর্য ডোবার পূর্বে তা শেষ হয়। মাগরিব( ) সূর্য ডোবার পর মাগরিব শুরু হয়। পশ্চিম আকাশে আলোর লাল আভা মুছে যাওয়ার সাথে সাথে তা শেষ হয়। ইশা ( ) মাগরিব শেষ হওয়ার পর ইশা শুরু হয়। ফজরের পূর্ব পর্যন্ত ইশার সালাতের সময় থাকে।

তবে দুপুর রাতের পূর্বে ইশার সালাত পড়া ভাল। আমরা আল্লাহর হুকুম মানব, সময়মত সালাত আদায় করব। ৯) কীভাবে তহরিমা বাঁধতে হয়? উত্তর ঃ সালাত মহান আল্লাহর বড় ইবাদত। সালাত পড়ার একটি নিয়ম আছে। নিয়মমত না পড়লে সালাত হয় না।

মহানবি (স) আমাদের নামাযের নিয়ম শিখিয়েছেন। আমরা প্রথমে উযূ করে পাক-পবিত্র হব। এরপর কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে পাক জায়গায় দাঁড়াব। নিয়ত করব। নিয়ত অর্থ মনের ইচ্ছা।

আরবিতে নিয়ত বলা জরুরি নয়। ছেলেরা দুই হাত কান বরাবর উঠাবে আর মেয়েরা কাঁধ বরাবর উঠাবে এবং বলবে - আল্লাহু আকবার ( ) অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। এরপর হাত নামিয়ে নাভি বরাবর বাম হাতের ওপর ডান হাত বাঁধবে । মেয়েরা হাত বাঁধবে বুকের ওপর। নামাযের শুরুতে এভাবে আল্লাহু আকবার বলাকে তকবিরে তহরিমা বলে।

তকবিরে তহরিমা বাঁধার পর কথাবার্তা বলা যায় না। এদিক- সেদিক তাকান যায় না। হাসাহাসি করা যায় না। তকবিরে তহরিমা ছাড়া নামায হয় না। তকবিরে তহরিমা ফরয কাজ।

১০) রুকু কীভাবে করতে হয়? আমরা জানি, সালাতের শুরুতে নিয়ত করতে হয়। আল্লাহু আকবার বলে তহরিমা বাঁধতে হয়। এরপর পড়তে হয়-সানা, আ’ঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, সূরা আল্ ফাতিহা ও অন্য যে কোনো একটি সূরা বা তার অংশবিশেষ। এরপর রুকূ করতে হয়। রুকূ না করলে সালাত হয় না।

রুকূ করার নিয়ম সালাতে সূরা আল্-ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ব। এরপর আল্লাহু আকবার বলতে বলতে মাথা ঝুঁকাব। মাথা ও পিঠ ঝুঁকিয়ে দুই হাতে দুই হাঁটু শক্তভাবে ধরব। মাথা ,পিঠ ও কোমর এক বরাবর রাখব। কনুঁই পাজর থেকে ফাঁক করে রাখব।

এরপর রুকূর তসবিহ পাঠ করব। রুকূর তসবিহ - সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম-( ) অর্থ- আমার সুমহান পালনকারীর পবিত্রতা ঘোষনা করছি। রুকূ থেকে সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা ( )বলতে বলতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়। এরপর দাঁড়ানো অবস্থায় বলতে হয় “রাব্বানা লাকাল্ হাম্ দ”( ) অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই প্রশংসা করছি। ১১) সিজদা করার নিয়ম বল।

উত্তর ঃ আমরা জানি, সালাতের শুরুতে নিয়ত করতে হয়। আল্লাহু আকবার বলে তহরিমা বাঁধতে হয়। এরপর পড়তে হয়-সানা, আ’ঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, সূরা আল্ ফাতিহা ও অন্য যে কোনো একটি সূরা বা তার অংশবিশেষ। এরপর রুকূ করতে হয়। রুকূর পরে সিজদাহ করতে হয়।

সিজদাহ না করলে সালাত হয় না। সিজদাহ করার নিয়ম সালাতে সূরা আল্-ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ে রুকূ করতে হয়। রুকূ থেকে সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা ( )বলতে বলতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়। এরপর দাঁড়ানো অবস্থায় “রাব্বানা লাকাল্ হাম্ দ”( ) বলার পর আল্লাহু আকবার বলতে বলতে সিজদায় যেতে হয়। সিজদায় উভয় হাঁটু জায়নামাযে রাখতে হয়।

এরপর দুই হাত এবং দুই হাতের মাঝে নাক ও কপাল। সিজদাতে তসবিহ পাঠ করতে হয়। সিজদাতে তাস্ বীহ পড়া সুন্নাত। সিজদার তসবিহ - সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা-( ) অর্থ- আমার সুমহান পালনকারীর পবিত্রতা ঘোষনা করছি। আমরা বাড়িতে আব্বা-আম্মাকে রুকূ-সিজদাহ করতে দেখি।

শিক্ষক, মসজিদের ইমাম সাহেবকেও দেখি। তাঁদের দেখে রুকূ করা শিখব। তাঁদের দেখে সিজদাহ করা শিখব। ১২) সালাতের নৈতিক উপকার কী? উত্তর ঃ আমরা সালাতের আজান শোনামাত্রই সব কাজকর্ম, খেলাধুলা ছেড়ে দিব। পাক-পবিত্র পানি দিয়ে অযু করব।

পাক-সাফ কাপড় পরে মসজিদে যাব। মসজিদে সবাই সোজা হয়ে কাতার করে দাঁড়াব। সবাই ইমামের সাথে সালাত আদায় করব। এভাবে সালাত আদায় করলে মানুষের মনে আল্লাহ তায়ালার ভয় সৃষ্টি হয়। এই ভয় থেকে মানুষ সকল অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে ।

চরিত্রবান হয়। প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে জামাত হয়। পাড়ার, মহল্লার লোকজন একসাথে সালাত আদায় করেন। এতে পরস্পর দেখা-সাক্ষাত হয়, কুশলাদি জানা যায়। সুখে-দুঃখে একে অন্যের সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ হয়।

সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মমতাবোধ ফিরিয়ে আনে। গড়ে তোলে একটি শ্রেণীহীন, বৈষম্যহীন সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ, গড়ে তোলে সামাজিক ঐক্য। ****************************************** তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ১ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ১ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।