আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাইব্যুনালকে ‘ধন্যবাদ’ সালাউদ্দিন কাদেরের

বুধবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কাঠগড়ায় থাকা এই বিএনপি নেতা বলেন, “আমি একটু বলতে চাই যে, আমি ট্রাইব্যুনালের ধৈর্যের জন্য কৃতজ্ঞ। আমাকে দয়া করার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
“শুধু আপনাদের নয়, প্রসিকিউশনকেও ধন্যবাদ। রায় যা দেয়ার তা তো দেবেনই। তারপরও আমিসহ অন্য সবার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করেছেন, এজন্য আপনাদের কাছে আমি গ্রেটফুল।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন তখন বলেন, “আপনার যতটুকু অধিকার, তা আমরা নিশ্চিত করেছি। আমরা ধৈর্য ধরেছি, কিন্তু কারো প্রতি দয়া দেখাইনি। ”
বাকপটু হিসেবে পরিচিত এই সংসদ সদস্য তখন বলেন, “সেটা ঠিক, কিন্তু আমি এটাকে আপনাদের কাছ থেকে গিফট বলে মনে করছি। ”
এরপর প্রসিকিউটরদের সঙ্গেও কথা বলেন সালাউদ্দিন কাদের; হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে।
দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রায় যা হওয়ার হবে, কিন্তু আমরা ভদ্রমানুষ একজন আরেকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করব, এটাই তো স্বাভাবিক।


সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতও মেলান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর গত বছরের ৪ এপ্রিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
চট্টগ্রামের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। স্বাধীনতার পর এ নিয়ে মামলাও হয়।

এছাড়া ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণ, হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।  

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।