আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিউইয়র্ককাণ্ডের পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মাহবুবুল হক শাকিল



কূটনীতিক শাহনাজ গাজীকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জেরে দারুণ ভেঙে পরেছিলেন মাহববুল হক শাকিল। প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ওই ঘটনায় এতটাই সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছিলেন যে এক পর্যায়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিল ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির পদটিও ছাড়তে হয় তাকে।

তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই ঘটনার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে এবছরের শুরুতে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন খোলা হলে শাহনাজ গাজীকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ধারণা করা হয় মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সরকারের আরও প্রভাবশালীদের সঙ্গে দ্রুত সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন শাহনাজ গাজী। অবশ্য সরকারের একজন মন্ত্রী মর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে শাহনাজ গাজীর আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শাকিলের কোনো দায় ছিল না এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আরও উচ্চতর পদে (বিশেষ সহকারী, মিডিয়া) নিয়োগ দেন। কিন্তু এর মধ্যে শাকিলের কর্মজীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যায়। জানা গেছে, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে আইএমএফের সাবেক প্রধান স্ত্রস কানের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে প্লেনে উঠিয়ে দেয়। নিউইয়র্কের ওই হোটেলেই মাহবুবুল হক শাকিলের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

অথচ তিনি ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় নিউইয়র্ক ছাড়েন। তাই তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ যদি সত্যি হতো তাহলে তাকেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফিরতে বাধ্য করা হতো বলে তার ঘনিষ্ঠরা মনে করেন। বিস্ময়কর হল নিউইয়র্কে শাকিল ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছেন এমন অভিযোগের পর নিশ্চুপ ছিলেন শাহনাজ গাজী। কিন্তু ওই ঘটনায় পর গুলশানের অভিজাত সামদাদো রেস্টুরেন্টে শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। সামদাদো রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক বরকতুল্লাহ ফারাজী বাবুল ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফো ডটকম জানান, শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডাম বহুবার আমাদের রেস্টুরেন্টে এসেছেন।

পত্র-পত্রিকায় তাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরও বেশ কয়েকবার তারা ওই রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে গিয়েছেন এবং সময় কাটিয়েছেন বলে জানান তিনি। ওই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী আলবার্ড ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফো ডটকম বলেন, ‘ বিভিন্ন সময় আমি শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডামের হাস্যজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি তুলে দিয়েছি। ’ কুংমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, ‘আত্মহত্যার প্রচেষ্টা আইননত দণ্ডনীয় অপরাধ। এরকম ঘটনা যিনি ঘটানোর চেষ্টা করেন তিনি মানসিক রোগীও বটে। উচিত হবে তাকে মানসিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া।

আর কখন, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে আমি তার সঙ্গে গিয়েছি, খেয়েছি তা এখন বলা সম্ভব নয়। আর তার সঙ্গে ছবিগুলো জোর করে তোলা কি-না বা সাজানো কি-না সেটিও দেখতে হবে ‘ অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহনাজ গাজী বলেন, ‘নিউইয়র্ককাণ্ডের পর কার ক্ষতি হয়েছে ,কার লাভ হয়েছে এটা সরকারের সংশ্লিষ্টরা পারফরমেন্স দেখে বিচার করেছেন। আমি কোনো পাবলিক ফিগার নই যে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানাবো। তবে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম। ’ যোগাযোগ করা হলে মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের ঘটনায় আমি পুরোপুরি নির্দোষ ছিলাম।

এটা সত্য যে ওই কূটনীতিকের সঙ্গে আমার ভাল বন্ধুত্ব ছিল। ’ প্রসঙ্গত, চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সুনাম রয়েছে। বিগত বিএনপি আমলে তিনি লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন। - See more at: Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।