আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব শিশুই জিনিয়াস হতে পারে ।

আপনার সন্তানই হবে আগামী দিনের জিনিয়াস

সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে মা বাবার উদ্বেগের শেষ নেই। সব মা-বাবাই সন্তানকে জীবনের সর্বক্ষেত্রেই সেরা দেখতে চান। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। মনোযোগ, মেধা, স্মরণশক্তি সবার একরকম হয় না। ফলে পিছিয়ে পড়তে হয় প্রতিযোগীতায়।

এ অবস্থার কি পরিবর্তন সম্ভব ? মেধা বিকাশের কি বিশেষ কোন প্রক্রিয়া আছে ? গ্রীষ্মমন্ডলীয় কিংবা শীতপ্রধান এলাকা, শেতাঙ্গ কিংবা কৃষ্ণাঙ্গ, ছেলে অথবা মেয়ে-শিশু মানেই সুন্দর বিকাশের জন্য দরকার পরিচর্যার। শিশুর জন্য নিঃসন্দেহে সব পরিচর্যার সেরা পরিচর্যা হলো মেধার পরিচর্যা। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এটা প্রমানিত সত্য যে, একজন শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং উন্নয়নের শুরুটা হয় তার বয়স যখন ৪-৬ বছর তখন থেকে এবং এই বিকাশের ধারাটি অব্যাহত থাকে ১৪ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ একজন মানুষের গঠনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টাই হলো ৪ থেকে ১৪ বছর। প্রকৃতপক্ষে, একজন শিশু আগামী দিনগুলোতে সঠিক যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারবে কিংবা নিজের পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবে কি-না, তা নির্ধারিত হয়ে যায় এই সময়টাতেই।

নিছকই একটি ভাল স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে পারলেই এবং সাবজেক্ট ওয়াইজ প্রাইভেট টিউটরের ব্যবস্থা করলেই একজন শিশু কাঙ্খিত উপায়ে বেড়ে না-ও উঠতে পারে। বরং কখনও কখনও অতিরিক্ত চাপ প্রদানের ফলে সে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারে। ইদানিং এই অভিযোগও খুব পষ্টভাবে উঠছে যে, অতিরিক্ত সিলেবাস পড়তে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কল্পনাশক্তি এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা লোপ পেতে বসেছে। ছাত্রছাত্রীরা আসলে তাদের মানবীয় গুণাবলি থেকে দূরে সরে গিয়ে কম্পিউটারের মতোই নিজেদের মধ্যে ডাটা প্রসেস করে রাখছে বলে অভিযোগ করছেন অনেক শিক্ষাবিদ। শিশুরা যাতে স্টেরিওটাইপড না হয়ে আপন মেধার শক্তিতে বিকশিত হতে পারে, সেজন্য দরকার ওদের ভেতরের বন্ধ দড়জাগুলো খুলে দেয়া, প্রয়োজন ওদের মস্তিষ্কের নিউরনের অনুরণন, দরকার কিছু কৌশল রপ্ত করা এবং ভেতরের সম্ভাবনাগুলোকে জাগিয়ে তোলা।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী রজার স্পেরি এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মস্তিষ্ক গবেষক ড. রবার্ট অর্নেস্টিন তাদের গবেষনায় দেখিয়েছেন, মানবমস্তিষ্কের সেরিব্রাল ডান ও বাম এই দুইভাগে বিভক্ত। মস্তিষ্কের বাম অংশ নিয়ন্রণ করে শিক্ষা, সংখ্যাতত্ব, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, স্মৃতি ইত্যাদি আর ডান অংশ মানুষের রঙ চেতনা, সঙ্গীত, কল্পনা, বোধবুদ্ধি, ছন্দজ্ঞান এবং সর্বোপরি চিন্তাপদ্ধতিকে সঞ্চালিত ও প্রভাবিত করে। আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের ডান অংশটাই বেশি ক্রিয়াশীল হয়। শিশু মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য UCMAS একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি হিসাবে সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। UCMAS (Universal Concept of Mental Arithmetic System) একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদ্ধতি।

যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডাসহ বর্তমান বিশ্বের ৪৪টি দেশে বিভিন্ন লার্নিং সেন্টারের মাধ্যমে শিশুর মেধা বিকাশের এই পদ্ধতি বিশেষভাবে ফলপ্রসু হয়েছে। বিশেষত এই পদ্ধতি অ্যাবাকাস মেন্টাল অ্যারিথমেটিক শিশুর মধ্যে থেকে দুর করছে অংকভীতি। Mental Arithmetic যোগ- বিয়োগের একটি মৌলিক জ্ঞান। অল্প বয়সে অধিক পরিশ্রমে যেতে চায় না শিশুরা। কিন্তু এই বয়সেই যদি তাদের মেন্টাল অ্যারিথমেটিক রপ্ত করানো যায়, তাহলে তারা শুধু প্রাইমারি পর্যায়ের শিক্ষাক্রম সহজেই অতিক্রম করতে পারবে না বরং গনিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের মতো বিষয়ও তাদের কাছে সহজ মনে হবে।

এককথায় UCMAS Abacus এবং Mental Arithmetic যুগপৎ মস্তিষ্কের সব অংশে ক্রিয়া করে শিশুর শিখন প্রক্রিয়াকে সৃজনশীল মেধায় নিযে যাবে। ফলে শিশুর মনোযোগ, স্মরণশক্তি, কল্পনাশক্তি, উপস্থিত বুদ্ধি, আত্মবিশ্বাস ও সৃজনশীলতা বাড়বে। শিশুর মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য বাংলাদেশে ইউসিমাস সেন্টার চালু করা হয়েছে; মোবাইল নং- ০১৭১১ ৬৬৬৬৮৮, এখানে শিশুরা যা শিখবে। অ্যাবাকাস পদ্ধতি: ব্রেনের দুটি অংশকেই একত্রে এবং সর্বাধিক সক্রিয় করবে। ফ্লাশ কার্ড প্রশিক্ষণ: স্মৃতিশক্তি, সৃজনশীলতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এক নজর দেখে বা একবার শুনে শিশু অনেক কিছু মনে রাখতে পারবে। মেন্টাল অ্যারিথমেটিক: ব্রেনের কর্মদক্ষতাকে করে তুলবে দ্রুততর ও নির্ভুল। শিশু বড় বড় যোগ-বিয়োগ, গুন-ভাগ অতি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করতে পারবে। কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ: ব্রেনের ডান অংশের শক্তিকে অধিকতর কার্যকর করবে। শিশুর দ্রুত চিন্তা বা কল্পনা করার অথবা একসঙ্গে অনেক বিষয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়বে।

যে কোন কিছুকে গভীর ও নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবে। দ্রুত লিখন পদ্ধতি: শিশুকে দ্রুত ও নির্ভূলভাবে লিখতে শেখাবে। আত্মনির্ভরশীলতা: শিশু তার নিজের কাজ নিজেই করতে শিখবে। সেই সঙ্গে সমান পারদর্শিতা অর্জন করবে স্কুলের অন্যান্য পাঠ্য বিষয়েও।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।