আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিরিয়াব: মধ্যযুগের এক বিস্ময়কর পলিম্যাথ

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
জিরিয়াব (৭৮৯-৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ ) ছিলেন মধ্যযুগের একজন মুসলিম পলিম্যাথ; ইংরেজি অভিধানে ‘পলিম্যাথ’ শব্দটির ব্যাখ্যা করেছে এভাবে: a person of great learning in several fields of study. বস্তুত, জিরিয়াব ছিলেন একাধারে কবি, গায়ক, বাদ্যযন্ত্রশিল্পী, ফ্যাশন ডিজাইনার, জ্যোর্তিবিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞানী এবং ভূতত্ত্ববিদ। দাঁত মাজার সময় আমরা যে পেস্ট ব্যবহার করি এবং আর্মপিটের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে ডিওডোরান্ট ব্যবহার করি- তারও উদ্ভাবক জিরিয়াব! তৎকালীন মুসলিম স্পেনের মানুষের রুচি ও জীবনধারা অনেকটাই বদলে দিয়েছিলেন জিরিয়াব । সেই সঙ্গে সংগীত ও সংগীততত্ত্বে এনেছিলেন আমূল পরিবর্তন ... বাংলাদেশে তিনি অপরিচিত হলেও মুসলিম বিশ্বে এমন দেশ নেই যেখানে জিরিয়াব এর নামে রাস্তা, হোটেল, ক্লাব বা ক্যাফে নেই।

আব্বাসীয় খেলাফতের মানচিত্র। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খেলাফত উমাইয়াদের (৬৬১-৭৫০ খ্রিস্টাব্দ ) অপসারণ করে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। উমাইয়াদের শিকড় মক্কায় হলেও তাদের রাজধানী ছিল সিরিয়ার দামেস্ক শহরে। ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে দামেস্ক থেকে বর্তমান ইরাকের বাগদাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হয় । এর পর থেকে বাগদাদ হয়ে ওঠে জনাকীর্ণ এক নগর-যে নগরে আরব মুসলিম সংখ্যা গড়িষ্ঠের পাশাপাশি বাস করত আরব খ্রিস্টান, পারসিক, গ্রিক ও ইহুদি স¤প্রদায়ের লোকেরা ... এ কারণেই বাগদাদ নগরের অধিবাসীদের ভাষা ছিল আরবি, আরামিক এবং পারশিক।

ফলে বাগদাদে এক মিশ্র এবং উন্নত সংস্কৃতিক আবহ তৈরি হয়েছিল । যে আবহ লালিত হয়েছিল জিরিয়াব-এর বিস্ময়কর প্রতিভা ... জিরিয়াব শব্দের মানে কালো পাখি। চমৎকার গানের গলা ছিল বলেই লোকে ভালোবেসে ওই নাম দিয়েছিল। জিরিয়াব এর আসল নাম আবুল হাসান আলি ইবনে নাফি। জিরিয়াব এর জন্ম বাগদাদে।

তবে তাঁর পূর্বপুরুষ ছিল আফ্রিকীয় দাস এবং তারা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তিত হয়েছিল। আমরা অস্টম নবম শতকের প্রেক্ষাপটে রচিত আরব্য রজনীর কাহিনীতে কৃষ্ণকায় আফ্রিকীয় দাস কথা শুনেছি। আব্বাসীয় বাগদাদ এর স্থাপত্যশৈলী। ... অবশ্য জিরিয়াব ছিলেন ‘মুক্ত’। এবং বাল্যকালেই জিরিয়াব এর সংগীতে হাতেখড়ি হয়েছিল।

বাগদাদের বিখ্যাত ওস্তাদ ইশহাক আল-মাওসিলি ছিলেন জিরিয়াব-এর সংগীতগুরু। আমি আগেও একবার বলেছি আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী বাগদাদে এক উন্নত সংস্কৃতিক আবহ গড়ে উঠেছিল। যা হোক। বাগদাদ নগরে জিরিয়াব এর জনপ্রিয়তা তাঁর সংগীতগুরুকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হন জিরিয়াব ।

জিরিয়াব ভীষণ হতাশ হয়ে পড়লেন। জীবনের আশঙ্কায় বাগদাদ নগর ত্যাগ করার কথা ভাবলেন। সে সময় আল আন্দালুস এর (স্পেন) উমাইয়াদের আমির আল হাকাম ইবনে হিশাম (৭৯৬-৮২২) । আল হাকাম বাস করতেন কর্ডোভা নগরে। অসহায় জিরিয়াব বিস্তারিত জানিয়ে আল হাকাম কে চিঠি লিখলেন।

সহৃদয় আল হাকাম অতি সত্ত্বর জিরিয়াব কে আল আন্দালুস যেতে বললেন। আইবেরিয় উপদ্বীপের মানচিত্র। আইবেরিয়া নামটি দিয়েছিল গ্রিকরা। এই আইবেরিয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশকেই আরবরা বলত: আল আন্দালুস। পূর্বে এখানে ভ্যান্ডাল-শাসন ছিল।

সম্ভবত ভ্যান্ডালুসিয়া থেকেই আল আন্দালুসিয়ার উদ্ভব ঘটেছে। আরব শাসনের কারণে উপদ্বীপটি মুরিশ আইবেরিয়া নামেও পরিচিত। ৮২০ খ্রিস্টাব্দ। জিরিয়াব বাগদাদ ত্যাগ করেন। মুসলিম স্পেনের মানচিত্র।

স্পেনে মুসলিম শাসনের সময়কাল ৭১১ থেকে ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দ। উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের নির্দেশে সেনাপতি তারিক ইবনে জিয়াদ ৭১১ খ্রিস্টাব্দে ৩০ এপ্রিল জিব্রালটার পাড়ি দিয়ে ক্রমাগত ৭ বছরের সমরাভিযানে আইবেরিয় উপদ্বীপের অনেকটাই জয় করে নেন। উমাইয়ারা গর্ভনরের মাধ্যমে শাসন করত আন্দালুসিয়া। যা হোক এক গৃহযুদ্ধের পর ইউসুফ আর ফিররি নিজেকে স্বাধীন শাসক ঘোষনা করেন। আমি আগেই বলেছি ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয়রা উমাইয়াদের সিরিয়া থেকে উৎখাত করে।

নির্বাসিত উমাইয়া যুবরাজ প্রথম আবদুর রহমান ইউসুফ আর ফিররি উৎখাত করে আমির হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। উমাইয়া যুবরাজ প্রথম আবদুর রহমান-এর উত্তরাধিকারীগনই ইতিহাসে ‘কর্ডোভায় উমাইয়া আমির’ নামে পরিচিত। আল হাকাম ইবনে হিশাম ছিলেন এই বংশের তৃতীয় আমির। এঁরই আশ্রয় প্রার্থনা করে চিঠি লিখেছিলেন জিরিয়াব ... ৮২২ খিস্ট্রাব্দ। জিরিয়াব আল আন্দালুসিয়ার কর্ডোভা নগরে পৌঁছলেন ।

লোকমুখে শুনলেন আমির আল হাকাম মারা গেছেন। জিরিয়াব কে তীব্র হতাশা গ্রাস করে। এখন কি করা ...কোথায় যাই! আল হাকাম এর উত্তরাধিকারী ২য় আবদুর রহমান (৮২২-৫২) আল আন্দালুসিয়ার ক্ষমতা গ্রহন করেছেন । তিনি কেমন মানুষ কে জানে। এমন সময় একটি অত্যন্ত মানবিক ঘটনা ঘটল।

আবু নাসের মনসুর নামে কর্ডোভার দরবারের এক ইহুদি সংগীতবিদ জিরিয়াব এর পাশে এসে দাঁড়ালেন। আবু নাসের মনসুর জিরিয়াবের অবিস্মরীয় প্রতিভার কথা জানতেন। কর্ডোভার একটি সরু গলি। কল্পনা করি এ গলিপথেই একদিন হেঁটে ছিলেন জিরিয়াব। অনুমান করি আবু নাসের মনসুর এর সঙ্গে ২য় আবদুর রহমান-এর সুসম্পর্ক ছিল।

এই উদার সংগীতবিদ জিরিয়াব সম্পর্কে নতুন আমিরকে সব খুলে বললেন। ২য় আবদুর রহমান জিরিয়াবকে তাঁর দরবারে সাদরে বরণ করে নেন। উদ। পঞ্চম শতকে পারস্যের মাধ্যমে এই বাদ্যযন্ত্রটি আরবে পৌঁছেছিল । আরবে এর নাম হল: উদ।

এর মানে কাঠ। ইউরোপের বাদ্যযন্ত্র ‘লুট’ শব্দের উৎসও এটি । অবশ্য বর্তমানকালের এক গবেষক মনে করেন, আরবরা বাদ্যযন্ত্রটির নাম রাখার জন্য ধার করেছিল পারসিক শব্দ ‘রুদ’। এই পারসিক শব্দ ‘রুদ’ মানে তার কিংবা তারযন্ত্র। জিরিয়াবই প্রথম পঞ্চম জোড়া তার সংযোজন এবং ‘পিক’ হিসেবে ঈগলের পালক ব্যবহার করেন ।

আব্বাসীয় খেলাফতের সময় মুসলিম চিন্তাবিদদের মধ্যে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিল; জিরিয়াব অ্যারিস্টটল-এর রসিকতার স্মরণে উদ-এর চারটি তার রঞ্জিত করেন এবং পঞ্চম তারটি মানবাত্মার প্রতীক হিসেবে ঘোষনা করেন। ... আবু নাসের মনসুর এসব জানতেন ... আমির ২য় আবদুর রহমান জিরিয়াবকে আকর্ষনীয় সম্মানীর প্রতিশ্রুতি দিলেন। প্রতি মাসে ২০০ স্বর্ণখন্ড, মধ্যগ্রীষ্মে ও নববর্ষে ৫০০ স্বর্ণখন্ড বোনাস; প্রতি বছর দুই ঈদে ১০০ দ্রোণ গম। এছাড়াও প্রতি বছর ২০০ দ্রোণ বার্লি এবং ১০০ দ্রোণ গম। ( মেট্রিক পদ্ধতি প্রবর্তিত হওয়ার পূর্বে শস্য ও ফলের মাপ হল দ্রোন।

bushel=দ্রোণ =৮ গ্যালন। ) কর্ডোভায় বিশ্বের প্রথম সংগীতবিদ্যালয় (conservatory) প্রতিষ্ঠা করেন জিরিয়াব । সে সংগীতবিদ্যালয়ে শেখানো হত হার্মনি, পলিফনি, কাউন্টার পয়েন্ট ও কম্পোজিশন। পরের শতকগুলিতে যে শিক্ষা আরও বিকশিত হয়ে ইউরোপের ধ্রুপদী সংগীতের ভিতই গড়ে দিয়েছিল। জিরিয়াব আরব সংগীততত্ত্বের পুর্নবিন্যাস করে মাত্রা ও ছন্দের বিধিনিষেধ শিথিল করেন এবং আরবি সংগীতের সঙ্গে আন্দালুসীয় সংগীতধারার মিলন ঘটনা।

জিরিয়াব-এর সংগীত সম্বন্ধে একজন ঐতিহাসিক লিখেছেন, Ziryab is credited with compiling a repertoire with 24 Nawbaat (vocal and instrumental suites). Each Nuba was a composite of vocal and instrumental pieces organised in nine movements and each movement had its own rhythm. He knew more than one thousand songs, of which some, according to Al-Maqqari, belong to Ptolemy. কর্ডোভার একটি সরু গলি। কর্ডোভার জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন জিরিয়াব । কি পোশাক আশাকে, কি চুলের স্টাইলে কিংবা রান্নাবান্নায়, অথবা মনুষের খাদ্যরুচিতে, মেলামেলায় এবং অবসর সময় কাটানোয় পড়েছিল জিরিয়াব-এর চিন্তাভাবনার ছাপ। নতুন নতুন স্টাইলেরর আসবাবত্র তৈরি করেছিলেন জিরিয়াব, যাতে কর্ডোভা নগরের বাড়িঘরের ইন্টেরিয়র গিয়েছিল বদলে। স্বর্ণের পানপাত্রের বদলে প্রচলন করেছিলেনন কাঁচ ও ক্রিস্টালের ...টেবিলক্লথের ব্যবহার ও নাকি জিরিয়াব এর অবদান।

এ ছাড়াও নতুন নতুন রেসিপি, তৈষজপত্র, এমন কী দর্জির নকশাও জিরিয়াব এর পরিকল্পনা থেকে বাদ যায়নি... ; জিরিয়াব এমন কী দাবা ও পোলো খেলার প্রবর্তন করেছিলেন আন্দালুসিয়ায়। জিরিয়াব এর বিস্ময়কর অর্জন আজও তাঁর কৃতজ্ঞ উত্তরপুরুষও মনে রেখেছে। মুসলিম বিশ্বে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধাভরে । মুসলিম বিশ্বে এমন দেশ নেই যেখানে রাস্তা, হোটেল, ক্লাব, বা ক্যাফে জিরিয়াব এর নামে নেই। ইউরোপে তাঁর সংগীতে অবদানের জন্য আজও স্মরণ করা হয়।

জিরিয়াব এর কৃতিত্ব সম্বন্ধে ইউরোপী পন্ডিত হেনরি টেরেসে লিখেছেন: কর্ডোভায় জিরিয়াব এর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দদায়ক ও সুখি জীবনের বাতাস বয়ে গিয়েছিল; জিরিয়াবকে ঘিরে ছিল কবিতায় পূর্ণ আবহ আর বিচিত্র নান্দনিক জ্যোতি। জিরিয়াব গান কম্পোজ করতেন রাত্রিবেলায় । দু’জন দাস উদ বাজাত। উদ বাদনে নজীরবিহিন উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন জিরিয়াব । উদ এর সুরকে করে তুলেছিলেন যাদুময় ; উদ-এর তারের প্রতীকি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন জিরিয়াব ।

যেমন প্রথমটি -মেজাজের তিক্ততার প্রতীক, ২য়টি শীতলতার, তৃতীয়টি রক্তের; এবং পরেরটি বিমর্ষতার এবং পঞ্চমটি আত্মার প্রতীক । জিরিয়াব কেবল সংগীতবেত্তা নন, জিরিয়াব ছিলেন জ্যোর্তিবিদ্যা ও ভূতত্ত্বের বিরাট পন্ডিত। উপরোন্ত, জিরিয়াব সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। যে কারণে তিনি কর্ডোভার রাজকীয় জীবনধারা পালটে দেন। জিরিয়াব আন্দালুসিয়ায় সুগন্ধী, কসমেটিক্স এবং টুথপেস্টের প্রচলন করেন।

এসবের প্রভাব আন্দালুসিয়ার সমাজজীবনে গভীর ও তীব্র হয়েছিল। বেশির ভাগ কর্ডোভাবাসী জিরিয়াব -এর চুলের ষ্টাইল ফলো করত। জিরিয়াব ছিলেন ভোজন রসিক। তিনি বহু অপরিচিত খাবার প্রচলন করেন। জিরিয়াব যে সব ফ্যাশন প্রচলন করেন শতাব্দী অবধি টিকেছিল।

তাঁর এক অনন্য কৃতিত্ব হল চামড়ার আসবাব ও ক্রিস্টাল কাঁচের প্রচলন। জিরিয়াব গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন পোশাকও নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কবে কখন পোশাক পড়তে হবে তার তারিখও নির্ধারণ করে দেন। তাঁরই তত্ত্বাবধানে আন্দালুসিয়ায় ফ্যাশন শিল্পের প্রসার ঘটে। আজও মরক্কোর লোকে জিরিয়াব উদ্ভাবিত স্বচ্ছ কাপড়ের কোট ও রঙীন ছাপা কাপড় পরে।

এ কথা সত্যি যে একজন মানুষ একা সমাজজীবনে এত সব পরিবর্তন করতে পারে না। তবুও মুসলিম বিশ্ব জিরিয়াব এবং তাঁর পৃষ্টপোষক আল হাকাম ইবনে হিশাম এর পুত্র দ্বিতীয় আবদুর রহমানকেই শুভ ও সুন্দর পরিবর্তনের কৃত্বিত দেয়। ” শিল্পীর চোখে একাকী জিরিয়াব । এত প্রতিভাবন একজন মানুষ জিরিয়াব ...তিনি কি নিঃসঙ্গ ছিলেন? মনে থাকার কথা জিরিয়াবের পূর্বপুরুষ ছিল আফ্রিকীয় দাস এবং তারা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তিত হয়েছিল। যা হোক।

জিরিয়াব এর শিল্পময় জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয় বিস্ময়কর এক বাংলা প্রবাদ: জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো। জিরিয়াব-এর নকশা করা কাপড় ছবি ও তথ্য: ইন্টারনেট।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.