আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলাম!

দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
মটর সাইকেল চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স কত জরুরী তা যারা বাইক চালান তারা ভালো করেই জানেন। তাই আমারও ড্রাইভিং লাইসেন্সটা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই ২০০৭ সালে প্রথমে ২০০ টাকা জমা দিয়ে লারনার কার্ড সংগ্রহ করলাম। ৪ মাস পর লিখিত পরীক্ষা দিলাম পাশ করলাম। এর পর ফিল্ড টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষায়ও পাশ করলাম ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে।

এর পর ১৩০০ টাকা জমা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলাম। লাইসেন্স দেবার তারিখ দিলো ২০০৯ সালের ৩০ মে। গেলাম বিআরটিএ অফিসে, বলল- আসে নাই। আবার ডেট দিলো ৬ মাস পর। এর মাঝে আমার রশিদ টা হারিয়ে গেল থানায় জিডি করলাম।

তার পর তারিখ মোতাবেক আবার গেলাম। আবারো তারিখ বাড়িয়ে দেয়া হলো। সেই তারিখে গেলাম। পেলাম না। পুনরায় তারিখ।

অবশেষে আমি তিন বছরের মাথায় গত ১১ তারিখে ড্রাইভিং লাইসেন্সটা পেলাম। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কিযে আনন্দ লাগতেছিল তা বুঝানো যাবে না। চোখে পানি আসার মতো অবস্থা। আপনারা হাসতে পারেন আমার কথা শুনে। কিন্তু যারা এই রকম বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন তারা বিষয় টা বুঝবেন কত আনন্দের।

আর এর মধ্যে আমাকে মনে হয় কম পক্ষে শতাধিকবার বিআরটিএ অফিসে যেতে হয়েছে। এই দিকে মাঝে মাঝে ট্রাফিক মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে। শুনেছি পরীক্ষা ছাড়াই চাপ লাইনে কিছু টাকা খরচ করলে ১৫ দিনের মধ্যেও ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। আমি দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে ড্রাইভিং লাইসেন্সটা পেতে চেয়েছিলাম এটাই কি আমার ভোগান্তির কারন? আমি বারবার ঘুরেছি কিন্তু ঘুষ বা অসৎ পথ অবলম্বনের কাছে মাথা নোয়াতে চাই নাই। আমি এখন ভাবি কি বোকা করেছি? সাধারন একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যদি এতো বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

তবে অন্য বড়বড় বিষয়ে কি রকম ভোগান্তি? তাহলে আমরা কি সকল বিষয়ে ঘুষ বা বিকল্প পথ খুজবো?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।