আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা

অবিরাম ছুটে চলা পথ থেকে পথে

সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনের এ উৎসব। শেষ হবে ১৭ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ।

পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। পুরাণের মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এ পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যুদ্ধযাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবী পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। এ জন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।

সনাতন বিশ্বাস মতে, দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। যার ফল মড়ক। স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন গজে (হাতি) চড়ে। যার ফল বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। এবার সারাদেশে প্রায় ২৭ হাজার পূজাম পে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

গতবারের তুলনায় এবার প্রায় ১ হাজার মণ্ডপ বেড়েছে। এর মধ্যে এবার ঢাকা মহানগরীর পূজাম পের সংখ্যা ১৯১। শারদীয় দুর্গাপূজার প্রথম দিন আজ ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠীতিথিতে সকাল ৯টার মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। সায়ংকালে বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হবে।

সে সঙ্গে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল দুর্গোৎসব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী, ১৫ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ১৬ অক্টোবর মহানবমী এবং ১৭ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমী। শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়ার শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে ১৭ অক্টোবর সরকারি ছুটি। রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ওইদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ নিবন্ধ। দুর্গোৎসব উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতিত্রয় মেজর জেনারেল (অব.) সিআর দত্ত বীরউত্তম, অ্যাডভোকেট সিরিল সিকদার, ঊষাতন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেবনাথ, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি, মহাসচিব নির্মল রোজারিও, ছাত্র যুবঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক নকুল চন্দ্র সাহা প্রমুখ হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এবার সারাদেশের ম পগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার পুলিশ-র‌্যাব এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি প্রতিটি ম পে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.