আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

JOTIL ACCESS MEMORY (JAM)100%

দুষ্ট ছেলে

“পথের মানুষ বন্দী এখন ঢাকার তীব্র JAM এ ... সুযোগ বুঝে সুন্দরী মুখ ভরছে তাদের RAM এ!!! এটা আমার আদনান ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস। আসলে ঢাকার বুকে কত যে সুন্দরী্র মুখ আমার RAM এ জমা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। RAMrush দিয়েও হালকা করতে পারি নাই। ব্যাপারটা অন্যরকম কিন্তু সত্য । JAM তোমায় স্বাগতম।

আমার মত আরো অনেক যুবকের প্রার্থনা...হে JAM তুমি ফিরে এস বারবার আমার এই প্রিয় ঢাকার বুকে!! তিরিশ লক্ষ যুবকের ঢাকা শহরে এই জন্যই মনে হয় JAM লেগে থাকে সারাক্ষন, সারাদিন, সারাবছর। আর বাইক্যা প্যাচাল পাইরা লাভ নাই। আসল কথায় আসি। পুরান কাহিনী লিখমু আর কি! ঘটেছিলো আমার university ভর্তির আগে । আমি গিয়েছিলাম শাহবাগে।

আসার পথে উঠলাম সিটি বাসে। গাড়ি এসে থামল ELEPHANT ROAD এর JAM এ। হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখি বাসে কিছু সুন্দর মুখ। অবশ্যই মেয়ে মুখ। জমা করতে লাগলাম আমার 422MB RAM এ।

হঠা করে একটা মেয়ে মিষ্টি করে বললো...”এই যে ভাই, আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে, তাড়াতাড়ি বিয়ে করেন আর এভাবে তাকাবেন না”। আচমকা এহেন কথায় আমি থমকে গেলাম। আমিও আচমকা উত্তর দিলাম...”এই যে আপু,আমার ডাক্তার আমাকে মিষ্টি দেখতে বলেছে,খেতে বলেনি!!” দেখলাম মেয়েটি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। আমিও লাল হয়ে গেলাম তার লজ্জায় লাল হওয়া মুখটি দেখে। বাস থেকে নামলাম MOHAMMDPUR LAST COUNTER এ।

কারন আমি থাকতাম টাউন হলে। নেমেই দেখি মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে আর মিটমিট করে হাসছে। আমিও মিষ্টি করে মুচকি হাসলাম আর মনেমনে ভাবলাম টাঙ্গইলের চমচম। পরদিন সকালে আবারো সিটিবাসে উঠলাম। উঠে দেখি গতকালের সেই মেয়েটি।

মিটমিট করে হাসছে। আমার ধারনা হল মেয়েটির মাথায় সমস্যা আছে। আজকে আমি মিষ্টি করে মুচকিও হাসলাম না আবার টাঙ্গইলের চমচমও ভাবলাম না। তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে থাকলাম। এরপর কেটে গেল ১ সপ্তাহ............মেয়েটির আর খোঁজ নেই।

সহযাত্রীনিকে দেখতে না পেরে আমারও যে খারাপ লাগে নি তা কিন্তু নয়। একটু তো লাগেই। সুন্দরীপনা এবং মিষ্টিহাসির বদৌলতে মেয়েটিকে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে। মনে মনে প্রার্থনা করতে লাগলাম যেন দেখা হয়। কিন্তু দেখা হলনা।

আরো কেটে গেল ২ সপ্তাহ। এভাবে প্রায় একটি মাস কেটে গেল। মেয়েটাকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। DHAKA UNIVERSITY ADMISSION এর সময় চয়েস ফরম জমা দিতে গিয়ে দেখি সেই মেয়েটি। সে আমাকে দেখে আবারো মিটমিট করে হাসছে।

আমি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কোন সাবজেক্ট পেয়েছ? সে বললো...”আমি DMC তে ভর্তি হয়েছি, আমার বান্ধবী এখানে ভর্তি হবে বলে তার সঙ্গে এসেছি”। শুনে কেমন জানি লাগলো। মিষ্টি করে মুচকি হাসলাম কিন্তু ভুলেও চমচম ভাবলাম না। মেয়েকে আমার ব্যাপক টক মনে হতে লাগলো। আমি আমার SUBJECTএর নাম বললাম এবং তার ফোন নাম্বারটা নিলাম।

পাঠকবৃন্দ আমি আর লিখব না। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকুন। কারন কাগু বলেছে একদিনে বেশী করে লিখ না। কাগুর কথা তো অমান্য করা যায় না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।