ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক ক্যাডারকে গণধোলাই দিয়েছে কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি গণধোলাই দেয়ার পর তাকে মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জানা যায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে বেলালের দোকানে জিয়া হল ছাত্রলীগ ক্যাডার মোঃ মাহমুদ (বাংলা,১ম বর্ষ) খাবার খেতে আসে। খাবার শেষে দোকানদার তার কাছে বিল চাইলে সে টাকা না দিয়েই চলে যেতে চায়। এসময় সে নিজেকে ছাত্রলীগ ক্যাডার পরিচয় দিয়ে দোকানিকে উল্টা হুমকি দেয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে দোকানদারের গায়ে হাত দেয়। এসময় কর্মচারীরা তার উপর চড়াও হয়। হট্রগোল শুনে সাধারন শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় জমায় এবং কারন জানতে চায়। তখন শিক্ষার্থীদের সাথেও সে খারাপ আচরণ করলে সবাই মিলে তাকে গণধোলাই দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।
জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা জানায় হল ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ফাও খেয়ে আসছে। তাই সে ক্যাম্পাসে সে ’ফাও মাহমুদ’ নামে পরিচিত।
উল্ল্যেখ যে, সম্প্রতি জিয়া হল ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনায় হল প্রশাসন ৭ জন ছাত্রলীগ ক্যাডারকে হল থেকে ৩ মাসের জন্য সাময়িক বহিস্কার করে। উক্ত ৭ জনের মধ্যে মাহমুদ ও ছিল। জিয়া হল আবাসিক ছাত্র মো শরিফ জানায় হলের মধ্যে মাহমুদ ’ফাও মাহমুদ’ নামে পরিচিত।
হল ক্যান্টিনের মালিক তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা পাবে। ক্যান্টিন মালিক হল প্রভোস্টের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পরে হল প্রভোস্ট দ্রুত টাকা পরিশোধ করার জন্য তাকে লিখিত চিঠি দেন। কিন্তু সে উল্টা ক্যান্টিন মালিককে টাকা না দিয়েই টাকা পেয়েছি বলে সবার কাছে বলায় জন্য বাধ্য করছে। অন্যথায় তাকে সে দেখে নেয়ার ও হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে গণধোল্ইা দেয়াটা আসলেই দুঃখজনক। অপরাধীদেরকে আমরা শা¯িত দিয়ে যাচ্ছি। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক নয়। তার বিরুদ্বে যদি আমরা সুনিদির্স্ট অভিযোগ পাই তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।