আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিরোজপুরের ডুমুরিতলা ডিআরএস হাইস্কুলের প্রিয় নজরুল স্যার এখন ভিক্ষুক।

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
পিরোজপুরের ডুমুরিতলা ডিআরএস হাইস্কুলের প্রিয় নজরুল স্যার এখন ভিক্ষুক। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনো রকম অনাহারে-অর্ধাহারে বেঁচে আছেন তিনি। ওই শিক্ষক নজরুল হোসেন কাজী জানান, ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ডিআরএস হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০১ সালে ওই বিদ্যালয় থেকে অবসরের পর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’চোখের আলো নিভে যায় তার। বর্তমানে তিনি অন্ধ।

দিনভর ভিক্ষা করে রাতে ভাণ্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামে আ. হাই সরদারের বাড়িতে রাত্রীযাপন করেন। ওই বাড়ির ছেলেমেয়েদের তিনি ইংরেজি পড়ান। চোখে দেখেন না, তাই বাধ্য হয়ে ওদের মুখস্থ পড়ান। বয়স্কভাতা পান না তিনি। কেননা ভাণ্ডারিয়ায় ভোটার তালিকায় তার নাম নেই।

যখন ভোটার তালিকা হয় তখন তিনি অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার মূল বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চৌদ্দগুড়িয়া গ্রামে। তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম একজন সেবিকা। স্বামীর অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন আগে তাকে ছেড়ে ৩ মেয়েকে নিয়ে চলে যান তিনি। মেয়েরা রাজধানীর কলেজে পড়ালেখা করছে।

তার মা-ই ওদের পড়ালেখার খরচ দেন। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি যে স্কুলে চাকরি করতেন ওই স্কুলের তত্কালীন প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী হাওলাদার ১৯৮২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাকে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ বেতন দেননি। তবে তিনি সরকারি অংশ (বাকি ৭০ শতাংশ) এবং কল্যাণ ট্রাস্টের ৩৯ হাজার টাকা তুলেছেন। বিদ্যালয়ে পাওনা ওই বেতন চাইতে গেলে ওই প্রধান শিক্ষক তাকে মাস্তান দিয়ে তাড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে। Click This Link pubalibatash মূল পোষ্ট দাতা।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।