আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাঙণ (আল আমীন দেওয়ান উইথ হিজ লাইফ)

নীল

দুধে টুইটুই দুধ-ভাতের পাতের মতো ভেসে সেবার বর্ষায় পদ্মা এসেছিল আমাদের চৌকাঠ ছুঁতে। অস্থিত্ব হারিয়ে এই স্রোতস্বিনী নাইয়ে দিয়েছিল আমাদের স্বর্নগ্রাম। বাতাসের সাথে ছোয়াছুয়ি খেলতে গিয়ে উপচানো জলে সে কখনও ভিজিয়ে দিত কোন কোন মেঠো পথ। দুষ্ট কিশোরদলের ডুবাডুবি খেলার মত ডুবাতে চাইতো আউঁশ ডগা। কচুরির সাথে যেন তার কিসের শক্রতা, ঘোর লাগানো এই বেগুনী ফুলের ভাসমান গাঁিলচাকে ঠেলেঠুলে অস্থির রাখতো সবসময়।

বেলায় বেলায় রংয়ে রংয়ে মিশে পাড়ে পাড়ে মৃদুমাতাল পদ্মার জলঢেউয়ের ছলক ছলক চুমুর শব্দে রমনীরা ঠোটে আঁচল চেপে ধরত তখন। দুপুর স্নানে এসে গৃহস্থ বাড়ির গৃহবধুরা খল্লার ঝাঁকের নির্লজ্জ চোখ টেপাটেপিতে শাড়ি ছাড়তে চাইতো না সহসা। কৃষকের ভেঁজানো পাটের গন্ধ মেখে মমতাময়ী হয়ে উঠতো বাতাস। দ্বীপঘরের চারপাশ আর মেঠো পথের দুধারে ঝরা শিরিষ পাতারা বিছিয়ে রাখতো জলশয্যা। পড়ন্ত দুপুরে পদ্মা আর খাল-বিলের সঙ্গমে পেতে রাখা ভেসালে রঙ্গিন টেংরার লাফালাফি দেখে হুল্লোড় করে উঠতাম আমরাও।

তখন বিজলী এসে মেঠো রং জলে সবুজ আর গোধুলী মিশে সন্ধ্যার সোনা আলো তাড়াতো না। খেয়ার খুটিতে দুলত হারিকেন প্রদীপ। ভাটির ফাঁকে নদী আর খাল বিলের নরোম পাড়ে মাটিবাসী মাছ ধরে কাঁদায় মাখামাখি হয়ে ফিরত জেলে পাড়ার কিশোর কিশোরীরা। কচুরির স্তুপ নিয়ে অলস বৈঠায় নৌকা বেয়ে চলত রাখাল। মাতৃপল্লীতে নৌকার ছই ছেড়ে বেড়িয়ে বসত নাইয়রে আসা কিশোরী বধু।

দুষ্টু ঘোমটা কখন যে পড়ে বসে আছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। মোহমায়া এই পদ্মা বর্ষার এক সন্ধ্যায় তোমার খেয়াতরীর একমাত্র যাত্রী ছিলাম আমি। মাখনের মত মিহি করে স্রোত কাটছিল তোমার বৈঠা। নৌকার সাথে জলআদরের পেলবতার সুরে আমি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলাম। সামলে ছিলনা তোমার চুল।

গুলুই থেকে এদিক ওদিক করে তোমার একটু অমনোযোগে ওরাও ছুয়ে ছুয়ে আসছিল পদ্মার জল। দৃষ্টি ফেলেছিলাম তোমার ছোট্ট দুটি পতুল পায়ে,চোখে চোখ পড়তেই টুককরে তা লুকিয়ে ফেললে শাড়ির আড়ালে। এভাবে ঘোরের নির্বাক কথোপকথন একসময় তরী ভেড়ে আমার গন্তব্যে, দেওয়ান বাড়ির ঘাটে। নৌকাটি তোমার চুলের মত অবাধ্য নয়। আদরে পুটুপুটু বেড়াল ছানার মত মৃদু দুলুনিতে ঘাটে মাথা ঘষে নিশ্চুপ হয় সে।

আমি নেমে আসি। পেছন বাঁকে নৌকা ঘোরাও তুমি। একবার ফিরেও তাকালে না,চলে যাচ্ছিলে নিঃশব্দ হয়ে। অথচ ঘাটের খিলানে যখন আমি একটু বসব ভাবছিলাম তুমি ওভাবেই বলে উঠলে-দেওয়ান বাড়ির কুটুম,এ ঘাটে বইসো না। পরদিন সকালে আমার দুয়ারে তোমার তেজস্বী মূর্তি।

অধোভেজা শরীর আর শাড়িতে কোল থেকে এক দল শাপলাকে আছাড় দিলে দাদীমার পায়ের কাছে। দুয়ারের কপাটে হেলান দিয়ে দাদীমা তখন পান চিবুচ্ছিলেন। চোখতুলে একগাল হেসে তিনি তোমায় বললেন-পান খাবি,নতুন মসলা বানাইছি। তোমার নাগডগার বিন্দু বিন্দু ঘাম আর এলোঝেলো চুল দেখে তিনি হয়ত বুঝেছিলেন এখনি ফুটতে শুরু করবে তোমার ঠোঁট। কিন্তু কিসের কি ! তুমি বললেই-তোমার নাতি কি শহর থিকা আমাগো গ্রামের ফূল খাইতে আইছে,শহরের গোলাপ গান্দা খাইতে পারে না ? দাদীগো-তুমিই কও,্কত সুন্দর এই লাল শাপলাগুলান ছিড়তে মায়া লাগে না।

তুমি তখনো দেখোনি আমায়। কপাটের ওপাশে চেয়ার ছেড়ে আমি যেই বাইরে এলাম তুমি থেমে গেল। গ্রীবা বাকিয়ে নামতে থাকলে। যেতে যেতে চেঁচিয়ে বললে-বুড়ি এখনও সময় আছে, তোমার নাতিকে ফুল চেনাও। তারপর গতিময় সময়,তুমি আমি আর পদ্মা।

পড়ন্ত দুপুরে পদ্মার ঘোলা জলে তোমার ক্রম অবগাহনে আমি অপ্সরীর স্নান দেখতাম। কি ছিল ঐ জলে, তুমি ওমন করে শরীর ডোবাতে? স্রোতস্বিনী পদ্মার ঐ ঘোলা জল মেখে যে রূপ নিয়ে তুমি উঠে আসতে এই শহরের কোন সাঁজঘর আর রুপস্রষ্টার তা আয়ত্বের বাইরে। তখন শাড়ি আর শরীরের এমন আলিঙ্গনে আমি চোখের নিলজ্জতার নিয়ন্ত্রণ হারাতাম । নিতম্বের প্রারম্ভে ভেঁজা চুলের চুম্বনে কাঁপন ধরত আমার। আলপথে পায়ের পাতায় লেগে লেগে দোআঁশ চলে আসত তোমার বাড়ির আঙ্গিনায়।

সে দোআঁশ আমসত্ত্বের মত জমে থাকত তোমার কলঘরে। দুপুর গড়ালে বাড়ির পেছনে কাঁচামিঠা আম গাছের এপার-ওপারে বড়শি নিয়ে বসতাম আমরা। টোপ ফেললেই তোমার বড়শিতে উঠে আসত কৈ, আমার টোঁপ খেয়ে ফেলত পুটিরা। জোড়ে টান খেয়ে একবার এক টাকি তুলে আনলাম । আর তাই দেখে তুমি হাসতে হাসতে ছিপ ফেলে দৌড়।

আমি তখন হ্যাবলাকান্ত,বোকা হয়ে কি করব কোথায় যে তাকাব কিছুই বুঝি না। কত চেষ্টা করেছিলে নৌকা বাওয়া শেখাতে,পারনি। বর্শা দিয়ে জল থেকে মাছ গাঁথা শিখতে গিয়ে তোমার নৌকাই ডুবাতে বসেছিলাম একবার। একরাতে তোমার বাড়ির অতিথি ছিলাম আমি আর দাদীমা। বংশের বড় নাতির অনুরোধ ফেলতে পারেননি তিনি।

মাঝি বাড়িতে দেওয়ান বংশের কারও এই প্রথম আনুষ্ঠানিক আতিথ্য গ্রহণ। আমরা যখন তোমাদের ঘরে আসি তোমার বাবা দাদীমার পায়ে ধরে সালাম করছিলেন। এই দেখে আমি মিনমিন করে বলছিলাম, এক বুড়ো আরেক বুড়িকে সালাম করে,বুড়ির দেওয়ানি দেখি এখনও আছে। তুমি শুনে পাশ থেকে আমায় এমন চিমটি কাটলে আমি আউ করে উঠি। তোমার শাসন চোখের দিকে তাকাতেই গুটিয়ে যাই আমি ।

উঠোনের নতুন উনুন ঘিরে রাত ফুরিয়ে এসেছিল আমাদের। কয়লার আগুনে পুড়ে পুড়ে শক্ত হয়ে আসে বিবিখানা। সুমিষ্টি ম ম ঘ্রাণ নেশার মত টানতে ইচ্ছা করে আমার। তোমার দিকে তাকালেই মনে হতো যেন তোমার শরীরের গন্ধ। কখনও তোমার পিঠ,কখনও তোমার চুল আবার কখনও পায়ে লুকোচুরির হাত ছুয়ে ছুয়ে রাতভরই অস্থির করেছিলাম তোমায়।

মাঝে মাঝে তুমি লাল কয়লায় আমার দৃষ্টি নিয়ে যেতে,শোন-সে রাতে তোমার একটু প্রশ্রয়ে অবলীলায় জলন্ত কয়লায়ও পুড়তে পারতাম। অথচ আজ, এগার বছর পর আমার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাস,প্রশ্রয়তো তো তুমি দিয়েছিলেই। তোমার তুলনায় কতটা পশ্চাৎপদ ছিলাম আমি। বিমূর্ততার প্রতি চরিত্রে আমি রঙান্ধ ছিলাম। আয়েশা- এ কি করেছি আমি ! বুকের পাজর পুড়িয়ে পুড়িয়ে এভাবে ভস্ম করেছ তুমি।

নিজেকে হারিয়ে শরীরে যখন সুসময়ের ধুলো মেখেছোই ধরে রাখলে না কেন সে ঠুনকো কাঠামো। আমি বুঝিনি কিছুই অথচ বিলুপ্তের ভবিষ্যত গড়ছিলে তুমি নিজেই। পাজর পুড়িয়ে যে প্রেমের আগুন প্রতিমা গড়েছো ঐ চোখে তখনও কি তার এমন ছায়া ফেলতে তুমি। হায় ইশ্বর,আমি দেখিনি সেই চোখ! আজ যখন দেখতে শিখেছি প্রতিমা ভস্মের ধ্বসও দেখালে আমায়। আমি সহ্য করতে পারিনি।

বিচ্ছিন্ন হতে হতে নিজ অস্থিত্বকে অস্থিত্বহীন বিলুপ্ত করে ফেলতে ইচ্ছে হয়েছিল আমার। তবুও আমি চেয়ে দেখি- ম্লান মুখে ফিরে ফিরে দুটি ধুসর চোখ আর অনন্ত হাহাকার নিয়ে আয়েশা যেতে থাকে মহাদেশের সবচেয়ে বড় শপিং মলের দিকে। সেখানে আয়েশা হারিয়ে আলিশা প্রবেশ করে। আলিশারা চাকচিক্যময়,পদ্মা ফুড়ে ওঠা ঝলসানো বালুচর,ফুলের মতোই রবারের জড় সাঁজখোলস। সেবারই ছিল পদ্মার শেষ বর্ষা।

পদ্মা আর বর্ষা হয়ে আসেনি। এখণ স্বর্ণগ্রাম ভেসে যায় বন্যায়। ধ্বসিয়ে দেয় পিচঢালা পথ,ফেলে দেয় বিজলীর খুটি। আমরা চিরেছি পদ্মার বুক- পদ্মা ভাঙ্গে আমাদের জনপদ,আমার মায়ের কবর ভাঙ্গে উপাসনায়ও। আয়েশারা গ্রাম ছাড়ে।

ফোটে না লাল শাপলা । তবুও আমি গ্রামে ফিরে যাই। আমার বংশের উত্তাপ আর প্রতিপত্তির পরম্পরাতে সর্বশেষ পূর্বসূরী মুত্তালিব দেওয়ানরা নিঃস্ব হয়েছে অনেক আগে। স্বাধীনতার পরপরই হঠাৎ পুরো বিক্রমপুরেরই এখানে সেখানে গঁিজয়ে উঠে নতুন নতুন দেওয়ান বংশ। মুত্তালিব পুত্র মজিদ দেওয়ানের যখন বিশ্বাস ভাঙ্গে যে লাঠির সময় ফুরিয়েছে তখন দেরী হয়ে গেছে অনেক।

হারানো উত্তাপ আর প্রতিপত্তি ফিরিয়ে আনার জন্য পাঁচ ছেলেকে শক্ত হাতে লাঠি ধরা শিখিয়েছিলেন তারা তো কলম ধরতে শেখেনি। মজিদ দেওয়ানের মৃত্যুর কয়েক বছর পরেই একটুকরো বসতভিটা ছাড়া সব হারিয়ে বসে তারা। দুয়ারে দুঃখের অবয়বে ভেতরে দুভিরে দেওয়ানি নিয়ে পড়ে থাকে কিছু প্রতœতত্ত্ব। । শেওলায় ঢেকে ঢেকে য়ে গেছে শানবাঁধানো ঘাটের কারুকাজ,সেই ঘাট আর দেওয়ান বাড়ির নয়।

লোককথায় আমার বংশের অন্তঃপুরের কত অসুখী নারীর আত্মাহুতিতে আজও অভিশপ্ত এই ঘাট। নিথর শূণ্যতায় এখনও আমি ফিরে আসি অদ্ভুত বিচ্ছিন্ন শেকড়ের টানে,হারানো অথবা পরিত্যক্ত জীবনের কাছে। বসি ঘাটের সিড়িতে কোন অব্যক্ত দুপুর বা সন্ধ্যায়। বিভ্রমে বিলাপের কোরাসে কারা যেনো আমায় জলে নামিয়ে নিতে চায় তখন আমি স্পষ্ট শুনতে পাই-দেওয়ান বাড়ির কুটুম,এ ঘাটে বইসো না। কালান্তরে আমার ভেতরেও লুপ্ত হয়ে গেছে জীবনের সব নৈসর্গ।

সেখানে জীবন আর আমার আলাদা ঘরবাড়ি। বিভ্রমও এই শহরে আসে না। চারপাশ নিয়ে দ্রুত সব বদলে যাচ্ছে,বিকৃতি থেকে বিকৃতিতে পরিপুষ্ট হচ্ছে ক্রমাগত। ভাঙ্গছি গড়ছি ভাঙ্গছি একসময় আর নিজেকে খুঁজে পাই না। জীবনের প্রয়োজনে জীবন বাঁচিয়ে রাখি আর এ জীবনই আমার বিরোধিতা করে।

ােভে স্থির দিগি¦দিক হয়ে হঠাৎ হিমে নেমে এসে নিস্তেজেই বীর্য বেরিয়ে আসতে চায়। কাদের যেন ধিক্কারের থুতু ছুড়ে দিতে চাই। ইচ্ছে করে শহরের ঐ আকাশ ছোঁয়া স্তম্ভে উঠে প্রস্রাবে ভাসিয়ে দেই সব। শহরের নামে আমরা ভাগাড় গড়ছি। এর দেয়ালগুলো শুধু শহর স্বপ্নের পোস্টারে মুড়ে দেয়া।

আমার জীবন এ শোলা শহর ভালবাসে,ভালবাসে ইটের কুঠরি,প্রতারণা- প্রহসন আর অর্থের গন্ধ। সে শূণ্যতে সুখ পায় আবার ভরাট হলেও পায়। অনুভুতিতে ভাগ বসায় আমার অজান্তেুই। আমাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে জীবন সাঁজায় জীবনের সংসার। সেথায় আমি কই ? আমি আমার বোধের স্বাধীনতা চাই,চাই ইচ্ছার গন্তব্য।

ভালই,এখন স্বপ্ন আমায় নিয়ম করেই ঘুম ভাঙ্গায়। পাহাড় চুড়া থেকে আমি দুহাত মেলে উড়ছি। নিচে অসংখ্য মানুষ। বিম্ময় সোরগোলে তারা দেখছে,মানুষ পাখির মত উড়ছে। উড়তে উড়তে হঠাৎ আমার ঠোঁটে একটি শুভ্র পায়রার ঠোঁট।

আমি মাথা ঝাকিয়ে আলাদা হতে চাই,ঘামতে থাকি কিন্তু চুম্বন ছাড়াতে পারি না। জেগে যাই। বিছানায় শুয়ে শুয়েই ভাবি,শহরে তো পায়রা দেখি না। আয়েশার ঘরের ছনছায় কত ঢং এর আদুরে পায়রার বসবাস ছিল। ওর যতœ আর মমতার আদরে কত সুখেই না থাকত ওরা।

তাহলে কি আলিশারা পায়রা পোষে না ?এখন ওদের মায়া শূণ্য হৃদয়েও সন্তানেরা মা বলে ডাকে! সেদিন সন্ধ্যায় লাভলেইনের টং ঘরে চা নিয়ে বসেছি। দেখি এক পথশিশু হাত পেতে মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। বললাম,কি? ময়লা ছিন্ন ফ্রকে বিবর্ণ মুখে অস্ফুট উত্তর,ম্যালা খিদা। খিদা পাইছে। তো হাত পাতছোস ক্যান,মুখ পাত-আমার এমন কথায় চোখ নামিয়ে কান্ত পায়ে চলে যাচ্ছিল ও,আমি ডাকলাম ।

পাউরুটি,কলা বিস্কুট কিনে দিলাম। এসবই গোগ্রাসে গিলছিল শিশুটি। জিজ্ঞেস করলাম,তোর মা কই? সাবলীল স্বাভাবিক ভাবেই সে বলে,আরেক ব্যাডার লগে ভাইগা গেছে। বললাম,তোরে ফালাইয়াই? শিশুটি বলে যায়- হ। একদিন সকালে এক ব্যাডা আইসা মারে লইয়া গেলো।

আমারে নিল না। আমি কতোও পিছন পিছন গেলাম। মায় কইছে,আমি হের লগে আইলে আমারে কাইট্যা বস্তায় ভরব। হের পর হেরা বাসে উইট্টা গেছেগা। আমার আর কিছু জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয় না।

অফিস যাব বলে এসেছিলাম। আমি উল্টো পথে ফুটপাথ ধঁের হাটতে থাকি,উদ্দেশ্যহীন। আলিশাদের আর এই পথশিশুর মায়েদের অবস্থানগত পার্থক্য অনেক। কাঠামোগত শ্রেণী বৈষম্যে দুইজন দুইমেরু প্রান্তে। অথচ মমতাহীন পাষাণ বিভৎস বিকৃতিতে এরা এক কাতারে,এই শহরে এরাই ভাল থাকে।

শহর এখানে বৈষম্য করেনি,হয়ত করবেও না। করলে,সময়ের পেছন ফাশে এই শহরে একদিন পদ্মা লালনে সোনা সুখী স্বর্ণগ্রামের ছবি ভেসে উঠবে। ## (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.