আমি ইব্রাহিম, ইব্রাহিম আহাম্মদ। আপনারা সকলেই আমাকে অল্প কিছুদিন ধরে চিনেন। এই বছর পবিত্র রমজানে আমি শহীদ হইছি আমার নেতা, আমার শ্রদ্দ্বেয় বড় ভাই, আমার রাজনীতির গূরু, আমার এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাওন ভাইয়ের লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে। আপনারা না জানলেও আমি ঠিকই জানি কে আমার খুনি, কে আমারে খুন করছে। না, আমি পিস্তল লইয়া নাড়াচাড়া করতে গিয়া ভুল বশতঃ গুলি বাহির হয় নাই, বিশ্বাস করেন আমি নিজেরে নিজে খুন করি নাই।

আচ্ছা আপনারাই বলেন তো আমি কি দুধের শিশু যে পিস্তল লইয়া নাড়াচাড়া করলেই গুলিতে আমার জীবন চলে যাবে। আর মফঃস্সল থেকে আসছি বলেই কি জীবনে এর আগে কোন দিন পিস্তল দেখি নাই। না, আমি সেই রকম না, আপনাদের দোয়ায় আর আমার নেতা দের স্নেহ ভালবাসায় সেই পাঠ শেষ করেই উন্নতির সিড়িতে পা রাখা শুরু করেছিলাম। আপনারা সকলেই ইতোমধ্যে জেনে গেছেন যে আমি আমার নেতা শাওন ভাইয়ের সার্বক্ষণিক সংগী ছিলাম, তার সাথে যৌথ ভাবে সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডারের কাজ করেছি, তাকে এমপি ইলেকশনে পাস করানোতে আমার ভূমিকা আমার শত্রূও আস্বীকার করতে পারবে না, তার বেড রূম পর্যন্ত আমার যাতায়াত ছিল, এমনকি শাওন ভাইয়েরও নেতা আমদের মহা গূরু তোফায়েল ভাইও আমাকে নাম ধরে ডাকতেন। আর সবচেয়ে বড় প্রমাণ পুলিশ ভাইদের ফরেনসিক রিপোর্ট, যাতে আমাকে খুন করার কথা বলা হয়েছে।

তাইলে বলেন কালা কেন মিথ্যা কথা বানাইয়া থানায় গিয়া উল্টা-সিদা মামলা করল, বিচারের ভার আপনাদের উপর দিলাম। তয় একটা গোপন কথা জাইনা রাখেন কালা ভাইয়ের সাথে আমার কোনদিন কোন গেন্জাম হয় নাই। ভাইয়েরা আর বোনেরা আপনাদের সাথে আমার অনেক আলাপ আছে, আস্তে আস্তে বিস্তারিত বলার ইচ্ছা রাখি। আশা করি আপনেরা আমার আগামী কথা গুলি শুনবেন। তয় আজ এই পর্যন্তই।


।