আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেনীতে বিষমুক্ত সবজি চাষে সাফল্য

mamun.press@gmail.com

ফেনীতে এই প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিষমুক্ত সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃসি অফিস সূত্র জানান, মাঠপর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষকদের ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহারের প্রশিণ দিচ্ছেন। এসব প্রশিতি কৃষক সদর উপজেলার বিরলী , দণি কাশিমপুর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ একর জমিতে উৎপাদন করেছেন নানা ধরনের সবজি। যার মধ্যে রয়েছে পেঁপে, বেগুন, শসা, পটোল, উচ্ছে, লাউ, চালকুমড়া ও কাঁকরোল। অফিস সূত্র আরো জানান, চাহিদা থাকায় বিষমুক্ত এসব সবজি প্রচলিত বাজার মূল্যের তুলনায় কৃষকরা মণপ্রতি ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারছেন।

অপরদিকে পোকা দমনে বিশেষ ফাঁদ ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহারে কীটনাশকের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় সবজি চাষে কৃষকদের মুনাফা বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরাও হচ্ছে। ফেনীর বিষমুক্ত সবজির বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ ক'জন নারী-পুরুষ সেখানে এসেছেন সবজি কেনার জন্য। বিক্রয়কেন্দ্রে থরে থরে সাজানো রয়েছে বেগুন, কাঁকরোল, শসা, চালকুমড়া, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি। একটি হোয়াইট বোর্ডে এসব সবজির দাম সুনির্দিষ্টভাবে লেখা আছে।

হোয়াইট বোর্ডের তালিকা অনুযায়ী প্রতি কেজি বেগুন সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা, পটোল আট টাকা ও পেঁপে আট টাকা দরে। এ ছাড়া কেজিপ্রতি ২০ টাকা দরে শসা, ১৩ টাকা দরে কাঁকরোলসহ প্রতিটি চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। বিষমুক্ত সবজী চাষী কাশিমপুর গ্রামের হাজী নিজাম উদ্দিন, লীয়ারার হারুন অর রশিদ, জাহানপুরের এবিএম সেলিম, বিরলীর মোঃ মোস্তফা, লেমুয়ার মোঃ সবুজ, ইলাশপুরের মোঃ শাহজাহান,বালিগাঁওয়ের আলী আহমদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রশিন নিয়ে তারা বিষমুক্ত সবজি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন এবং প্রথম বারেই সফলতা পেয়েছেন। সচেতন ক্রেতারা তাদের এসব পন্য বেশী দামে ক্রয়ে দ্বিধা করছেন না। সবজি কিনতে আসা আবদুল আজিজ বলেন, 'দোকানের বাইরে টানানো বিষমুক্ত সবজি বিক্রির ব্যানার দেখে গত দুই দিন ধরে আমি এখান থেকে সবজি কিনছি।

এতে সুস্থও থাকা যাবে। ' সবজি কিনতে এসে প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন কলেজ অধ্য কাজী রিজভি জামান রিংকু, মাজেদুর রহমান, গৃহবধূ নাজমা বেগমসহ অনেকেই। কৃষি কর্মকর্তারা আরো জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. সৈয়দ নুরুল আলমের পরামর্শে তাঁরা ইসডেপ কনসার্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০০৬ সাল থেকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের দাবি, এ উদ্যোগের ফলে কৃষক ও জনস্বার্থ দুই েেত্রই ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুশতাক আহমদ বলেন, বিষমুক্ত সবজি চাষে প্রথম বারেই সফলতা পাওয়া গেছে।

এতে পরবর্তীতে কৃষকরা আরো আগ্রহী হবে। ভেজালের সমারোহের মাঝে স্বাস্থ্য সুরায় এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।