আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের শুড়শুড়ি মার্কা ঈমান

নিজেকে হয় নাই চেনা

প্রথমেই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, আজ ৯/১১ এর স্বরনে ঘোষনা দিয়ে কুরআন পড়াবেন টেরি জোন্স, পরে অবশ্য শুনেছি তিনি তার সদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। কতটুকু সত্য আল্লাহই জানেন। তাকে ঘিরে কোন কথা নয় আমার কিছু কথা আছে যা নিতান্তই আমাদেরকে ঘিরে......................................................... নবজাতক যে শিশুটা সম্প্রতি হাঁটতে শিখেছে তার হাঁটার চলন বলন দেখে বড়রা ভালোই মজা লুটেন। বাচ্চাটা নিজেই পড়ে আবার নিজেই আবার নিজেই কাঁদে কখনও নিজেই খলখলিয়ে হেসে ঊঠে। ও যখন আরও একটু বড় হয় তখন তার লম্প ঝম্পের আর সীমা থাকে না।

এই লম্প ঝম্প কিংবা দৌড়াদৌড়ির সময় সে এখানে হোচট খায় তো ওখানে উষ্ঠা খায়। নিজে নিজে এভাবে কত ব্যথা পায় কিন্তু কান্না তো দুরের কথা টু শব্দটিও করে না। কিন্তু যখনি অন্য কারও সাথে ধাক্কা লেগে বা অন্য কারও কারনে সে ব্যথা পায় তখনি সে কেঁদে কেটে সারা বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে। আমাদের বন্ধু মহলে অনেক কেই দেখেছি যাদের পরিনত বয়সেও সুড়শুড়ি আছে। তারা যখন নিজেদের আঙ্গুলের ডগা দিয়ে তাদের শরিরের সূড়শুড়িকাতর অংশে সারাদিন ব্যাপি গুতোগুতি করেন তখন তারা কিছুই অনুভব করেন না।

কিন্তু যখনি নিরাপদ দুরুত্ব থেকেও অন্য কেউ ঐ সকল সূড়শুড়িকাতর অংশের দিকে সামান্য অঙ্গুলি নির্দেশ করেন তখনি বেচারার মৃগি রোগের রোগীর মত অসাধারন ও বৈচিত্রময় নৃত্যের সুচনা হয়। টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা কাবা শরীফে গিয়ে আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে চোখের জল দিয়ে পুরো হারাম শরীফ ধুয়ে ফেলবেন এমন টা আশা করা অবশ্যই বোকামি নয়। বরং মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক ইমানদারকেই এরকম একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের জিন্য সদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তাই বলে মুসলমানরা নাক ডেকে ঘুমাবে আর দায়িত্বে গাফলতি করবে অন্যদিকে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা নিজেদের কাজ করতে গেলেই আমাদের পিত্তি জ্বল উঠার মধ্যে কৌতুক ছাড়া আর কি কিছু আছে? পিরোজপুরে বোরকা পড়ার দায়ে যখন মুসলমানদের দ্বারাই মুসলমান বোনেরা জেলের ঘানি টানে তখন আমাদের এই ঈমানি জজবার বিন্দুমাত্র হদিস পাওয়া যায় না। শামসুর রাহমানের কবিতায় আজানকে যখন বেশ্যার খরিদ্দার ডাকার সাথে তুলনা করা হয় তখন আমাদের এই সব পাক্কা ঈমানদারেরা মিলাদের মিষ্টি বিতরনে ব্যস্ত থাকেন, এগুলো তাদের মনে মোটেও দাগ কাটে না।

এই কোরানের বিধান পর্দা প্রথাকে যখন আমাদের জাতীয় অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবিরা উচ্চমার্গের ভাষায় কটাক্ষ করেন এবং সরকারের মন্ত্রীরা কাটুক্তি করেন তখন আমাদের মুসলমানিত্বেরও জাত যায় না আবার মহা গ্রন্থ আল কোরানের ও অবমাননা হয় না। মসজীদের মাইকে যখন আজান হয় তখনও টিভির পর্দায় আমাদের চোখ লাগিয়ে বসে থেকে নামাজ কাজা দেয়া কি কোরান অবমাননার চেয়ে বড় কিছু নয়? কোরানের আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বললে যখন আমরা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক বলে গালি দেই তখন আমাদের ঈমানের মুখে চুন কালি পড়ে না কেন? অথচ যাদের কর্মই হচ্ছে ইসলাম তথা কোরানের অবমাননা করা তাদের স্বাভাবিক কাজে আমাদের ঈমানের চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!!! নিজেদের কারনে ইসলামের অপুরনীয় ক্ষতি প্রতিনিয়তই হচ্ছে এটা যারা বুঝে না, আবার অমুসলিমদের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড যাদের গায়ে সয় না, এদিকে ধর্মের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালনে যাদের বিন্দুমাত্র অনুভুতি নেই তাদের ঈমান কে আমার কাছে আর দশ জনের সূড়শুড়ির মতই মনে হয়। ঐ ঈমানি জজবায় কারও কিচ্ছু যায় আসে না। অতএব টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা যদি কোরানের অবমাননা করতেই চায় করতে দিন এত ভয় পাচ্ছেন কেন? যে কোরান বুকে ধারন করেছেন সেই কোরান ওরা কয়টা পুড়বে? লওহে মাহফুজ পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নাই। চেয়ে দেখুন আপনার বুকে ঐ কোরান সংরক্ষিত আছে কিনা? এই করানের আহবান আপনার বুকে ঢেউ তোলে কিনা? যদি আপনার বুকে কোরান সংরক্ষিত থেকেই থাকে আর তার বানী আপনার বুকে ঢেউ তুলতে সক্ষমই হয় তাহলে ভয় কিসের? ক্ষোভ কিসের? আল্লাহ কি বলেন নি তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন? হারাম শরীফে মুত্র ত্যাগের পরও কি রাসুলুল্লাহ (স) উত্তম আচরন করেন নি বিধর্মীদের সাথে? মিষ্টি খাওয়ার সুন্নত গুলোকেই কেন এত প্রাধান্য দেন? নবজাতক যে শিশুটা সম্প্রতি হাঁটতে শিখেছে তার হাঁটার চলন বলন দেখে বড়রা ভালোই মজা লুটেন।

বাচ্চাটা নিজেই পড়ে আবার নিজেই আবার নিজেই কাঁদে কখনও নিজেই খলখলিয়ে হেসে ঊঠে। ও যখন আরও একটু বড় হয় তখন তার লম্প ঝম্পের আর সীমা থাকে না। এই লম্প ঝম্প কিংবা দৌড়াদৌড়ির সময় সে এখানে হোচট খায় তো ওখানে উষ্ঠা খায়। নিজে নিজে এভাবে কত ব্যথা পায় কিন্তু কান্না তো দুরের কথা টু শব্দটিও করে না। কিন্তু যখনি অন্য কারও সাথে ধাক্কা লেগে বা অন্য কারও কারনে সে ব্যথা পায় তখনি সে কেঁদে কেটে সারা বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে।

আমাদের বন্ধু মহলে অনেক কেই দেখেছি যাদের পরিনত বয়সেও সুড়শুড়ি আছে। তারা যখন নিজেদের আঙ্গুলের ডগা দিয়ে তাদের শরিরের সূড়শুড়িকাতর অংশে সারাদিন ব্যাপি গুতোগুতি করেন তখন তারা কিছুই অনুভব করেন না। কিন্তু যখনি নিরাপদ দুরুত্ব থেকেও অন্য কেউ ঐ সকল সূড়শুড়িকাতর অংশের দিকে সামান্য অঙ্গুলি নির্দেশ করেন তখনি বেচারার মৃগি রোগের রোগীর মত অসাধারন ও বৈচিত্রময় নৃত্যের সুচনা হয়। টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা কাবা শরীফে গিয়ে আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে চোখের জল দিয়ে পুরো হারাম শরীফ ধুয়ে ফেলবেন এমন টা আশা করা অবশ্যই বোকামি নয়। বরং মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক ইমানদারকেই এরকম একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের জিন্য সদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

কিন্তু তাই বলে মুসলমানরা নাক ডেকে ঘুমাবে আর দায়িত্বে গাফলতি করবে অন্যদিকে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা নিজেদের কাজ করতে গেলেই আমাদের পিত্তি জ্বল উঠার মধ্যে কৌতুক ছাড়া আর কি কিছু আছে? পিরোজপুরে বোরকা পড়ার দায়ে যখন মুসলমানদের দ্বারাই মুসলমান বোনেরা জেলের ঘানি টানে তখন আমাদের এই ঈমানি জজবার বিন্দুমাত্র হদিস পাওয়া যায় না। শামসুর রাহমানের কবিতায় আজানকে যখন বেশ্যার খরিদ্দার ডাকার সাথে তুলনা করা হয় তখন আমাদের এই সব পাক্কা ঈমানদারেরা মিলাদের মিষ্টি বিতরনে ব্যস্ত থাকেন, এগুলো তাদের মনে মোটেও দাগ কাটে না। এই কোরানের বিধান পর্দা প্রথাকে যখন আমাদের জাতীয় অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবিরা উচ্চমার্গের ভাষায় কটাক্ষ করেন এবং সরকারের মন্ত্রীরা কাটুক্তি করেন তখন আমাদের মুসলমানিত্বেরও জাত যায় না আবার মহা গ্রন্থ আল কোরানের ও অবমাননা হয় না। মসজীদের মাইকে যখন আজান হয় তখনও টিভির পর্দায় আমাদের চোখ লাগিয়ে বসে থেকে নামাজ কাজা দেয়া কি কোরান অবমাননার চেয়ে বড় কিছু নয়? কোরানের আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বললে যখন আমরা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক বলে গালি দেই তখন আমাদের ঈমানের মুখে চুন কালি পড়ে না কেন? অথচ যাদের কর্মই হচ্ছে ইসলাম তথা কোরানের অবমাননা করা তাদের স্বাভাবিক কাজে আমাদের ঈমানের চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!!! নিজেদের কারনে ইসলামের অপুরনীয় ক্ষতি প্রতিনিয়তই হচ্ছে এটা যারা বুঝে না, আবার অমুসলিমদের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড যাদের গায়ে সয় না, এদিকে ধর্মের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালনে যাদের বিন্দুমাত্র অনুভুতি নেই তাদের ঈমান কে আমার কাছে আর দশ জনের সূড়শুড়ির মতই মনে হয়। ঐ ঈমানি জজবায় কারও কিচ্ছু যায় আসে না।

অতএব টেরি জোন্স আর দেব নারায়নেরা যদি কোরানের অবমাননা করতেই চায় করতে দিন এত ভয় পাচ্ছেন কেন? যে কোরান বুকে ধারন করেছেন সেই কোরান ওরা কয়টা পুড়বে? লওহে মাহফুজ পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নাই। চেয়ে দেখুন আপনার বুকে ঐ কোরান সংরক্ষিত আছে কিনা? এই করানের আহবান আপনার বুকে ঢেউ তোলে কিনা? যদি আপনার বুকে কোরান সংরক্ষিত থেকেই থাকে আর তার বানী আপনার বুকে ঢেউ তুলতে সক্ষমই হয় তাহলে ভয় কিসের? ক্ষোভ কিসের? আল্লাহ কি বলেন নি তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন? হারাম শরীফে মুত্র ত্যাগের পরও কি রাসুলুল্লাহ (স) উত্তম আচরন করেন নি বিধর্মীদের সাথে? মিষ্টি খাওয়ার সুন্নত গুলোকেই কেন এত প্রাধান্য দেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.