আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেইসবুক প্রতারণা : যুবক গ্রেপ্তার । নারী সাজা তার স্রেফ শখ!



খবরটি পড়লে মনেকরি অনেকেই সতর্ক হয়ে যাবে। সম্প্রতি ফেসবুকে ফেক আইডি এত পরিমান বেড়ে গেছে এর জন্য এর জনপ্রিয়তা অবশ্যই কমতে শুরু করছে। আর এই সুযোগে আসছে নতুন নতুন সামাজিক ওয়েব সাইট। অবশ্যই এই ঘটনাটি এর প্রভাব ফেলবে। এই খবরটি থেকে প্রমান পাওয়া যায় অনেক বড় পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত এখানে ছিলেন কিন্তু একন হয়তো সে আগ্রহ আর থাকবে না।

আমার জানা মতে অনেকেই আকর্ষনীয় প্রোফাইল ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলে মজা করে, এটা অবশ্যই ঠিক না। আমি আশা করছি এই সংবাদটি একটু হলেও তাদেরকে সতর্ক করে দিবে। ------------------------------------------ ইন্টারনেটে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকে মেয়ে পরিচয়ে সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা তার শখ। এমনকি কণ্ঠ মেয়েদের মতো করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলত। হাজার হাজার টাকা মোবাইল বিল দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুদের নানা ধরনের উপহারও দিত সে।

তার প্রকৃত নাম জিয়াউর রহমান চৌধুরী। কিন্তু ফেইসবুকে 'ফারিয়া ফারাহ অনিন্দিতা' ও 'ভিকি চৌধুরী' পরিচয়ের ফাঁদে জড়িয়েছিল ১৬৪ জনকে। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন সেনা-পুলিশ কর্মকর্তা, গার্মেন্ট মালিক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ে পরিচয়দানকারী জিয়াউর রহমান চৌধুরী ওরফে ভিকি চৌধুরীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে নগরীর প্রবর্তক মোড়সংলগ্ন বিপণি বিতান আফমি প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের কৌশল অনুযায়ী ওই শিক্ষককে ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবি উপহার দিতে এসে গ্রেপ্তার হয় জিয়াউর রহমান। মেয়ে পরিচয়দানকারী এই ছেলের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুলাই জিডি করে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবজ্যোতি খীসা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন। জিয়াউর রহমান নগরীর হামজারবাগ এলাকার গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমানের ছেলে। ২০০০ সালে রহমানিয়া স্কুলে দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়।

কয়েক বছর ধরে বিবিরহাট এলাকায় এসপি সলিউশন নামে একটি সাইবার ক্যাফে খুলে ব্যবসা করছিল। তবে ফেইসবুকে তার পরিচিতদের কাছে সে এমবিএ পাস বলে দাবি করত। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজ আহম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গত দেড় মাস ধরে এই আসামিকে আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার দুটি মোবাইল ফোনের কোনো রেজিস্ট্রেশন না থাকায় শনাক্ত করতে আমাদের সমস্যা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত কৌশলে তাকে গ্রেপ্তার করেছি।

' গতকাল সকালে পাঁচলাইশ থানা কার্যালয়ে বসে জিয়াউর রহমান জানায়, একান্ত শখের বসে সে গত ছয় মাস ধরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফেইসবুকে বন্ধুত্ব করে আসছিল। পরিচয়ের সূত্র ধরে সে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করত। এরপর মেয়ের কণ্ঠে কথা বলত। গত এক মাস আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা থেকে মেজর পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম এসেছিলেন। কিন্তু এখানে এসে মেয়ের পরিবর্তে ছেলে দেখতে পেয়ে ওই কর্মকর্তারা হতাশ হন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া কালের কণ্ঠকে জানান, ২৪ জুলাই ফেইসবুকে পরিচয়ের পর জিয়াউর রহমান কৌশলে তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে নেয়। পরে মধ্যরাতে ফোন করে মেয়েলি কণ্ঠে আপত্তিকর কথা বলতে থাকে। কিন্তু তিনি কথা বলতে না চাইলে ফোন করে এসএমএস দিয়ে হুমকি দেয়। তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হলে সে এসএমএস দিয়ে জানায়, 'ব্যারিস্টার আমীর, ব্যারিস্টার মনোয়ার তার বন্ধু। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিয়ে কোনো লাভ হবে না।

'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।