আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ পর্যন্ত সরকারের টনক নড়ল "বন্ধ হচ্ছে সনাতনী বাল্বের উৎপাদন"



সরকার সনাতনী বা পুরনো 'ইনকেনডিসেন্ট' বাল্বের উৎপাদন বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত প্রচলিত এ বাল্বে অধিক বিদ্যুৎ ব্যয় হয় এবং তাপ ছড়ায়। তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং পরিবেশ দূষণ রোধের লক্ষ্যে এ বাল্বের উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে সেখানে সিএফএল অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব উৎপাদনের জন্য উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশে বর্তমানে যে ম্যাগনেটিক ব্যালাস্টযুক্ত টি-৮ টিউবলাইট ব্যবহৃত হচ্ছে তাতেও অত্যধিক বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক ব্যালাস্টযুক্ত টিউবলাইটে তুলনামূলক অনেক কম বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয় হয়।

দেশে বর্তমানে বিভিন্ন শক্তির ইনকেনডিসেন্ট বাল্ব উৎপাদিত হয়। সরকার ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব বিনামূল্যে বিতরণ ও দেশে এর উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। সনাতনী পদ্ধতির ইনকেনডিসেন্ট বাল্ব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ইনকেনডিসেন্ট নামে পরিচিত অধিক বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয়কারী সনাতনী এ বাল্ব অত্যন্ত অদক্ষ এবং প্রজ্বলনে অধিক বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়। এতে প্রচুর তাপ ও ক্ষতিকর রেডিয়েশন নির্গত হয়।

এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও অনেক বেশি। এ ধরনের বাল্ব সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয় কার্যক্রমের পরিপন্থী এবং এর ফলে সাশ্রয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত বছরের ২৪ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ইনকেনডিসেন্ট বাল্ব ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি এর উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ বছরের ২৮ এপ্রিল বিদ্যুৎ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ইনকেনডিসেন্ট বাল্ব উৎপাদন বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিএসটিআইকে পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এর উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হয়। সিএফএল বাল্ব মেয়াদ শেষে নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে এসব বাল্ব ধ্বংস করা হবে সে বিষয়ে গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনকেনডিসেন্ট বাল্ব সম্পর্কিত এক সভায় আলোচনা হয়।

কারণ সিএফএল বাল্বের ভিতরে যে গ্যাস থাকে তা যথাযথভাবে বিনষ্ট না করা গেলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।