আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাবি ক্যাম্পাসে বাড়ছে ভাসমান মানুষের সংখ্যা : বিঘœ হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড

তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে ভাসমান মানুষের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশ, বাংলা একাডেমীর সামনে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনের রাস্তায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে, টিএসসি এলাকায়, রোকেয়া হলের পাশে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সামনে, কলাভবনের সামনের রাস্তার দুই পাশে, জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তার দুপাশ দিয়ে ছোট-বড় প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি ভাসমান পরিবার বাস করে। যাদের থাকার মতো জায়গা নেই, নেই কোনো ঘরবাড়ি, নেই কোনো নির্ধারিত টয়লেট বা গোসল করার নির্ধারিত স্থান। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের পেছনে, যাত্রী ছাউনির পেছনে, উদ্যানের ভেতর বা রাস্তার ওপর তারা কোনোমতে প্রাকৃতিক কাজ সমাধা করে থাকে। এতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তেমনি নানা রকমের রোগজীবাণুও ছড়াচ্ছে।

তিন নেতার মাজারের পাশে চার ছেলেমেয়ে নিয়ে প্রায় দশ বছর ধরে বাস করছে মোহাম্মদ গফুরের পরিবার। গফুর সিগারেট বিক্রি করে আর তার স্ত্রী ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে ফুল বিক্রি করান। এভাবেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেটে গেছে তাদের জীবনের দশটি বছর। গফুরের স্ত্রী রুবিয়া জানান, ফুটপাতে যারা বাস করছে তাদের অনেকেই গাজা, ফেনসিডিল ও প্যাথেডিনসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে এবং বিক্রিও করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই তাদের কাছ থেকে এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য ক্রয় করে থাকে।

সেখানে অনেক মহিলা আছে যারা দেহব্যবসা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী রুবি জানান, কোথাও বসলেই ছোট ছেলেমেয়েরা ঘিরে ধরে চকলেট বা ফুল কেনার জন্য। কেউ আসে ভিক্ষার জন্য। তারা শুধু ক্যাম্পাসেই ভিক্ষা করো ক্ষ্যান্ত হয় না। ক্লাসেও তারা খুব বিরক্ত করে।

যে কোনো সময় তারা ক্লাসে প্রবেশ করে ভিক্ষা চায়, যা অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং পড়াশোনারও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ রকম পরিবেশ কাম্য নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান জানান, আমরা সব সময় চাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে। এছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ পথে সিকিউরিটি গার্ড না থাকায় এ সমস্যা সমাধান করতে পারছি না। তবে এছাড়া কিছু মানবীয় কারণেও আমরা তাদেরকে এখান থেকে সরাতে পারছি না।

তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেছি। এছাড়া প্রায় রাতেই প্রোক্টরিয়াল বডির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.