আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাশয়ের দেরীতে একদিন ক্লাসে : অনুগল্প

বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি

-কি রে?? স্যার আইবো না আজ ?? ত্রিশ মিনিট তো পা হইয়া গেল। -হালায় গেল কই! ধান্দাবাজি করার সময় তো সময় ঠিক থাকে। ক্লাসের বেলায় এতো ঢিলা কেন? ক্লাসের হাই বেঞ্চের উপরে বসে ম্যাকের কাছে তার বাইশ বছরের জীবনের একমাত্র প্রেমের ছ্যাকা কাহিনী জানতে চাইল অর্ক। মেয়েটার নাম কি রে ? -আশা বাহ বাহ। বেশ ভালো নাম।

তোর প্রেমের কাহিনী শোনাতো একট ু.. -আরে.. বাড়ির পাশেই বাড়ি। প্রথম দেখি ২০০৫ সালের ৪ মার্চ। আমি যে স্কুলে পড়ি সেও ওই স্কুলে পড়ে । আগেও দেখা হইচে তবে ওইভাবে হয় নাই। আমি হায়ার ম্যাথ করতে যাচ্ছিলাম রণজিৎ স্যারের কাছে।

তখন ও স্কুলে যাচ্ছিল। যেতে যেতে পথে দেখা হল মেয়েটার সাথে। বারবার কথা বলার জন্য মনটা মনে করো বন্ধু ... -খুব আকুপাকু করতেছিল। না? তারপর কি হইল, ক -ইচ্ছে হচ্ছিল। কিন্তু কথা বলতে পারি নাই।

তারপর থেকে প্রায়ই যেতাম আর কথা বলতে ইচ্ছে হত। -আরেস ছালা । ব্যাপক কাহিনী তো । বেশ রস আছে মনে হচ্চে .. তারপর -কিন্তু অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রাখতাম। -কেন? -জানিনা।

ভয় বা লজ্জায় । (বলতে বলতে নব্বই এর দশকের বাংলা সিনেমার নায়কের মতো ম্যাক হঠ্যাৎই নতুন বিবাহিত মেয়েদের মতো লজ্জ্বায় কুঁকড়ে গেল) কিন্তু মেয়েটা বুঝতে পারছিল যে তাকে দেখলে আমি কিছু একটা বলতে চাই। -আচ্চা আচ্চা..তারপর? -তারপর কয়েকদিন পর ও প্রাইভেট পড়ে ফিরছিল। -কতদিন পর বন্ধু? -২০০৫ সালের অগাষ্ট মাসের ১ তারিখে। -বাহ বাহ.. দিন তারিখ সহ সব মনে আচে দিকচি!! (পিঠ চাপড়ে দিয়ে) সাবাস ম্যাক সাবাস।

এখন বল তারপরের কাহিনী। ততদিনে আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ । আমি ফ্রি সময় কাটাচ্ছি। ওইদিন মেয়েটার সামনে দাঁড়ালাম, নাম জিজ্ঞেস করলাম। -আর কি কইলি সেইটা ক.. -অনেকদিন ধরে ফলো করছি তা ধরতে পেরেছে কি না জানতে চাইলাম।

-তারপর। -সে এই কথা শুনে হেসে জিজ্ঞেসা করল, ও এই কথা! তখন বললাম আসলে তোমাকে আমার খুব ভালোলাগে, তোমাকে আমি ভালোবাসি, এখন তোমার মতামত কি? -সে কি বললো তখন? -পরে জানাতে চাইল। -তারপর? -৩ তারিখে আবার গেলাম। বলতে ভূলে গেছিলাম ,আরো একটা কথা বলছিলাম। যে, তুমি কি কাউকে পছন্দ কর? সে বলছিল -না ।

তারপর প্রেমের কথা বলছিলাম। এখন ৩ তারিখে ওর মতামত জানতে চাইলে ও বললো যে, প্রেম করতে রাজি তবে শর্ত আছে? আমি বললাম শর্ত কি? তখন ও বলল, প্রেম করব তবে কেউ জানবে না এটা শর্ত। -জটিল শর্ত তো। আর তুমিও রাজি হইয়া গেলা, নাকি?? -হ্যা, আমিও রাজি হলাম। বেশ তো.. তা তো হবাই.. মুখ ফুইটা কইতে পারো না।

মাইয়্যা রাজি হইচে.. রাজি তো হবাই। তারপর কি করলি বল.. -তারপর বিকেলে দেখা হত। ফোনে কথা হত। আমার নিজের কোন ফোন ছিল না তবে মেজোভাইয়ের মোবাইল থেকে ফোন দিতাম। এভাবে চলল ১৮ দিন।

তারপর ২১ তারিখে ওদের বাড়ির সামনে দেখা হল। তখন ও বলল যে, তোমার সাখে আমার প্রেম রাখা সম্ভব না। আমি জানতে চাইলাম কেন? ও বলল, কোন কারণ নাই। অনেক বোঝানোর পরেও বলল, সমস্যা আছে। তুমি আর কখনো ফোন দিবানা ।

এরপর ২৬ তারিখে ও যখন প্রাইভেট পড়ে আসতেছিল তখন রাস্তায় গিয়ে দেখা করলাম, ও বলল তুমি অন্য কাউকে খুজে নাও.. দারুন তো । তারপর তোর কি হলো..?? বল , থামলি কেন? -এরপর সে বাসায় জানালো যে আমি নাকি তাকে বিরক্ত করি। কেউ তাকে ফোন দিলেও সেটার দোষ হত আমার। -তুই কি অন্য নাম্বার থেকেও ফোন দিতি নাকি? -ধুর! আমার তো নিজেরই নাই। অন্য নামাবার পামু কই..!! -না, তোর তো আবার একটু একটু অভ্যাস আছে!! (তারপর আবার স্যারের ...)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।