আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শবে ক্বদর কি ২৭ এ রমযান?

---

শবে ক্বদর কি ২৭ এ রমযান? ‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنْ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏صَلَاةِ التَّرَاوِيحِ -‏ ‏بَاب ‏ ‏تَحَرِّي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ‏ ‏فِي الْوِتْرِ مِنْ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ ‏ ‏فِيهِ ‏ ‏عَنْ ‏ ‏عُبَادَةَ ‏ তোমরা শবে ক্বাদর অনুসন্ধান করবে রমযানের শেষ দশ রাতের বিজোড় রাত গুলোতে (অর্থাৎ ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯ এ রমযানে) __________________________ আয়েশা থেকে বর্ণিত; বুখারী, কিতাবুস্সালাতুত্তারাবী ‏أَنَّ رِجَالًا مِنْ ‏ ‏أَصْحَابِ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ ‏ ‏تَوَاطَأَتْ ‏ ‏فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ ‏ ‏مُتَحَرِّيهَا ‏ ‏فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ- ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏صَلَاةِ التَّرَاوِيحِ ‏- بَاب ‏ ‏الْتِمَاسِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ ‏ ‏فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ সাহাবীদের মধ্যে অনেকেই স্বপ্ন দেখান হল, শবে ক্বদর (রমযানের) শেষ সাত রাতের মধ্যে। নবী স. বললেন " আমি দেখছি, তোমাদের সবার স্বপ্ন একি রকম- শেষ ৭ রাতেই সীমাবদ্ধ। তাই যে তা অনুসন্ধান করে, সে যেন শেষ ৭ রাতে তা খোঁজ করে দেখে। ___________________________________________ হযরত ইবনে উমার থেকে বর্ণিত, মুত্তাফাকুন আলাইহ, বুখারী ও মুসলীম, কিতাব- সালাতুত্তারাবী ‏‏ أَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى فِي سَابِعَةٍ تَبْقَى فِي خَامِسَةٍ تَبْقَى ‏- صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏صَلَاةِ التَّرَاوِيحِ-‏بَاب ‏ ‏تَحَرِّي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ‏ ‏فِي الْوِتْرِ مِنْ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ ‏ ‏فِيهِ ‏ ‏عَنْ ‏ ‏عُبَادَةَ নবী স. বলেছেন " তোমরা তালাশ করবে তাকে (ক্বদর এর রাতকে) রমযানের শেষ দশে- মাসের নয়দিন বাকি থাকতে, সাতদিন বাকি থাকতে, পাঁচ দিন বাকি থাকতে। ___________________________ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, বুখারী, কিতাব সালাতুত্তারাবী رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏كَانَ يَعْتَكِفُ فِي الْعَشْرِ الْأَوْسَطِ مِنْ رَمَضَانَ فَاعْتَكَفَ عَامًا حَتَّى إِذَا كَانَ لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَهِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي يَخْرُجُ مِنْ صَبِيحَتِهَا مِنْ اعْتِكَافِهِ قَالَ ‏ ‏مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفْ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ وَقَدْ أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ مِنْ صَبِيحَتِهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ فَمَطَرَتْ السَّمَاءُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى ‏ ‏عَرِيشٍ ‏ ‏فَوَكَفَ ‏ ‏الْمَسْجِدُ فَبَصُرَتْ عَيْنَايَ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏عَلَى جَبْهَتِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ مِنْ صُبْحِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ ‏ صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الِاعْتِكَافِ ‏ بَاب ‏ ‏الِاعْتِكَافِ ‏ ‏فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ ‏ ‏وَالِاعْتِكَافِ ‏ ‏فِي الْمَسَاجِدِ كُلِّهَا ‏ ‏لِقَوْلِهِ تَعَالَى ‏ ‏وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فلَا تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ ­­­­­ একবার রাসূল স. রমযানের প্রথম দশকে ইতিকাফ করলেন, তারপর মধ্যম দশকে (অর্থাৎ মাঝাখানের দশদিন) করলেন একটি তুর্কি তাবুতে।

এ সময় একবার তাবু থেকে মাথা বের করে বললেনঃ আমি এ রাতের খোজ করতে যেয়ে প্রথম দশদিন ইতিকাফ করেছি, তারপর মাঝের দশদিনও ইতিকাফ করেছি, এরপর স্বপ্নে আমার কাছে কেউ এসে বলল, এটি (লাইলাতুল ক্বদর) শেষ দশ দিনের মধ্যে আছে। অতএব যে লোক আমার সাথে প্রথমে ইতিকাফ করেছে, সে যেন শেষ দশ দিনও ইতিকাফ করে। নিশ্চয় তা (শবে ক্বদর এর রাত) আমাকে স্বপ্নে দেখান হয়েছিল কিন্তু পরে তা থেকে আমাকে বিস্মৃত করা হয়েছে। তবে মনে পড়ে (স্বপ্নে আমি দেখেছিলাম) আমি সে রাতের ফযরে নিজেকে পানি আর কাদার মধ্যে সিজদাহ করতে দেখেছি। অতএব, তোমরা তা (শবে ক্বদর) শেষ দশ রাতের মধ্যেই খুঁজে দেখবে এবং বে-জোর রাতগুলোতেই অনুসন্ধান করবে।

অতঃপর ( হাদিসটি বর্ণনাকারী) আবু সাইদ বলেন, সে রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি আসল, মসজিদ তখন ছাপরা (অরক্ষিত ছাদ) ছিল, তাই ছাদ থেকে পানি পড়ল। তখন আমার দুই চোখ রাসূল স.কে দেখল তাঁর কপালে পানি ও কাদার দাগ লেগেছে আর তা ছিল একুশ তারিখের (অর্থাৎ একুশে রমযানের) সকাল। _______________________________________ আবু সাইদ খুদরী হতে। মুসলিম/ বুখারী, কিতাব- ইতিকাফ, অধ্যায় শেষ দশ রাতে ইতিকাফ ‏سَأَلْتُ ‏ ‏أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ ‏ ‏رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏ ‏فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ‏ ‏ابْنَ مَسْعُودٍ ‏ ‏يَقُولُ مَنْ يَقُمْ ‏ ‏الْحَوْلَ ‏ ‏يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لَا يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ثُمَّ حَلَفَ لَا ‏ ‏يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْتُ بِأَيِّ شَيْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا ‏ ‏أَبَا الْمُنْذِرِ ‏ ‏قَالَ بِالْعَلَامَةِ أَوْ بِالْآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لَا شُعَاعَ لَهَا صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الصِّيَامِ ‏‏ بَاب ‏ ‏فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا একবার আমি উবাই ইবনে কাবকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করে, সে শবে ক্বদর লাভ করবে। হযরত উবাই বললেনঃ আল্লাহ তাকে (মাসউদকে) রহম করুক! তিনি এই কথা এ জন্য বলেছেন যে, লোকরা যেন তার উপর ভরসা করে নিশ্চেষ্ট না থাকে।

নয়ত তিনি অবশ্যই জানেন যে , তা রমযানে এবং রমযানের শেষ দশ রাতগুলোর মধ্যেই এবং তা সাতাইশের রাতেই। যির (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি বললাম, হে আবু মুনযির! আপনি কোন তথ্যসূত্রে এটা বললেন? তিনি (ইবনে কাব) বললেন: রাসূল স. আমাদের যে চিহ্ন বাতলে দিয়েছেন সে সূত্রে। তিনি বাতলেছেন, কদরের রাতের পর সকালে সূর্য উঠবে অথচ তার কিরণ থাকবে না। হাদিস গ্রন্থ মিশকাত শরীফের এ হাদিসটির ব্যাখ্যা: "কিরণ থাকবে না" সম্ভবতঃ সেই বছরের শবে ক্বদরের চিহ্ন এটা বলেছিলেন। সেই বছর শবে ক্বদর সাতাশ রাতেই হয়েছিল।

_____________________ তাবেয়ী যির ইবনে হুবাইশ র. থেকে বর্ণিত; মুসলিম: কিতাবুস্সিয়াম। অধ্যায়, ফাযলিল লাইলাতিল ক্বাদরী ‏ ‏كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏يَجْتَهِدُ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مَا لَا يَجْتَهِدُ فِي غَيْرِهِ রাসূল স. রমযানের শেষ দশ দিনে ইবাদতে খুব বেশি পরিশ্রম করতেন যা অন্য সময় তিনি করতেন না। _________________________ হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত। বুখারা ও মুসলিম: অধ্যায় আল ইজতিহাদি ফিল আশরি‏ ‏كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ ‏ ‏وَجَدَّ ‏ ‏وَشَدَّ الْمِئْزَرَ ‏- صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الِاعْتِكَافِ-‏ ‏بَاب ‏ ‏الِاجْتِهَادِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ ‏ রমযানের শেষ দশ দিন আসত, রাসূল স. ইবাদতের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতেন। তিনি সারা রাত জাগতেন এবং নিজের পরিবারের সদস্যদেরও জাগিয়ে দিতেন।

_______________________________ হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত। বুখারী ও মুসলিম উপসংহার: হযরত মুহাম্মদ স. শবে ক্বদরকে রমযানের শেষ দশ রাতে অনুসন্ধান করতে বলেছেন। একটি হাদিসে বেজোর রাতের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে। তবে কোথাও সুনির্দিষ্ট তারিখ ব্যক্ত করা হয়নি। তথ্যসূত্রঃ বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা http://www.islaminbox.tk


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।