আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু বাঙ্গালীয় স্বভাব ও আমাদের কিছু খামোকা ও বিরক্তিকর প্রশ্ন ।

স্বাধীনতা, সে তো আমার প্রিয় মানুষের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেনা

কেমন আছেন ? ভাল না ! কেন ? কি হয়েছে ? ডাক্তার দেখিয়েছেন ? কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন ? না, ঐ ডাক্তার ঠিক হয়নি, অমুক ডাক্তার ভাল । ডাক্তার কি বলেছে ? মেডিসিন নিয়েছেন তো ? ওষুধ ঠিক ঠাক ঠাক খাচ্ছেন তো, আবার কেউ ডাক্তারী দেখাতে সাহস না পেলে ডাক্তার বা ক্লিনিকের নাম বলে. ......কথার যেন শেষই হয় না ! চলতে থাকে একটার পর একটা প্রশ্ব । তার চেয়ে যদি বলা যায়-ভাল আছি । ভাল না থেকেও । এটাই বরং হাজারগুণে ভাল ।

নতুন কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন নেই, ঝামেলা নেই । খামোকা সময় নষ্ট হওয়ারও সম্ভবনা নেই । অনেকেই বলবেন, তাহলে তো আপনি মিশুক প্রকৃতির না । আসলে ব্যপারটা তা না । সময় ও সুযোগ সবসময় হয়ে উঠে ।

নানাজনের নানান ব্যস্ততা থাকে তার উপরে যদি এরকম খামোকা প্রশ্নের উপর প্রশ্ন হয় তাহলে কে বিরক্ত হয় না বলুন ? তবে সেরকম সুহ্রদ হলে ভিন্ন কথা । শুধু তাই নয় - বাঙ্গালীদের বেশিরভাগেরই স্বভাব খামোকা প্রশ্ন করা, উত্তর জানার পরও । বাঙ্গালীদের আরো কিছু খামোকা স্বভাব আছে । এই যেমন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে । হঠাৎ জল বিয়োগ করার প্রকৃতির ডাক, কিন্তু চারদিকে দেখার সময় নেই ।

বসে পড়লেন, কেউবা আবার দাড়িয়েই ছেড়ে দিলেন শ্যালো মেশিন ! রাস্তা -ঘাটে জল বিয়োগ করার স্বভাবটা মনে হয় বাঙ্গালীদেরই আছে বা বেশি । উন্নত দেশগুলিতে তো এরজন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে। একবার এক লোক বাজার থেকে দইয়ের পাতিল কিনে সেটা মাথার উপর বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন । রাস্তায় যত লোক ছিল তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল-মাথার উপর কি ? দইয়ের পাতিল । এরপরের প্রশ্ন-কত দাম ? তারপরে বগুড়ার নাকি অন্য কোথাওয়ের ? ইত্যাদি ইত্যাদি ।

শেষ পর্যন্ত লোকটি এক প্রশ্নকর্তার প্রতি ভীষন ক্ষেপে যেয়ে দইয়ের পাতিল মাথা থেকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন ! যাক, আর দই বাসায় নিয়ে যাব না । দেখি কে প্রশ্ন করে ? একবার একজন নিজের পানি খাওয়া গ্লাস ধৌত করতেছিলেন । দেখাই যাচ্ছে তিনি কি করছেন । তারপরেও একজনের প্রশ্ন -কি করছেন ভাই ? উত্তর- আলাদ্দিনের চেরাগ ঘষতেছি ! আর একটা প্রশ্ন- বাজারে যাচ্ছেন ? উত্তর- না, হা ডু ডু খেলতে যাচ্ছি ! মোল্লা নাসির উদ্দিনের গাধা নিয়ে এরকম একটা গল্প আছে । একবার মোলা নাসির উদ্দিন বাজার থেকে একটা গাধা কিনলেন ।

তিনি জানতেন রাস্তার মানুষজন তাকে গাধার দাম জিজ্ঞাসা করবেন । তাই তিনি একটা প্লাকার্ড বানালেন । প্লাকার্ডে বড় করে গাধার দাম লিখলন-৫০০০ টাকা । এক হাতে গাধার রশি আর এক হাতে প্লাকার্ড ! যা বাবা, এখন দাম জিজ্ঞাসা কর । একটা গল্প দিয়ে শেষ করছি ।

ট্রেনে সহযত্রী। যুবকঃ সালাম আঙ্কেল কেমন আছেন ? ট্রেনে বয়স্ক সহযাত্রীর কোন উত্তর নেই। যুবক ভাবে হয়তো কানে শোনেনি। আবারও একই প্রশ্ন, তাও কোন জবাব নাই। তৃতীয়বারে বয়স্ক ভদ্রলোক ক্ষেপে গিয়ে বলেঃ আমি বয়ড়া নই।

সবই শুনতে পাই। কিন্তু তোমার কথার কোন জবাব দেয়ার ইচ্ছা আমার নাই। আমার বাড়ীতে প্রপ্ত বয়স্ক মেয়ে আছে। যুবক ঃ অ্যাঁ ???? বয়স্ক ঃ হ্যা......। আমি সালামের উত্তর দিলেই তুমি বলবে বাড়ী যাচ্ছেন? আমি হ্যা বললেই জিজ্ঞেস করবে দেশের বাড়ী কোথায়।

তারপর বলবে বাড়ীতে কে কে আছে, কজন ছেলেমেয়ে ইত্যাদি আরও কত খাজুরে গপ্প জুড়ে দেবে। সাথে সাথে নিজের বাবা মা ভাই বোনদের কথাও আমাকে শুনাবে যা শোনার কোন ইচ্ছা আমার নাই। শেষে আমাকে ঠিকানা মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলবে ঢাকায় আসলে আমাদের বাড়ীতে আসবেন। আমাকেও তখন ভদ্রতার খাতিরে তোমাকে আমার নাম ঠিকানা দিতে হবে। আমি তো আর তোমার বাড়ীতে যাবো না।

কিন্তু তুমি যে আমার বাড়ীতে আসবে না সেটা ঠেকাই কি ভাবে। দেখবো একদিন তুমি এসে হাজির আমার বাড়ীতে। মেহমান এলে চা নাস্তা তো দিতেই হয়। আমার মেয়ে চা দিতে আসলে এক নজর দেখে নেবে, তারপর যে পানি আরও কতদুর গড়াবে মাবুদ জানে। তাঁর চেয়ে ভালো আমি চুপ করে থাকি, তোমার সালামের উত্তর দিয়ে আমি ফাঁসি আর কি !!! যুবক ঃ অ্যাঁ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।