আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্য প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের অবদান



সাখাওয়াত হোসেন শাওন ঝালকাঠি থেকে : ক্রমবিকাশের সোপান বেয়ে আসে সভ্যতা। মানুষের চিন্তাচেতনা, মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশই সভ্যতা। সভ্যতার বিবর্তন ধারায় বিভিন্ন সময় আবিস্কার হয়েছে নানা বিস্ময়কর জিনিস। এমনিভাবে, এক বিস্ময় শেষ না হতেই আমাদের সামনে এসে হাজির হয় আরেক বিস্ময়। বর্তমান বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমই হচ্ছে কম্পিউটার।

এখন সারা বিশ্বে চলছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। কাজেই আমাদের চারপাশে বিজ্ঞানের বিজয় পতাকা উড্ডীন এই জন্য বর্তমান বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও শ্রেষ্ঠতম অবদান কম্পিউটার। আর এর কল্যাণে বর্তমান যুগ পরিনত হয়েছে কম্পিউটারের যুগ এই যুগে কম্পিউটার ছাড়া মানুষ এক মূর্হূত চলতে পারেনা। কলকারখানা-রকেট-বিমান-গাড়ী-সরকারী অফিস-বেসরাকী অফিস-এনজিও-স্কুল- কলেজ-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন অফিসের সকল কাজ এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে শুরু করেছে। তাই কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিস্কার।

কম্পিউটারের সাফল্য : কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র যা দ্বারা দ্রুত এবং নির্ভূল গণনা ও তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক হিসাব সংরক্ষনে অন্যান্য ভূমিকা রেখে চলছে। যেসব কাজ মানুষের দ্বারা সম্পন্ন করা অসম্ভব ছিল, যথেষ্ট সময় অপচয় ও ব্যয়সাধ্য ছিল, সেসব কাজ মানুষের দ্বারা সম্পন্ন করে। বর্তমানে মানুষের নিকট সময় অতি মূল্যবান-আর কম্পিউটার হচ্ছে এ মূল্যবান সময় বাচানোর অপরিহার্য যন্ত্র। কম্পিউটার শুধু কাজেই নয়, বরং উন্নত করেছে মানুষের জীবনযাত্রার মানকেও। তাই কম্পিউটারকে মানব সভ্যতার সর্বোৎকৃষ্ট অবদান হিসেবে চিহিত করা যেতে পারে।

ক্রমবিকাশে কম্পিউটার : কম্পিউটারের বিকাশে বিংশ শতাব্দীর শেষপাদে হলেও এর ধারনা সুদুরপ্রসারী। বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ ১৮৩৩ সালে এ সম্পর্কে চিন্তা করেন। কিন্তু পূর্নাঙ্গ ইলেকট্টনিক্ কম্পিউটার আবিস্কার হয় ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪ সালে। সেসময় এর নাম ছিল ‌ইনিয়াক’। তখন এর সাহায্যে সেকেন্ডে তিনশটি গুনের ফল বের করা যেত।

আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের সময় গোপন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এ কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো। ১৯৭১ সালের পর কম্পিউটার জগতে বৈপ্লবিক ভাবে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কম্পিউটারের গঠনপ্রনালীও ক্রমশই উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। কম্পিউটারের গঠনপ্রনালীকে এক একটি বলা হয় জেনারেশন। এভাবে তিনটি ধারা পার করে দিয়ে বর্তমানে চতুর্থ জেনারেশনের কম্পিউটান চলছে।

আগামী দশকে না গিয়েই আমরা ইতি মধ্যে পঞ্চম জেনারেশনরের কম্পিউটার পেয়ে গেছি। বর্তমানে এর ব্যাপকতা ও ব্যবহারের উপায় আরো সহজ করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে হয়তো আগামী ১১ সালের মধ্যে দেশের ৩০% লোক কম্পিউটার চালানোর দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে। কম্পিউটার ও কর্মসংস্থান : বিপুল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ বেকার সমস্যাটা প্রকট। তারপর অফিস আদালত, ব্যাংক, এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশে চাকরীর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।

কাজেই গোটা বিশ্বের বাস্তব অবস্থানকে স্বীকার করে আমরা যদি আমাদের বিরাট জনসম্পদকে বর্তমান কম্পিউটার প্রশিক্ষনে দক্ষ করে তুলতে পারি, তবে তারা অতি সহজেই উন্নত বিশ্বে চাকরীর ব্যবস্থা করে নিতে পারবে। তাতে দেশের বেকার সমস্যা সাশ্রয় হবে। কাজেই আমাদের উচিত কম্পিউটারের প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেকে সাবলম্ভি করে তোলা। তবে দেশের উন্নয়ন ও উন্নতির আশা করা যায়। তাই আমি বলব সৃষ্টির সেরা একজন রক্ত মাংসে গড়া মানুষের তুলনায় কম্পিউটার মাত্র একটি নগণ্যই নয় অতি তুচ্ছ।

কাজেই কম্পিউটারকে মানুষের কল্যানে ব্যবহার করতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.