আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদার তেরেসা... জন্ম শতবর্ষ-এর শ্রদ্ধাঞ্জলি...

দুঃখিত,নীতিমালা ভঙ্গের কারনে প্রভাষক-এর কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে; তবে তিনি "নিরাপদ" ব্লগার!!!

ক্ষুদ্র কিছু প্রকৃতপক্ষেই ক্ষুদ্র, কিন্তু ক্ষৃদ্র কোনোকিছুর প্রতি বিশ্বস্থ হওয়াও মহৎ কিছু! -মাদার তেরেসা মূল নামঃ আগনেস্‌ গঞ্জা বোঝাগহু (Agnes Gonxha Bojaxhiu) জন্মঃ ১৯১০ খ্রীঃ (২৬ আগস্ট; কিন্তু তিনি বলতেনঃ ২৭ আগস্ট; যেদিন তিনি ব্যাপ্টিস্ট ধর্ম মতে দিক্ষীত / গৃহীত হন)-এ। পিতাঃ নিকোলা বোঝাগহু। মাতাঃ ড্রেরেন বোঝাগহু। জন্ম স্থানঃ স্কোপচী, মেসিডোনিয়া (আলবেনিয়া)। ধর্মঃ ব্যাপ্টিস্ট খ্রীস্টান।

বিয়েঃ চির কুমারী। শিক্ষাঃ ৫ বছর বয়স হতে ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পিতার মৃত্যুর পর মায়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে নান হওয়ার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করেন এবং ১৯২৮ সালে নান হিসেবে যোগদান করেন। তখন তার উপাধি হয়ঃ "সিস্টারস্‌ অফ লরেটো" এবং নাম দেয়া হয়ঃ "তেরেসা"। ভাষা জ্ঞানঃ আইরিশ, ইংরেজী, হিন্দী এবং বাংলা।

কর্মজীবনঃ ১৯২৯ সালে মিশনারীর কাজে কোলকাতায় প্রেরণ করা হয় তাকেঁ। এখানে তিনি স্কুল শিক্ষক হিসেবে সেন্ট মেরী স্কুল-এ নিয়োগ পান। ১৯৩৭ সালে নানদের জন্য প্রযোজ্য সর্বোচ্চ খেতাব "মাদার" অর্জন করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি বিদ্যালয়-টির অধ্যক্ষ হোন। বিদ্যালয়ের চাকুরী হতে ১৯৪৮ সালে অবসর নেন।

নতুন বিদ্যালয় স্থাপনঃ ১৯৪৮ সালে কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গরীব ও অসহায়দের জন্য একটি বিদ্যালয় চালু করেন। আর্ত-মানবতার সেবায় গঠন করা প্রতিষ্ঠানঃ মিশনারী অফ চ্যারেটী (১৯৫০), নির্মল হৃদয় (১৯৫২), এতিমখানা (১৯৫৩), কুষ্ঠ পরিচর্যা কেন্দ্র (১৯৫৭)। শ্রেষ্ট কর্মঃ কুষ্ঠ পরিচর্যা কেন্দ্র (১৯৫৭) - যা তাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়। স্বীকৃতিঃ পদ্মশ্রী (১৯৬২), পোপ জন-১৩ শান্তি পুরষ্কার (১৯৭১), নোবেল শান্তি পুরষ্কার (১৯৭৯), মেডেল অফ ফ্রীডম (১৯৮৫)। উইলঃ সমস্ত সম্পদ আর্ত-মানবতার সেবায় গঠন করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করে গেছেন।

মৃত্যুঃ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ (৮৭ বছর বয়সে)। জন্ম শতবর্ষে আর্ত-মানবতার সেবায় পথিকৃত এই মায়ের প্রতি রইলো আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভ-কামনা... পরমেশ্বর আপনার কর্মের প্রতিদান দেবেন... ধন্যবাদ...


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।