আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেরিবাজার রঘুনাথ এলাকায় ইয়াবার জমজমাট ব্যবসা

http://www.facebook.com/samimsikder

নগরীর টেরীবাজার রঘুনাথ মন্দির এলাকায় এখন ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন জমজমাট হয়ে উঠেছে। উক্ত এলাকার এক স্থায়ী বাসিন্দার ছেলে এই ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজেকে একজন ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে এই অপকর্ম চালাচ্ছে। বর্তমানে তরুণ ও যুবকদের কাছে ‘ইয়াবা পাড়া’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে এলাকাটি। কারণ ইয়াবা কিনে খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

একটি ইয়াবা সেবন করতে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ১ ঘণ্টা প্রয়োজন পড়ে। প্রতিটি ইয়াবা ৩০০-৪০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে তরুণ-যুবকরা। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই ব্যবসা। তবে সন্ধ্যায় একটু ভিড় বেশি পরিলক্ষিত হয়। আর এই ইয়াবা বিক্রি ও সেবন যাতে কেউ বুঝতে নাপারে সে জন্য ঘরের ওপর পাইওনিয়ার অডিও ভিডিও রেকর্ডিং সেন্টার নামে একটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে এবং ওই রুমে কিছু ভাঙা ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র রাখা হয়েছে।

পাশের ঘরটিতে একটি বিউটি পার্লার খোলা হয়েছে। উক্ত বিউটি পার্লারে অবৈধ কাজ চলছে বলে জানা গেছে। উক্ত এলাকায় বহু বছরের একটি পুরনো মন্দির রয়েছে। মন্দিরের পিছনেই ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের জায়গা পাইওনিয়ার অডিও ভিডিও রেকর্ডিং সেন্টারের অবস্থান। আর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য মন্দিরের পবিত্রতা নষ্টের পাশাপাশি উক্ত এলাকার তরুণ-যুবকরাও এখন বিপথে পা বাড়াচ্ছে।

এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকার অভিভাবকরা। কম বেশি সকলেই জানে এই ইয়াবা বিক্রির কথা। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। কারণ ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্ষমতাধর। কিছু বললে উল্টো হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

গভীর রাত পর্যন্ত ইয়াবা সেবন চলতে দেখা যায়। প্রতিদিন দিন রাত ৩-৪ জন করে দল বেঁধে তরুণ-যুবকরা আসতে থাকে। এসে মন্দিরের পিছনে অবস্থান নেয়। তারপর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ঢুকে পড়ে ঘরে। ঘরটির বাইরে কপাপসিবল গেট আছে।

আর ভেতরে রয়েছে বড় পর্দা। ক্রেতারা ঢুকার পর পর্দা দিয়ে পুরো ঢেকে দেয়া হয় যাতে করে বাইরে থেকে দেখে বুঝা না যায়। তারপর ১-২ ঘণ্টা পর উক্ত ঘর থেকে দলে দলে তরুণ-যুবকদের বের হতে দেখা যায়। এভাবেই চলছে প্রতিদিন


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.