আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজ : সমস্যার অন্ত নেই

নাজমুল ইসলাম মকবুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার অন্যতম প্রধান বিদ্যাপিঠ বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজ ১৯৮৫ইং সনে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের অদুরে ৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ইং সনে এ কলেজটি জাতীয়করণ হয়। এই কলেজে বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় একহাজার ছাত্র/ছাত্রী। কলেজটিতে ৪০ জন অনুমোদিত শিক এর মধ্যে শুন্য রয়েছে ২৩ টি পদ। কলেজটির প্রদান সমস্যা শিক স্বল্পতা, ছাত্রাবাস শুণ্যতা, শ্রেণীকরে স্বল্পতা।

ছাত্র/ছাত্রীর ডরমেটরী, লাইব্রেরী, কমন রুম, বাথরুম, ক্যান্টিন, মিলা,নায়তন সমস্যাসহ নানা সমস্যার কারনে শিক ও ছাত্র ছাত্রীরা চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কলেজে ডিগ্রী কোর্স চালু করা হয়েছে চার বছর আগে। কিন্তু শিক সংকট সবচেয়ে প্রকট আকার ধারন করেছে। শিকদের শুণ্য পদের মধ্যে রয়েছে ডিগ্রীতে বাংলা ২জন, ইংরেজী ২জন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ২জন, সমাজ বিজ্ঞান ২জন, ইসলামের ইতিহাস ২জন, ভূগোল ২জন, দর্শন ২জন। ইন্টার মিডিয়েটে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ১জন, কম্পিউটার বিভাগে ১জন, কমার্স বিভাগে ৪জন।

বর্তমানে এ কলেজে ১৭ জন শিক ও ১৩ জন খন্ডকালীণ শিক রয়েছেন। ৪ জন এম.এল.এস.এস. দিয়ে অফিস কার্যক্রম চালানো কঠিন বলে জানান কর্তৃপ। জনবলের অভাবে অনেক সময় অফিসিয়াল কাজ শিকদের করতে হয়। তাছাড়া ভবনের সমস্যা থাকার কারনে ছাত্র/ছাত্রীদের গাদাগাদি করে পাঠদান করতে হয়। পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের হোস্টেল না থাকায় বিভিন্ন এলাকার ছাত্র/ছাত্রীরা ম্যাচে থাকার কারণে তাদেরকে প্রতিনিয়তই নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কলেজে বিগত বছরের তূলনায় এবছর ছাত্র/ছাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। এপর্যন্ত পাশের গড় ৭০%। এদিকে কলেজে লাইব্রেরী থাকলেও শিক ও বইয়ের অভাবে রুমটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কলেজের সামনে একটি নিজস্ব মাঠ থাকলেও তা খেলার অনুপযোগী, কারণ মাঠটি নিচুঁ হওয়ায় বছরের সিংহভাগ সময় কাদা ও পানির নিচে তলিয়ে থাকে, বাকি সময়টুকু গরু ছাগলের দখলে থাকে। এছাড়া কলেজটির নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক দূরবর্তী শিার্থীদের বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এছাড়া কলেজের বয়স ২৫বছর হয়ে গেলেও কলেজের চারদিকে বাউন্ডারী দেয়াল ও গেট নির্মাণ করা হয়নি। অনেক জনপ্রতিনিধি ও ধনাট্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্র“তি দিলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। কলেজ এলাকায় একটি বড় গর্ত রয়েছে যা ভরাট করা জরুরী। তাছাড়া এখানে কোন শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিবস পালন করতে ছাত্র/ছাত্রীদের অনেক সমস্যা হয়। কলেজ ছাত্র জুয়েল আহমদ ও ২য় বর্ষের ছাত্রী তিশা জানান লাইব্রেরী বন্ধ থাকার ফলে আমাদের বিভিন্ন নোট তৈরি করতে চরম বে-কায়দায় পড়তে হচ্ছে এবং বিনোদন ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থাও নেই।

কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক মোঃ আব্দুল সহিদ জানান কলেজের জরুরী ভিত্তিতে একটি ভবন ও শিকদের শুণ্য পদ পূরণ দরকার। কলেজের সকল সমস্যার দ্রুত সমাধান দেখতে চান উক্ত কলেজের শিক, অভিভাবক ও শিার্থীরা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।