আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐকিক নিয়মের চ্যাপ্টার

নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই

কেরোসিন কাঠের আধখোলা ডেস্কে বসে যে ছেলেটা গণিতের হোমটাস্ক করে তাকে আমার নাম ধরে ডাকো । সে ফিরে তাকাবে। তার সামনে লাল বলপেনে দাগানো একটা ইম্পোর্টেন্ট প্রশ্ন। ষান্মাসিকে আসতে পারে - ৩০০ জন সৈনিক যা খায় অন্যত্র ২০০ জন চলে গেলে সেই খাদ্যে তাদের কতদিন চলবে। অথচ উদাহরণে, উত্তরমালায়,এমন কি নোট বইতেও বলা নেই - সৈনিকরা খাদ্যগ্রহণ ছাড়া আর কি পারে, আর কেন তাদের জন্য ক্লাসের সবাইকে তাদের খাবারের হিসাব মেলাতে হবে! ক্লাসের ফার্স্ট বয় সবজান্তার মতো হেসে বলেছে, "নম্বর পেতে এত জানা লাগেনা, যদি ১ জন সৈনিকও বেঁচে থাকে সে যুদ্ধ করুক বা না করুক তাকে ৩০০ জনের খাবার খেতে দিতে হয়"।

সেই রাতে অঙ্কের টিচার বাসা এসে মিশ্রণের হিসাবটা বোঝায়। দুর্নীতিপরায়ন গোয়ালা ৩ লিটার দুধ বিক্রি করলে ১ লিটার পানি মেশায়। তিনি বার বার সতর্ক করে যান সৈনিকদের খাবারে যাতে ভেজাল দুধ না যায়। আমি তখন তৃতীয় সমস্যায় আটকে গেছি। বইতে একটা বানরকে অমানবিক ভাবে একটা তেলমাখা বাঁশে তুলে দেয়া হয়েছে।

আমি জানি বানরদের খুব খিদে পায়, দুটো বাদামের জন্য চিড়িয়া খানায় এমন ভাবে লাফায় যে ভারী কষ্ট হয়। সৈনিক আর বানর ছাড়া সেই চ্যাপ্টারে আর কিছু ছিল না। সুতরাং বুঝে যাই এই অকাজটা সৈনিকদেরই। যাতে তাদের খাবার কম না পড়ে সেজন্য অবুঝ প্রাণীটাকে উপরে তোলে - আর ছড় ছড় করে নিচে পড়তে দেখেও এগিয়ে যায়না। পরীক্ষায় ক্ষুধার্ত বানরটার জন্য লুকিয়ে কিছু খাবার রেখে দেয়ায় বাবা অপদার্থ বলে গাল দিয়েছিল।

এভাবে ক্রমাগত অঙ্কের পরীক্ষায় ফেল করার পর - আমি শিখে যাই, -এত বেশী প্রশ্ন করতে নেই। -সৈনিকরা খেতে থাকলে খাবারের যোগান দেয়াই আমাদের কাজ, -দুধে ভেজাল থাকাটাই স্বাভাবিক, আর -হাতে তেল লেগে থাকতে দেখলে আয়নাতে মুখ দেখা নিষেধ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।