আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাখিও সন্ত্রাসী!

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি

আমরা এতদিন জানতাম মানুষ সন্ত্রাসী হয়। এখন জানা গেল, পাখিও নাকি সন্ত্রাসী হতে পারে! এর আবার উপযুক্ত কারণও নাকি আছে! সে কথা গবেষকরাই জানালেন। এরা ছিল মাংশাসী। এ অতিকায় পাখি উড়তে পারতো না। দেখতেও ছিল ভয়ঙ্কর।

কিন্তু এরা পাঁচ কোটি বছর ধরে দক্ষিণ আমেরিকা চষে বেড়িয়েছে। অবশেষে তারা ডায়নোসরের কাছে পরাস্ত হয়। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এ সব পাখিদের সূঁচালো ও ধারালো ঠোঁট ছিল। এ ঠোঁট দিয়ে তারা শিকারকে প্রথমে খুব দ্রুত আক্রমণ করতো। তারপর ঠোঁট দিয়ে শিকারকে ঠুকরে ঠুকরে ছিঁড়ে ফেলতো।

শিকার হওয়া প্রাণীটি নিজেকে বাঁচানোর কোনো সুযোগই পেতো না। অবশেষে নিজে পাখিটির খাদ্যে পরিণত হতো। এ পাখিদের শরীর ছিল আবৃত, জানালেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের প্যালিওস্টোসিন বিজ্ঞানী ড. স্টিভ রি। তিনি জানালেন, এদের অনেক ঠোঁট ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি, তারা এ ঠোঁটগুলো খুব সাবধানের সাথে নির্ভুলভাবে কাজে লাগাতো।

ড. রি আন্তর্জাতিক একটি দলের হয়ে এ বিস্ময়কর এ সৃষ্টির অদ্ভূত শিকারী আচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন। দক্ষিণ আমেরিকা যখন একটি মহাদ্বীপ ছিল, তখন এ পাখিরা সেখানে রাজত্ব করে বেড়াতো। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে এরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। গবেষকরা এদের ১৮টি প্রজাতির অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছেন। পৃথিবীতে এখন আর এ ধরনের শিকারী পাখির খোঁজ মেলে না।

তাছাড়া এখনকার পাখিদের সাথে এর বৈশিষ্ট্যের কোনো মিলও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে তারা এ সন্ত্রাসী পাখির কঙ্কাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নাম দিয়েছেন আন্দালগালোরনিস। ছয় মিলিয়ন বছর আগে এ অদ্ভূত প্রাণী (পাখি) উত্তরপশ্চিম আর্জেন্টিনায় চড়ে বেড়াতো। গড় উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। আর ওজন ছিল প্রায় ৪০ কেজি!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।