আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূচির ফিল্মি ষ্টাইলের প্রেম ॥ ঘর ভাঙ্গলো সহিদের

mamun.press@gmail.com

ঘটনাস্থল ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর গ্রাম। গ্রামের খানে বাড়ির ছায়দুল হকের মেয়ে সিলোনীয়া মাদ্রাসায় পড়–য়া ফারজানা আক্তার সূচি (১৯) আসা-যাওয়ার পথে প্রতিদিন দেখা হত একই গ্রামের সফি ডাক্তারের পুরান বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে শামীমের সাথে। ব্যস শুরু হলো ফিল্মি ষ্টাইলের প্রেম। দেখাদেখি চোখ মারামারি , মোবাইলে কথা বলা সেরকম নানা কিছু। এ অমর প্রেম কাহিনী আস্তে আস্তে অভিভাবকের কানে যায়।

মেয়ের নানা সাত্তার আমিন তোড়জোড় শুরু করেন তাকে বিয়ে দেয়ার। যথারীতি পাত্রের খোঁজ। প্রেমের খবর গোপন রাখতে মেয়েটিকে নানার বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলার তালতলিতে নিয়ে ওখানে বিয়ের যাবতীয় কথাবার্তা পাকাপাকি হয়। ফাঁদে পড়তে শুরু করেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ছেলে সহিদ উল্লাহ। ২০১০ সালের ১০ এপিল সূচির সাথে সহিদের শুভবিবাহ সম্পন্ন হয়।

স্বামী সহিদ স্ত্রীকে চট্টগ্রামের বাসায় নিয়ে যান। ওখানে তাকে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। কিন্তু বিয়ের পরও থামেনি সূচির প্রেম। গোপনে চলতে থাকে মোবাইল প্রেম। নানা ছলে বলে ও কৌশলে শামিম সূচিকে ফাদে ফেলে।

গত ৩ আগষ্ট দুপুরে মাদ্রাসার পরীা শেষে বান্ধবীর জন্ম দিনের প্রোগ্রামে যাবে বলে বাসা থেকে কাপড়,স্বর্ণ গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিক শামীমের হাত ধরে চলে আসে ঢাকার পথে। সেখানে শামীম ও বন্ধু সাগরও তার সহযোগীরা তাদের জন্য বাসা ভাড়া করে। কিন্তু বিধি বাম এখবর পৌছে যায় তিন পরিবারের সবার কাছে। পথে নানা বাধা বিপত্তি শেষে তারা গন্তব্য ঢাকায় ঠিকই পৌছায়। এদিকে বাসায় ফিরতে দেরী দেখে স্বামী সহিদ উক্ত বান্ধবীর বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে শশুরবাড়িতে খবর পাঠায় এবং চট্টগ্রামের চাঁদগাও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

পরে জানতে পারেন তার স্ত্রী পুরনো প্রেমিক শামিমের হাত ধরে পালিয়েছে। অপরদিকে মেয়ের পরিবার অনেক খোজাখুজির পর শামিমের বন্ধু সাগরের আতœীয়ের বাসা থেকে সূচিকে পরদিন উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের কাছে পৌছে দেয়। চেয়ারম্যান উভয় প থেকে মুছলেকা নিয়ে সালিশের মাধ্যমে ঘটনার সমাধান করবেন বলে মেয়েকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে শামিম সূচিকে বন্ধুর কাছে রেখে পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন। জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের কাছে শািমমের পিতা ফোন করে জানায় সূচি শামিমের হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছে, আমি তাদের ধরে এনে আপনার সামনে হাজির করছি।

এ বলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন। মেয়ের অভিভাবকদের দাবী শামীমের পিতার যোগসাজসে এঘটনা হয়েছে। নচেৎ তিনি সবার আগে এঘটনা কি করে চেয়ারম্যানকে জানালেন ? মেয়ের দাদা আবু মিয়া ও স্থানীয় আবদুল মোতালেব জানান, ২ সপ্তাহ পার হলেও চেয়ারম্যান এবিষয়ে কোন বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেননি। ফলে এনিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। ছেলের প থেকে জানা গেছে, কনে প প্রেমের ঘটনা আড়াল করে বিয়ে দিয়ে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে।

উল্লেখ্য, ফিল্মি ষ্টাইলের এই প্রেমের ঘটনা এককান দু’কান করে ফেনী ও নোয়াখালি ছড়িয়ে এখন দেশ বিদেশে। উৎসুক লোকজন মেয়েটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে বলে জানাগেছে। - ফেনী / ১৮ আগষ্ট/ ০২০০ঘ.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।