আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গয়নাও কাপড়ের তৈরি

সোনা-রুপা, বাঁশ, বেত ও কড়িমাটি—সাধারণত এমন উপকরণের গয়না বেছে নেন মেয়েরা। এর বাইরে যাঁরা একটু ভিন্নধর্মী সাজ পছন্দ করেন, সাজ নিয়ে নিরীক্ষা করেন; তাঁরা চাইলে পরতে পারেন কাপড়ের গয়না। চোখ কপালে উঠল নিশ্চয়! কাপড়ের আবার গয়না কী! এখন অনেকেই পোশাকের সঙ্গে বেছে নিচ্ছেন নানা ধরনের কাপড়ের গয়না। শুধু বাজার থেকে কিনে নয়, নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বানাতে পারেন এ ধরনের গয়না।
দর্জির দোকান।

চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রকমারি কাপড়ের টুকরা। একটু বুদ্ধি করলে এই কাপড়ের টুকরা দিয়েই বানাতে পারেন গয়না। পোশাক বানানোর পর কিছু বাড়তি টুকরা থাকে। রং-বেরঙের সুতার সঙ্গে সেই কাপড়ের টুকরাগুলো নানা কায়দায় সেলাই করে বা আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন। সঙ্গে যোগ করতে পারেন কড়ি বা ছোট ঘণ্টা।

ব্যস, হয়ে গেল ভিন্নধর্মী গয়না।
ফ্যাশন হাউস রঙ-এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা জানান, কাপড়ের গয়না কোন ধরনের পোশাকের সঙ্গে পরছেন, সেটি প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। মিলিয়ে না পরে কনট্রাস্ট করে বা পোশাকের কোনো একটি রং কিংবা পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরা যেতে পারে। এতে একঘেয়েমি লাগবে না।
দেশীয় বিভিন্ন মোটিফে তৈরি এসব কাপড়ের গয়না পাওয়া যায়।

কোনোটি গামছার কাপড় ও কড়ি মিলিয়ে বানানো, কোনোটিতে পাখা বা নকশিকাঁথার নকশা করা। দেশীয় বা পাশ্চাত্য—দুই ঢঙের পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের গয়না মানানসই। তবে পরিবেশ ও বয়সের বিষয়টা বিবেচনায় রাখতে হবে। কম বয়সের মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তার সঙ্গে হাতে বাহারি রঙের কাপড়ের বালা পরতে পারেন। শুধু একটা লম্বা মালাও ভালো দেখাবে।


শাড়ির সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে এসব গয়না মানিয়ে যায়। হাতাকাটা ব্লাউজ পরলে বাজু হিসেবে পরা যেতে পারে। বিশেষ কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে কোমরে কাপড়ের বিছা পরতে পারেন। আবার পুরো খোঁপাকে সাজানো যেতে পারে কাপড়ের গয়না দিয়ে। মালাটাই নানা ঢঙে পেঁচিয়ে বাজু বা বিছা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

চেক বা ফুলেল নকশার শাড়ি হলে খুব বেশি গয়না না পরাই ভালো। তখন হাতে বালা ও কানে বড় দুলই মানানসই হবে। সন্ধ্যা বা রাতের অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী উজ্জ্বল রঙের কাপড়ের গয়না। কয়েকটি মালা একসঙ্গে পরলে জমকালো ভাব আসবে চেহারায়। দিনের বেলায় হাতে বা কানে কিংবা গলায় অর্থাৎ যেকোনো একটা গয়না পরা উচিত।


রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন মনে করেন, এ ধরনের গয়নার সঙ্গে হালকা সাজ মানানসই। তবে চোখকে কাজল ও আইশ্যাডো দিয়ে আকর্ষণীয় করতে হবে। সোনালি, বাদামি ও ধূসর রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু গয়না খুব বর্ণিল, সাজে তাই উজ্জ্বল রংগুলো একটু এড়িয়ে চলা ভালো। ঠোঁটে পিচ, মভ বা হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন।


কাপড়ের গয়না পরলে চুলটা নানা ঢঙে সাজাতে পারেন। কার্লার দিয়ে কোঁকড়া করতে পারেন চুল। চুলে ঝাঁপটার মতো করে গয়না পরলে ভালো দেখাবে। আবার আইলাইনার দিয়ে চোখ টেনে একটু উঁচু করে বাঁধতে পারেন। খোঁপা বা ঝুঁটিতে পেঁচিয়ে দিতে পারেন কাপড়ের মালা।


ফ্যাশন হাউস রঙ, যাত্রা ও ঢাকার গাউসিয়ায় পাবেন এমন গয়না। আর নিজের মতো করে বানানের সুযোগ তো আছেই। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.