আমি বিদ্রোহী
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি
বাংলাদেশে সফলভাবে
কৃত্রিম অঙ্গসংযোজন
রিবেল মনোয়ার
প্রতিবছর বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষ নানা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়ে তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়। অন্ধকার গহ্বরে পর্যবর্সিত জীবন অতিবাহিত হয় দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে। এসব অঙ্গ হারানো মানুষদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আর বিদেশ যেতে হবে না। সাইফুল ইসলাম সামিনের কৃত্রিম পা সংযোজনের মাধ্যমে প্রমাণ হলো কৃত্রিম অঙ্গসংযোজনে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এনডোলাইট বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এনডোলাইট বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর নির্মল কান্তি দেব রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পঙ্গু হাসপাতালের অধ্যাপক ড. এমএ সামাদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ড. সামন্তলাল সেন, এনডোলাইট বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার শেখ খালিদ বিন রওশন, সেলস্ এন্ড মার্কেটিং পার্টনার খালেদ হোসেন শাহিন প্রমুখ।
অধ্যাপক এমএ সামাদ বলেন, উচ্চ প্রযুক্তির কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের জন্য আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা সফল হয়েছি সামিনের পা সংযোজনের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য গত ২০ জুন ২০০৮ সালে তেজগাঁও এলাকায় প্রথম আলোর সাংবাদিক সামিন খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারায়।
তারপর দীর্ঘ নয় মাস নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এনডোলাইট বাংলাদেশের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন বিশেষজ্ঞ শৈবাল ঘোষ ও নির্মল কান্তি দেবের নেতত্বে ড. এমএ সামাদ এ সফরতা অর্জন করেন। সামিন এখন কারো সহায়তা ছাড়াই হাঁটতে পারছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।