আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাশিয়ান মুভি Prisoner of the Mountains(1996)

...

প্রখ্যাত রুশ পরিচালক সের্গেই বাদরভ পরিচালিত যুদ্ধের পটভুমির জীবনঘনিষ্ট ছবি প্রিজনার অফ দা মাউন্টেইন্স(রুশঃ কাভকাজেস্কি প্লেন্নিক)। মূল চরিত্রে অভিনয় করেন পরিচালকের ছেলে প্রয়াত অভিনেতা সের্গেই বাদরভ জুনিয়র। এক সেনা টহলের সময় মুসলিম চেচেন যোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় রুশ মিলিটারি কনভয়। চেচেন যোদ্ধারা দু'জন রুশ সৈন্য(একজন সেনা সার্জেন্ট, আরেকজন তরুন সৈনিক) আটক করে নিয়ে যায় চেচনিয়ার প্রত্যন্ত এক গ্রামে। আটক দুজন রুশ জানতে পারে, তাদের হত্যা করা হবে না।

বরং আটকের উদ্দ্যেশ্যেই তাদের কনভয়ে এমবুশ করা হয়েছিল। আসলে তাদের ধরেছিল গ্রামের মুরব্বী গোছের জনৈক আবদুল, যার ছেলে আটক আছে রুশ বাহিনীর হাতে, সে এই দুই সৈনিকের সাথে তার ছেলের বন্দী বিনিময় করতে চায়। আটক জিম্মিদের নিয়ে নিজের ছেলেকে উদ্ধারের আলোচনা চালিয়ে যায় আব্দুল। রুশ সৈন্যরা ছিল আব্দুলেরই বাড়িতে। তাদের রাখা হয় গোয়াল ঘরে, ঘরের বিছানায়।

জিম্মি আটক দশা থেকে এক সময় তারা সেই দরিদ্র চেচেন পরিবারেরই সদস্য হয়ে যায় এক রকম। গৃহস্থালি কাজে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করে তারা। শত্রু থেকে সম্পর্ক ক্রমশ বন্ধুত্বে গতারে থাকে। কিন্তু গ্রামবাসী শত্রুদের সাথে এই বন্ধুত্ব ভাল চোখে দেখে না। আব্দুলের কিশোরী মেয়ে প্রেমে পড়ে জিম্মি থাকা তরুন রুশ সৈনিকের।

সে লুকিয়ে জিম্মি সৈন্যদের জন্য খাবার নিয়ে আসত। কিন্তু বাইরে কঠোর পিতা আব্দুলের ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারে না। দুজনের মধ্যে সার্জেন্ট ছিল প্রকৃত যোদ্ধা। সে চেচেনদের বিশ্বাস করতে পারেনি। পালানোর বুদ্ধি আঁটতে থাকে।

কিন্তু অপর সৈনিক অকারন উত্তরাধিকার শত্রুতায় বিশ্বাসী ছিলনা। এক দেশ, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক বর্ণ; তাহলে কেন এই শত্রুতা? চেচেনরা রাশিয়ান্দের আজন্ম শত্রু মনে করে, গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই আছে স্বজন হারানোর বেদনা, কারও ছেলে, কারো বাবা; সবাই রুশ দের সাথে যুদ্ধে স্বজন হারিয়েছে। অপর দিকে রুশরাও এক বিন্দুও বিশ্বাস করেনা চেচেনদের। প্রতিদিনই এক জন/দু'জন মারা পড়ছে চেচেনদের সাথে যুদ্ধে। কিন্তু কেন এই নিছক শত্রুতা? শুধু ধর্মের বিভাজন বলে? কেবলই উত্তরাধিকার সূত্রে জাতিতে জাতিতে বয়ে বেড়ানো এই অহেতুক শত্রুতা? তরুন সৈনিক ইভান এই কৃত্তিম দুশমনিতে বিশ্বাস করেনা।

সে আব্দুলের কিশোরী কন্যা দিনা-কে সরাসরি বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তাদের মাঝে আছে ধর্মের দেয়াল আর পাহাড়ো সম জাতিগত ঘৃণা আর শত্রুতা। এভাবেই যুদ্ধ আর ভালবাসার দোতানায় এগিয়ে গেছে কাহিনী। শেষের দিকে কিছু নাটকীয়তা আছে, সেটা আর বলে দেখার মজা নষ্ট করলাম না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।