আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন উপকূলের অনেক জনপদ

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে ওই এসব এলাকার গাছপালা উপড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর পড়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বুধবার রাত ১টা থেকেই বরগুনা জেলার সদর, বামনা, বেতাগী  ও পাথরঘাটা এই চার উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি।
অপরদিকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, কলাপাড়া, দশমিনা, মীর্জগঞ্জ উপজেলা ও কুয়াকাটা পৌরসভা এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলার চার উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হতে পারে।


তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৈদ্যুতিক লাইনের উপর প্রচুর গাছ পড়েছে। এতে করে অসংখ্য জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। তা ঠিক করতে একটু সময় লাগবে।
ঝড়ের পর পরই বিদ্যুৎ বিভাগের একশ’ কর্মী কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি তারা তদারকি করছেন।


এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় এ চার উপজেলার মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে এসব জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবস্থাও নাজুক হয়ে পড়ায় সংবাদকর্মীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে জানান দেশের প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশন লোকবেতারের স্টেশন ব্যবস্থাপক মনির হোসেন কামাল।
অপরদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী হাফিজ আহমেদ জানান, ঝড়ের কারণেই গাছপালা পড়ে বিভিন্ন উপকূলীয় উপজেলা এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
তিনি জানান, গলাচিপা উপজেলা শনিবার দুপুরের পর এবং কলাপাড়ায় রাতের কোন সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হতে পারে।
মীর্জাগঞ্জ উপজেলার গ্রাহকরাও শনিবার বিকালের পর বিদ্যুৎ পাবেন এমন আশা প্রকাশ করে প্রকৌশলী হাফিজ আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে দশমিনা উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়েছে।

সদরের বাইরের গ্রাহরা এখনো বিদ্যুৎ পাননি।
তবে কুয়াকাটা পৌরসভায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে আরো ২-৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান পল্লী বিদ্যুৎ সমতিরি এই কর্মকর্তা।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.