আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শশুড় বাড়ি, মধুর হাড়ি..........আহা! কি মজা! , কি সুখ! আকাশে বাতাসে (ইহা একটি অতি সন্তোষ্টিমুলক পোষ্ট, অবশ্যই নিজ দায়িত্বে পড়বেন)

পথের সন্ধানে পথে নেমেছি.........
'শশুড় বাড়ি, মধুর হাড়ি' এটা প্রায় সকলেই জানে কিন্তু ঐ মধুর হাড়ির স্বাদ কয়জনের ভাগ্যে জুটে বলুন! আমার মত ভাগ্য না হলে কি সেই হাড়ির খবর লওয়া যায়? আর এই হাড়ির স্বাদ যে একবার পেয়েছে তার আর অন্য হাড়িতে রুচি হওয়ার নয়। জামাই আদর যে কাকে বলে, জামাই হলেই তবে তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়, তার উপড় যদি হওয়া যায় বড় জামাই!!। আর কোনক্রমে সবে ধন নীলমনি হলে তো কথাই নেই। সাবধান!!! তাই বলে কেও আবার আমাকে ঘরজামাই ঠাওরাবেন না কিন্তু!! এই অধম! ঠিকঠাক ভাবেই বাংলার অতি সু!পুরুষদের মতই নিজ আলয়ে বউ বাচ্চা নিয়া বহাল তবিয়তেই সুখেই দিনাতিপাত করে যাচ্ছে (যাচ্ছিলাম)। তবে, শাশুড়ী আম্মার অতি আদরের অত্যাচারের ফলে প্রতি সপ্তাহে কম করেও ৩/৪ দিন সদলবলে উনার কদমবুচি নেওয়াটা হয়ে গেছে এই অভাগার জন্যে নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কেরই একটা অংশ.....কি আর করা।

এরকম অতি আদরের অত্যাচারে অত্যাচারিত হবার পরেও একনাগাড়ে দীর্ঘদিন কেন মেয়ে ও অতি আদরের নাতনীকে শশুড়ালয়ে থাকতে দেওয়া হয়না সেই গন্জনাও শুনতে হয় প্রতিনিয়ত। গন্জনা শুনে শুনে যখন আমি প্রায় ধাতস্হ হয়ে যাচ্ছিলাম তখনই বাধ সাধলেন স্বয়ং বিধাতা!!!!। তিনিই তার মহান কুদরতিতে করে দিলেন অতি আদরের অত্যাচারের সেই সু-ব্যবস্হা। বউ বাচ্চা নিয়ে দুই মাস যাবৎ শশুড়ালয়ে বহাল তবিয়তেই আছি। খাওন দাওনের কোন ঝামেলা নাই।

বলার আগেই খাবার হাজির, তাও আবার পছন্দের সব রকমারী খাবার। আপনাদের দোয়ায়, বেশ ভালই আছি, সুখে স্বাচ্ছন্দে আরামেই যাচ্ছে জীবন, আহ! কি সুখ! আহা, কি মজা!! খাও আর নাক ঢেকে ঘুমাও......সুখের যেন কোন শেষ নাই.......আষাঢ় মাইস্যা বানের মত। আপাদত এই বান ঠেকানোর মত কেউ না থাকলেও যথাশীঘ্রই তাতে অন্য একজনের ভাগ বসানোর সমুহ সম্ভবনা! আছে আর সেই দু:খেই আমি মাঝে মাঝে দু:খবিলাসী!!!!!!!!!!! সে যাক, আপাদত সেই চিন্তা বাদ দিলেও মজার মজার সব খাবার খেয়ে দিনদিন কেমন যেন মুটিয়ে যাচ্ছি, আর সেই চিন্তায় এখন আমার ঘুম হারাম হওয়ার যোগাড়। বাজাতে বাজাতে যেমন বাদক তেমনি খেতে খেতে খাদক, খাচ্ছি আর খাচ্ছি.......কি আর করব বলুন, না বলতে পারি না যে একদম। না বলায় যদি উপস্হিত থাকে হরেক রকমের খাবার আবার কোনক্রমে মুখ ফসকে যদি কোন খাবারের নাম বের হয়েই যায়, তবে পরের বৈঠকেই দেখি সেই অতিপ্রিয় খাবারের গড়াগড়ি, আহ! কি মজা! তখন আমার মনে হয় মানুষ বিয়ে করেই মজার মজার খাবার খাওয়ার জন্যে।

এই সেদিনের কথাই ধরন না, খাওয়ার টেবিলে কথায় কথায় বলেছি মাছের কোপ্তা? সেতো ভাল হয় কেবল চিতল মাছ দিয়েই, বললাম তো মরলাম.....পরের দিনই দেখি প্লেট ভর্তি চিতল মাছের প্লেট ভর্তি কোপ্তা আহ! সে কি মজা!!! একবারে জিভে পানি আসার মত। আবার সেদিন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বললাম, আজ খিচুরী খাওয়ার দিন......ওমা!!! টেবিলে যেয়ে দেখি ইলিশ-খিচুরী সেকি, সুবাস!!! আহ!!!!!। মনে হল আলাইদ্দিনের চেরাগ!!!!!আমার হাতে। তারপরও কোন কিছুর ঘাটতি যদি পড়েই যায় তা পুরনের সু- ব্যবস্হাও আছে..... আমারই একমাত্র সুযোগ্য কন্যা, তার কানে কোনমতে পৌছে দিলেই হয়ে গেল, ব্যাস। আর সিজনাল ফল ফলাদি ও মিষ্টান্ন, সেতো আছে অনবরতই, খেতে খেতে মুখে একেবারে অরুচিই এসে গেল।

এতসব সুখ? এর মধ্যেও কিন্তু কিঞ্চিত একটা শর্ত আছে...... এই সব স্বর্গীয় সুখের জন্যে প্রধানতম শর্তই হচ্ছে শাশুড়ী আম্মা অবশ্যই অবশ্যই থাকতে হবে, নতুবা আপনার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। এর ব্যত্যয়ে কেউ কিছু আশা করলে গনেশ উল্টেও যেতে পারে এবং বিপরীত কিছু ঘটে যাওয়ার সমুহ সম্ভবনা তো থেকেই যায়। এছাড়া আরও আছে কিছু ছোটখাট শর্ত ও সাথে কিছু কিছু তেলেসমাতি!!!!!! বি: দ্র: - (এখানে উপযুক্ত নজরানা সহ গোপন সব রহস্য বাতলানো হয়, বিফলে মুল্য ফেরত)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।