আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেন্চুরী করলাম...ইটস আ টাইম টু ডিস্কো...ট্যাটু টু ট্যাটু টু ট্যাটু টু

*~*জীবনে যত কম প্রত্যাশা থাকবে ... .. . তত বেশী ভালো থাকা যাবে*~*

প্রায় ২ বছর ১ দিন ধরে ব্লগে নাচানাচি করছি। আফসোস আজ ও একটা সিরিয়াস টাইপের পোস্ট টাইপ করতে পারিনাই। বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্লগে আসি,যতক্ষণ থাকি নাচানাচি (মজা)করতেই থাকি। সেই প্রথম থেকে সব পোস্ট আমি দিয়ে শুরু আর আমি দিয়েই শেষ। অনেকরেই দেখি আমারে গাধী ভাবে ,ডাকেও।

সেইসবদিক বিবেচনা করলে আমার মতন লেবান্ডিশমার্কা গাধীরে দেওয়ালে মাথা থেকে হাজারবার ঢুঁশা দিলে ও সিরিয়াস পোস্ট বের হবে না। একবার ভেবেছি কবিতা লিখে ১০০তম পোস্টটা সেলিব্রেট করি। অনেক চিন্তা করে শুধু ৩ লাইনই মাথা থেকে বের হলো "আমি-তুমি ঘাস খাই,গরুরা উড়ে যায়,পাখীরা করে হায় হায়"। নিজের প্রতিভায় রীতিমতন পল্টি খাবার দশা । যাইহোক বাস্তবে ক্যাবলী আর লেবান্ডিশমার্কা হবার ফলে এইজনমে আর কোনরকমের নিজের পরির্বতন ঘটাতে না পারি ব্লগে কয়েকদিন পরে পরে নিজের নিত্যনতুন পরিবর্তন করতে( প্রোফাইল-পিক) অনেক ভালো লাগে।

১০০তম পোস্ট টা তাই নিজের সব প্রোফাইল-পিক নিয়েই দিলাম...... *জংলী জেরী... জংলী জেরী নামটা কেন বললাম সেটা পরে বলি। এই হাসি-খুশী জেরীর পিকটা আমার এক কলিগ ভাইয়ার কাছ থেকে পেয়েছিলাম। এত ভালো লেগেছিল যে ছবিটা ডেস্কটপেই রেখে দিয়েছিলাম। জেরীর পিকটা এনিমেটেড ছিলো যখনই দেখতাম জেরী আকাশ-পাতাল এক করে হাসছে দেখে ভালো লাগতো। ব্লগের প্রথম দিকে অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে দেখা গেল প্রায় সময় ব্লগেই থাকতাম ।

আর প্রথমদিকে ব্লগে আসলে কম-বেশী সবাই মনে হয় অনেক কমেন্টস করে আর ক্যাঁচালও করে। তখন তো বুঝতাম না ব্লগে সুশীল থাকলে আর ভাতে মারা পড়বো না। সেইরকম এক ক্যাঁচালে কাকে (নাম মনে নেই) জানি তার পোস্ট প্রসংগে বলেছিলাম এরকম পোস্ট দিয়ে লজ্জ্বা হওয়া উচিত। উল্টা সেই ব্লগারই আমাকে বলেছিলো ইঁন্দুরের যে নিজের গায়ে কাপড় নাই সেটার জন্য কি লজ্জ্বা হয় না? কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না। সেইদিন অফিসে বসে এত মেজাজ খারাপ হয়েছিলো....জেরীর গায়ে কাপড় নাই বলে নিজেই নিজেরে জংলী জেরী নাম দিয়েছিলাম।

এরপরেই পিকটা বদলে ফেলি কারণ পিকটা দেখলেই অস্বস্তি হত। ছদ্ম নামে যদিও ব্লগিং করি কিন্তু ছদ্মের পিছনে তো আসল আমি লুকিয়ে আছি। এজন্যই ব্লগে কেউ এ্যাটাক করলে আসল মানুষটার গায়ে বেশী লাগে *মেয়ে জেরী... এই প্রো-পিকটা আমার অনেক প্রিয়। এটা বানাতে গিয়ে অনেক সময় ও লেগেছিলো । ২০০৮ এর কোরবানির ঈদের সময় এটা দিয়েছিলাম।

কয়েকবার মেয়ে জেরী বানানোর পর যখন ফাইনাল হলো এটা প্রো-পিক হিসেবে দিব তখন দেখি নায়িকা অন্জু ঘোষের মতন পায়ে জামার মতন গোলাপি রং এর জুতা। সেটা ঠিক করার পর দেখি এত সুন্দর জেরীটার পিছনের লেজটা কাটা হয়নি। লেজওয়ালা জেরী দেখে রীতিমতন প্রেস্টিজ পাংচার হবার দশা *ছেলে জেরী... ছেলে জেরী অনেকটা শখের বশেই হয়েছি। বাসা থেকে যখনই কোনকাজে বাধা দেওয়া হয় মন খারাপ করে ভাবি ছেলে হলে নিশ্চয় এমন হতনা । রিয়েল লাইফে তো আর জেন্ডার বদলানো সম্ভব না ভার্চুয়াল লাইফেই ছেলে দুধের সাধ ঘোলে মিটালাম আর কি *বুয়া জেরী... ব্লগের রাজামশায় তার এই পোস্টে বলেছিলেন জেরী শাড়ি পরতে পারেনা।

এরপর এই শাড়ী পরা প্রো-পিকটা দেখেই সবার প্রথমে নিজেরে কাজের বুয়া মনে হয়েছে। প্রায় এক বছর যাবৎ ঘরে বিশিষ্ট বেকার হয়ে বসে আছি বলে এখন সবাইরে বলে বেড়াই আমি ডিজিটাল কাজের বুয়া হয়ে গেছি *টোকাই জেরী... ছেলে জেরীটা বানাতে গিয়ে প্রথমে এই টোকাই জেরীটা আসলো । হাফপাতা গেন্জি-হাফপ্যান্টওয়ালা এটা দেখেই টোকাইয়ের মতন লাগলো। সবচেয়ে বেশী কষ্টে কষ্টিত হয়েছিলাম খালি পা দেখে। রিয়েল লাইফে আমি সারাক্ষণ পায়ে স্যান্ডেল পরে ফটফট শব্দ করে হাটি ।

সম্ভব হলে তো রাতে ঘুমানোর সময় ও বিছানায় স্যান্ডেল নিয়ে উঠে যাই আর সেই আমারেই কিনা খালি পায়ে রাখলো *মিক্সড জেরী... ব্লগে অন্য সবার মতই নিজেও কারো নিক দেখে প্রথমে ভাবার চেষ্ঠা করি সে ছেলে না মেয়ে কিন্তু সরাসরি জানতে চাওয়ার সাহস কখনোই হয়নি। অনেকরে কমেন্টসে বলতে দেখেছি জেরী নাকি ছেলে। এটা শুনে অনেক মজা লাগে। মুড ভালো থাকলে মেয়ে জেরীর প্রো-পিক দেই আর খারাপ থাকলে ছেলে নয়তো ডিজিটাল কাজের বুয়া প্রো-পিক দিয়ে বসে থাকি। আবার মনের আবহাওয়া যদি মাঝারি থাকে তাইলে মিক্সড জেরী হয়ে বসে থাকি *বিভিন্ন দিবসের জেরী... বিজয়দিবসের আর একুশ ফেব্রয়ারী জন্য *শয়তান জেরী... মানুষের নাকি ডান কাঁধে ফেরেস্তা আর বাম কাঁধে শয়তান থাকে ।

কিন্তু আমার তো ১ টা না ২ টা ১০০টা শয়তান মাঝে মাঝে মাথায় ভর করে । তখন খালি কাইজ্জ্যা করি অনেকটা পায়ে পা দিয়ে কাইজ্জ্যা লাগাই আর মানুষের ভালো শুনলে হিংসায় জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়ে যাই .............................................................. শেষে সব্বাইকে ধন্যবাদ জানাই ৯৯টা আবজাব পোস্টসহ আরেকটা আবজাব পোস্ট হজম করার জন্য। আর একটা ফ্রি টিপস ও দিয়ে যাই.."ব্লগটারে এত সিরিয়াসলী নেবার কিছু নাই। শুধুই বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্লগটাকে বিবেচনা করলে ব্লগিং শান্তিমতন করা যাবে" ছবি কৃতজ্ঞতা: মুরুব্বী সাইফুর ......বেচারা মুরুব্বী একটা প্রো-পিক বানাতে গিয়ে আরেকটা বানিয়ে বসে থাকত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.