আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিরোনামহীন ব্যান্ডের সবগুলো গানের লিরিক্স

একটি ভীষণ না থাকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাই

# জাহাজী (২০০৪) ১ নদী ২ হাসিমুখ ৩ শহরের কথা ৪ শুভ্র রঙ্গীন ৫ হয় না ৬ লাল নীল গল্প ৭ নিশ্চুপ আধার ৮ ঘুম ৯ শূণ্য ১০ জাহাজী নদী কথা: তুহীন সুর:তুষার/তুহীন গাঁয়ের পাশে ছোট্ট নদী, স্বপ্ন মাঝে হারাই যদি, সেই নদীটা ছন্দে হাসে নিরবধি, ভালবাসে। ভরা গাঙ্গে ভরা নাঁওয়ে মাতাল চিরন্তন সত্যমতে পাপের খেলায় অবাধ আগমন। মনে মনে ভীষণ খেলা কথার ফাকে মনের মেলা, সেই মনেতে ছন্দে হাসে নিরবধি। ভালবাসে। দিনে রাতে নদীর বুকে কালের দীর্ঘশ্বাস সরল দেহে জলের ধারা বহে বার মাস।

আমার নদী আমার রইল অচীন অথই ঢেউ, পাষাণ সময় স্রোতের তোড়ে ভাসল না ত কেঊ। জলে জলে ঢেউ এর মাতম আকাশ পানে মেঘের কথন, সেই মেঘেরা ছন্দে হাসে নিরবধি, ভালবাসে। হাসিমুখ কথা:জিয়া সুর:জিয়া প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায় হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা। তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই, হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই। রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে আলো এসে থেমে গেছে তোমাদের জানালায়, আনন্দ হাসিমুখ, চেনা চেনা সবখানে এরই মাঝে চল মোরা হারিয়ে যাই।

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই, হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই। হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়, হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়, অনেক অজানা ভীড়ে স্বচ্ছ নিরবতায়, রোদ উঠে, গেছে চেনা এই নগরীতে নাগরিক জানালা হাসিমুখে একাকার। আনন্দ উৎসব চেনাচেনা সবখানে, এরই মাঝে আমাদের ছুটে যাওয়া দরকার। তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই, হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই। শহরের কথা কথা: জিয়া সুর:জিয়া শহরের কথা ঊঠলে একটা জনসমুদ্র চলে আসে, রাস্তা মানেই অবারিত নদী, গনমানুষের জোয়ার ভাটার টানে ব্যস্ততা আর ঘরে ফেরা নিয়ে যদি...... গান লেখা হয়, গানের শরীরে শহরের ছবি ভাসে।

শহর মানেই আমরা একটা গণআদালত বুঝি, শহুরে ক্লাউন গাছগুলো জুরি, সংস্কৃতির বেদম বিচার জানে জোছনা রাতে চাঁদের চরকা বুড়ী, বিচারে রায়ে আমরা সবাই হাত পা হৃদয় খুঁজি। জনসাধারন শহরের যত খাদ্য গুদাম চেনে ব্যাংকগুলো সব যৌথখামার; সাদা কালো নোট চাষাবাদের মানে বেঁচে থাকার ইচ্ছে তোমার আমার। শহুরে আড্ডা, শহুরে ভাষা শহরের কথা জানতে আসা শহুরে লোকের সবই জানা শহর মানেই চিড়িয়াখানা। শহুরে শিল্পী ভারী চৌকষ শিল্পের ঝোপঝাড়ে আপোষ নাটক কবিতা ছোট ছোট সুখ শহর মানেই ভেঙ্গে যাওয়া বুক। রাস্তায় একফালি নিঃশ্বাস অন্ধ শহরে ছুটে চলা বাস হাউজিং জ্যামে আকাশ অল্প শহর মানেই গ্রামের গল্প।

শুভ্র রঙ্গীন কথা:জিয়া সুর:জিয়া (জিম মরিসন এর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ স্বরূপ) শুভ্র রঙ্গীন, আকাশের দিন, তোমায় সেই জনতার গল্প শোনায়। অলস দুপুর ক্লান্ত নুপুর, স্বপ্ন দেখায় তারায় তারায় । । স্বপ্ন দেখি সবুজ নিশান তোমায় নিয়ে জলসা দেখা। লড়াই যেমন ঝড়ের রাতে হেরে গেলেও বাঁচতে শেখা।

শুভ্র রঙ্গীন, আকাশের দিন, তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার। লড়াই শেখায় তোমায় আমায়, "come on baby light my fire" তোমায় দেখে কাঠবেড়ালী, লেজ উঁচিয়ে আদর চায়। গোধূলী নাচে রাঙ্গা আলোয় বাঁচার নেশায়, মুক্তি পায়। । মুক্তির দিন, রঙ্গিন রঙ্গিন মেলে পাখা, জেগে থাকা আগুন রঙ্গিন রক্তের দিন তোমায় নিয়ে বাঁচতে শেখা।

শুভ্র রঙ্গীন, আকাশের দিন, তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার। লড়াই শেখায়, তোমায় আমায় "come on baby light my fire." হয় না কথা:তুহীন সুর:তুহীন হয় না আর এমনতো হয় না নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না। সূর্য লাল বৃক্ষ সবুজ, আমি কান্দি ঘরের কোনায়, তুমি অবুঝ। বৃক্ষ আকাশ সূর্য মিলে ঝরনার কথা কয় না, নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না। মেঘ কালো আধার কালো মৃত্যুর বুঝি মরন হলো।

উদাস আকাশ, উত্তাল বাতাস পথের বাঁকে রয় না নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না। মেঘের নৃত্য তারার মেলা সোঁদা মাটি রাঙ্গা আলোয় বৃষ্টির খেলা। তোমার অশ্রু আমার চলা একতারেতে রয় না সাগর জলে ঝরনার চলন মনের কথা কয় না। লাল নীল গল্প কথা:জিয়া সুর:জিয়া এখনই সময় পাড়ি দিতে দিগন্ত কত দূর যেতে হবে? সীমানা অজানা অচেনা পথে কত দূর যেতে হবে? যেতে পার তোমরাও যেতে পার বহুদূর জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয় বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়। লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায় তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।

গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায় সীমানার সংঘাত ছাড়বে না, ছাড়বে না তোমায়। লাল নীল লাল গল্পে ছন্দে গল্পে যাবে যদি অজানায় যেতে পার তুমি, সংগী রাজপথ যাবে যদি সীমানায় বন্ধু তুমি জান যেতে হবে কত দূর কত দূর বহুদূর যেতে হবে কতদূর? যেতে পার তোমরাও যেতে পার বহুদূর জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয় বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়। লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায় তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়। গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায় সীমানার সংঘাত ছাড়বে না ছাড়বে না তোমায়। নিশ্চুপ আধার কথা: ফারহান, জিয়া সুর: তুষার, জিয়া উড়তে কি পারো বন্ধু আমার? ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল? গাইতে কি পারো তুমি আমার গান? শুনতে কি পারো তুমি আমার কান্না? দেখতে কি পারো নিঃস্ব প্রাতে নিঃসঙ্গ মোর একলা চলা ।

ভাসতে কি পারো তুমি আমার সুরে বুঝতে কি পারো তুমি আমার কথায়? মিথ্যার বেসাতিতে তোমার জগৎ । র্স্পশ করো তুমি আমার কষ্ট মেঘদল হতে আনো সূর্য সকাল গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান । আমি তাকিয়ে রই, নীল আদিগন্ত মানুষ ভরা খোলা প্রান্তরে, আর চেয়ে দেখি, তোর খোলা চুলে ভেসে যায় আমারি স্বপ্নগুলো । নিশ্চুপ আধারে । তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, যত ইচ্ছে সাজা মেঘমালা তুই চেয়ে দেখ কত মানুষ, পথে নেমে ভুলে যা কষ্ট তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, তুই বেঁচে থাক নিয়ে আশা তুই দেখ তোরি মত মানুষ, তুই গেয়ে যা তারই ভাষায় আমি তাকিয়ে রই খোলা প্রান্তরে, তুই যা, যা ভুলে যা সবই ।

উড়তে কি পারো বন্ধু আমার? ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল? গাইতে কি পারো তুমি আমার গান? ভাসতে কি পারো তুমি নীল জোছনায়? শুনতে কি পারো মোর প্রিয়ার ঠোটে? অচেনা আলোর এক মুক্ত বয়ান । ভাঙ্গতে কি পারো তুমি দেবতার ঘুম? দেখতে কি পারো তুমি আমার চোখে? অক্ষম চিৎকারে বাঁচার নেশা অগ্নিকন্ঠ হোক তোমার শব্দ অতল নরকে সাজো তোমার বাসর গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান । ঘুম কথা: ফারহান সুর: তুষার, ফারহান কথা ছিলো সূর্যের মৃত্যুকালে ছিনাবি তাহার আত্মা । কথা ছিলো নীল মেঘ হতে নিয়ে আসবি যন্ত্রনা । কথা ছিলো পাপ হতে ধুয়ে ফেলবি তোর শঙ্খ শরীর ।

কথা ছিলো সাঁঝকালে ভালবাসবি মোর নীরজাকে । শুয়ে শুয়ে হাত পাতি আধার মাঝে যদি ঝরে পড়ে তোর অশ্রু । কান পাতি শব্দহীন অলিক চরাচর যদি ভেসে আসে তোর আহবান । ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি দাসত্বের সহস্র বছর ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে শুনছে প্রহর কথা ছিলো মোর অপরাধের তরীতে ভাসাবি তোর সস্ত্বা । কথা ছিলো অর্থহীন চুম্বণ পাবে নতুন সময় ।

কথা ছিলো পঙ্কিল সাগর হতে নিয়ে আসবি আমায় । কথা ছিলো আজন্ম অমাবস্যার মৃত্যু এখনি । শুনে দেখি কান দিয়ে শুধু শূন্যতা ছুঁয়ে দেখি চোখ দিয়ে, প্রিয়া অন্যথা র্নিবান যন্ত্রনায় লাশকাটা ঘরে ঘুমোও আমার মানুষ । শূণ্য কথা: জিয়া সুর: জিয়া আমার ঘরে জন্ম হলো আমার ঘরেই বসবাস ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ । ছিলো ঘরে তেলের প্রদীপ, টিমটিমে তার আলো ভরসা ছাড়াই জীবন সুধা, আমার ঘরের আধার কোণে লুকিয়ে থাকাই ভালো ।

আধার আমার তেল ফুরালে, সন্ধ্যে নিয়ে আসে বারো মাসে সতেরো জীবন, বছর ঘুরে থামলো যখন আমায় ভালবাসে..........আমায় ভালবাসে সিড়ি ভেঙ্গে এ ওর বোঝা, করলো হাতবদল আমার বোঝা কে যে নিলো, কোন সে চেনা মুখ জীবন ভরে বোঝার পাহাড়, জীবন ভরে বো ঝা র পাহাড় জীবন ভরে বোঝার পাহাড়, বারো মাসে সোনার হরিণ পেলাম না যে সুখ । ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ । আমার ঘরে দশটি সিড়ি, নয়টি তারই ভাঙ্গা সিড়ি গেলো আকাশ পানে, আমি যখন অতল জলে খুঁজছি শুকনো ডাঙ্গা । বদলে বোঝা সেই............... চেনা ঘরে ঢুকে দেখি, পায়ের নিচে মাটি নেই, মাটি নেই । জাহাজী কথা: জিয়া সুর: জিয়া চেনা শহর, চেনা রাস্তা, পরিচিত ঢাকা ভেসে যাচ্ছি চোখে আলো জ্বেলে, জাহাজীর মত একা ঝরে চুন-সুড়কি, শরীরের দেয়াল তবু সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে, অনেক উঠেও থেমে, শেষ ছাদটায় দেখি নীল, এরই মাঝে নক্সা , সাদা আলোর সাদা শঙ্কচিল ।

জাহাজীর কাছে ভীষণ সত্য সেই, পথটাই যাওয়া, এর আর কোন ফিরে আসা নেই । পথের ধারে দাড়িয়ে আছে, শুকনো দালান দোকানের নাম, তারপর, আমাদের ভুবনে স্বাগতম । ঝরে বৃষ্টি কারো ভুবনে, তবু নিয়ন সাইনে স্বাগতম । আ মা দে র , তারপর ; ভু ব নে , তারপর ; স্বা গ ত ম । বুঝতে কিছু সময় লাগে সেই, স্বাগতমটাই ইচ্ছে, সস্তায় কারা বিক্রি করে দিচ্ছে ।

আমার শৈশবের মত দামী, আমার কান্না জড়ানো গান, মাথা উচু সেইন্ট গ্রেগরী আমার, সময়ের টানে ম্লান । আমার পরিচিত লাস্ট বাস, আমার ভাঙ্গাচোরা নিঃশ্বাস, ব্রাদার চার্লসের চুইংগাম, আমার রক্ত আমার ঘাম, আমার লাস্ট বাসে বাড়ি ফেরা, মাথা তুলবার তাড়া, আমার জাহাজের পাটাতন, ছেড়া নোঙর, ছেড়া মন, ছেড়া নোঙর................................ জাহাজীর আর বোঝার বাকী নেই পথটাই যাওয়া , এর আর কোন ফিরে আসা নেই । =============================================== # ইচ্ছে ঘুড়ি (২০০৬) ১ বরষা ২ পাখি ৩ ক্যাফেটেরিয়া ৪ স্বদেশ ৫ ভবঘুরে ঝড় ৬ রূপসী নগর ৭ নিঃসঙ্গ ৮ অন্যকেউ ৯ অনেক আশা নিয়ে ১০ ইচ্ছে ঘুড়ি ১১ দ্বিতীয় জীবন বরষা কথা: ফারহানতুহীন সুর: তুষার বরষা মানেনা ঝরছে জলধারা,জানিনা, জানিনা-কাটবে কি ঘনঘটা। অনুনয় মানেনা অবারিত মনকথা,জানিনা, জানিনা-থামবে কি ঘনঘটা। নির্ঝর গগনে, অপলক চেয়ে রই বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে- মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।

দিপীকা সায়রে অনিমেষ চেয়ে রই মিথিলা বরষা, অলোক দহনে- মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”। বরষা মানেনা ঝরছে জলধারা...... পাখি কথা:জিয়া সুর:জিয়া একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায় ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়। । আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়, ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা, তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা। কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত ব্যস্ত জনকথা আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।

দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি...... তোমার পিছু। ক্যাফেটেরিয়া কথা:জিয়া সুর: তুষার/জিয়া পড়ন্ত বিকেল ক্যাফেটেরিয়া উঁকি দিয়ে দেখি, এক কাপ চা, গরম তৃষ্ণায় অজস্র এলোমেলো শব্দের ভীড়ে তোমার শীতল চোখ ভিজিয়ে যায় আমায়। যেখানে তোমার ঠোঁট ভালবাসা আমি বুড়ো কবিতার মত চুপচাপ। যেখানে তোমার চোখ খুনী আমি খুন হই...... প্রতিদিন। স্বদেশ কথা: ফারহান সুর: ফারহান/তুষার বলেছিলে তুমি আমায় “এসো, নাও নূতন ভোরের আলো” দিয়েছিলে শতাব্দীর অবগাহন, এক মুক্ত সময়ের আহবান।

বলেছিলে তুমি আমায় “জাগো, শোনো আমার কন্ঠনিষাদ” দিয়েছিলে অভ্র কোনদিনে, রোদ গন্ধমাখা জীবন। বলেছিলে “অপেক্ষা কর, জেনো, কাটবেই কৃষ্ণপ্রহর” তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ পুড়ছে আমার স্বদেশ। আর একটিবার তোমায় দেখতে চাই, দেখতে চাই। জেনে রেখো অন্ধকার কোনো কালে হারিয়েছি আমার অতীত কবে পাবো অর্থময় নীরবতা, কবে আসবে স্বাধীনতা। কবে পাবো নীরজা তোমায়, আসবে আলোক প্রহর- তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ, পুড়ছে আমার স্বদেশ আর একটিবার তোমায় দেখতে চাই, দেখতে চাই।

আঁধার ভাঙা স্বপ্ন হতে জাগাই তুমি আসবে বলে মহাকাল স্তব্ধ কাদের তরে আমার বাঁচা, আমার লড়াই এখনো তোমার প্রিয়মুখ আমায় বাঁচায় জানি মুক্তি তোমাতে। ভবঘুরে ঝড় কথা:জিয়া সুর: জিয়া চৌরাস্তার উঁচু ল্যাম্পপোস্ট ছাড়িয়ে, নিঃশ্বাস নিয়ে একটু দাঁড়িয়ে চারিপাশে বিমূর্ত রেখায়, আমি, ভবঘুরে ঝড়, তোমাদের খুব কাছে ছায়া হয়ে যাই, তোমাদের ভালোবাসা...... শনশন উত্তাল হাওয়ায়, চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্ট হাঁপায় এক কাপ গরম চায়ে, আমি, ভবঘুরে ঝড়, তোমাদের খুব কাছে ভিজে একাকার, তোমাদের ভালোবাসা...... কখনো তোমাদের অজানা জানায় বাউন্ডুলে ঝড় আমায় ভাবায়...... তোমাদের ছায়ায়, নির্বাক ভালোবাসা আমি আজন্ম ভবঘুরে...... ঝড় নিয়ে আসি। রূপসী নগর কথা:জিয়া/তুহীন সুর: তুষার আবার হবে দেখা, তোমাদের এই অচিন নগরে সহসা ধূসর ধুলোর ভীড়ে অচেনা রূপসী নগরে...... আবার হতে পারে দেখা। আবার হবে কথা, অনেকের এই প্রিয় নগরে অনেক হারাবার প্রান্তরে অজানা রূপসী নগরে...... আবার হতে পারে দেখা। রূপসী উষ্ণ এ পথে, নির্বাক সব কথার ভীড়ে ধূলোয় ধুলো প্রান্তরে, দেখা আবার হতে পারে হেঁটে যাই আমি।

ধূসর ছাড়িয়ে। দেখা হবে সবুজ আশায়...... নিঃসঙ্গ কথা: তুষার সুর: তুষার দীর্ঘশ্বাস তোমার রুক্ষ দেয়াল ছুঁয়ে বিবর্ণ রাত্রি কাটে বিমূর্ত সময় প্রার্থনা তোমার হারিয়ে যায় অন্ধকারে স্তব্ধ এই বদ্ধঘরে অস্পষ্ট স্বরে নিঃসঙ্গ একা তুমি ক্লান্ত... জীর্ন তুমি অন্ধ দেয়াল জুড়ে দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে। পারবে কি ভেঙে দিতে এই দেয়াল? পারবে কি ছেড়ে যেতে এই বাঁধন? ধূলোমাখা জানালার আলো ছাড়িয়ে পারবে কি ফিরে যেতে আবার? আর্তনাদ তোমার বিদগ্ধ এ মন জুড়ে প্রতিধ্বনি করে চুপিসারে স্বপ্নগুলো কেন জড়িয়ে যায়ে এ মায়াজালে দুঃসহ যন্ত্রনাতে, অশান্ত ঝড়ে নিঃসঙ্গ একা তুমি ক্লান্ত... জীর্ন তুমি অন্ধ দেয়াল জুড়ে দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে। অন্যকেউ কথা: ফারহান সুর: ফারহান আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায় তোমায় যেখানে অবিরত ভেঙে পড়ে সময়; আমি না অন্যকেউ নীরবে বাঁচে রক্তসিদুঁর আঁকে যেথা নবআশা; আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায় আমার কন্ঠ হতে প্রতিবাদ প্রলয়। তুমি না অন্যকেউ মোর শয্যাতে জেগে দেখি পূব কোনে তমসা ক্ষয় তুমি না অন্যকেউ ফিরে আসে আর ডেকে তোলে বৃত্তবন্দী মন।

সঙ্গী তুমি সোনালী ভোরে অজানা কোনো আলো আলোয় ভরা আনন্দলোকে নিঃস্ব প্রাতে চলো তবু জেগে উঠো, বেঁচে উঠো, গেয়ে উঠো আমার এ গান- তুমি না অন্যকেউ শিয়রে কাঁদে, অধরা ছায়া শূন্যমাঝে ভেঙে পড়ে তুমি না অন্যকেউ মেলে দেয় ভোরের আকাশে সোনালীডানা চিল। যাবে কি তুমি মোর সাথে? আকাশ উর্ধ্বে ঐ নীল মাঝে, যেথা অন্ধ বিশ্ব খোঁজে তোমাকে যাবে কি তুমি মোর সাথে? অনেক আশা নিয়ে কথা: জিয়া সুর: জিয়া অনেক সবুজের প্রান্তে তুমি থাকো একাকী আমি ধূসর, ধূসর হয়ে জেগে থাকি। অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী আমি অনেক আশা নিয়ে বসে থাকি। হেরে যেতে যেতে যদি থমকে, এক নিঃশ্বাসে সব পেরিয়ে রোদ ঝলমলে এক দুপুরে, যদি ঘুম সব ঘুম ভেঙে যায় আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি। দরজার বাইরে রঙীন পৃথিবী, ধূলো ধূলোমাখা দাঁড়িয়ে আছে ঝড়ের আশায় তোমার শহরে, শিরোনামহীন ফুটপাত ঘুমিয়ে গেছে।

একদিন এই ঝড়, তোমার এই শহরে, ভেজায় যায় সব জানালা তবু আমি বসে আছি। অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী। আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি। ইচ্ছে ঘুড়ি কথা: জিয়া সুর: জিয়া এই হাওয়ায় ওড়াও তুমি, তোমার যত ইচ্ছে ঘুড়ি চুপি চুপি মেঘের মেলা, তোমার আকাশ করছে চুরি সূর্য বসাও আকাশের নীল, ইচ্ছের রঙ গোলাপী হলে দিগন্ত রেখায় সূর্য নামে, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে চলে। হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়, উড়ছে তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে, আকাশের নীল যাচ্ছে চুরি।

শুভ্র সেই মেঘের ভীড়ে, তোমার সব ইচ্ছে ওড়ে। আকাশ খেয়ালী মনে, হারায় কিছুই না জেনে। তোমার সুতোয় বাঁধা আকাশ, ঝড়ো হাওয়ায় রঙ হারালে নির্বাক। ইচ্ছে। আচমকা।

দিশেহারা...... এই আলোয় হাঁটছো একা, সঙ্গী কর আমায় তুমি। বেয়াড়া যত মেঘের ছায়া, করছে চুরি স্বপ্নভূমি নীলের আকাশ গোলাপী হলে, ইচ্ছে ঘুড়ি যাচ্ছে চলে সূতোর বাঁধা ছাড়িয়ে আকাশ, অন্য ভূবন দেখবে বলে। হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়, ভাঙছে তোমার মেঘলা রেখা ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে, আকাশ আবার হবে যে দেখা । দ্বিতীয় জীবন কথা:তুষার/ফারহান/জিয়া সুর: তুষার অদৃশ্য চাদরে, দিগন্ত রেখায় বসে আছে সে, অসংখ্য অনাবিল, পথ পেরিয়ে আশার স্মৃতির ভীড়ে- রূপালী চাঁদের আলোয় জড়িয়ে থাকা সেই পিচঢালা পথ, বিষন্ন চারিধার, ছড়িয়ে থাকা মৃদু কুয়াশা- বিষন্ন ধোঁয়াশায় ধূসর স্মৃতি ঘিরে আছে, তাকে, আঁধার লহরীর নীল সাজানো আকাশ ছুঁয়ে জোছনা ভাঙা বালুচরে হারিয়ে যাওয়া, মনে পড়ে যায় ফেলে আসা পথ পেরিয়ে, সোনালী প্রহর তবুও সবুজ পথ পেরিয়ে, অসীম ছায়াপথ নিমেষে ছাড়িয়ে, অবাক বিস্ময়ে। জীবন স্নৃতি যেন এলোমেলো হয়ে উড়ে যায় একই পলকে, একই নিমেষে।

তোমায় স্বাগত জানাই, ঝড়া পাতার মত সন্ধ্যায়, আলোময় বিচরন, দ্বিতীয় জীবন, ছায়াময় মননে, অবাক নয়নে, ছায়া সুনিবিড়, বিস্ময়ে দেখি, দ্বিতীয় জীবন, দ্বিতীয় জীবন। =============================================== # বন্ধ জানালা (২০০৯) ১ বন্ধ জানালা ২ ভালবাসা মেঘ ৩ বুলেট কিংবা কবিতা ৪ সূর্য ৫ একা ৬ সহসা দ্বীপ ৭ বাসস্টপেজ ৮ সুপ্রভাত ৯ পরিচয় ১০ বাংলাদেশ বন্ধ জানালা কথা: জিয়া সুর : জিয়া আরেকবার যেতে চাই রিম ঝিম ঝিম সুদূরপুর অবাক রোদ ভেজা তপ্ত দুপুর আরেকবার তোমাদের লাল, নীল রং আনন্দে একলা রাস্তায় এক চিলতে রোদ্দুর। সারা বেলা বন্ধ জানালা ...... যদি তোমাদের অনেক শব্দ, আমার জানালায় ছোট ছোট আনন্দের স্পর্শে, আঙ্গুল রেখে যায় যদি সহস্র শব্দের উৎসব থেমে যায় সারা বেলা বন্ধ জানালা ...... যদি তোমাদের লাল নীল গল্প আমার শরীরে, কোন একলা রাস্তায় অবাক ভ্রমণে যদি ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যায় সারা বেলা বন্ধ জানালা ...... ভালবাসা মেঘ কথা: জিয়া/কাঠুরিয়া সুর : জিয়া মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে, বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায় জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায় ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে, চেনা অচেনা হিসেব মেলায় ভালবাসা তাই ভিজে একাকার, ভেজা মন থাকে রোদের আশায় ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল। চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি দূরে দূরে বাড়ি...... নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত ছম ছমে ভয়...... সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক। ঘুরে ঘুরে যদি, দূরে দূরে তবু মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে ...... জল উড়ে উড়ে ..... ভালবাসা তাই ...... ভেজা মন থাক ..... ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে, ছুটে ছুটে চলা ...... আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া পুরনো দিনের গল্প বলা ...... সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক। ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল। বুলেট কিংবা কবিতা কথা: জিয়া সুর : জিয়া নিয়ন আলোর রাজপথে টিএসসির মোড়ে চায়ের দোকানে বুলেট কিংবা কবিতায়, যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়...... মাঝে মাঝে সবুজ পতাকা, দু’হাতের মাঝে বন্দী অজস্র কবিতায় আর গানে, জ্বলে জ্বলে নিঃশেষ কবি আর কবিতা রাজপথ ছুঁয়ে যায় কতশত কবি এমনই এক টিএসসির মোড়ে প্রতিরাতের উদাস চাঁদ দেয়াল লেখা থেকে দুঃখ কেনে যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় অসময়ে, অন্ধকারে, দেয়াল জুড়ে বর্ণমালার মিছিল, ক্লান্ত করুণ চোখে ...... শ্লোগান শ্লোগান আর মিছিলের নগরে, টিএসসির নিঃশ্বাস বুলেট কিংবা কবিতার খাতায়, কবি আর কবিতার খুন হওয়ার আশ্বাস দেয়াল লেখা থেকে বর্ণমালা যদি আলোর মিছিল হয়ে যায় টিএসসির মোড়, রাতের রাজপথ বুলেট কিংবা কবিতায় যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় ...... মৃত কবিদের কবিতার আসরে, ছবি হয়ে থাকেনা রাতের রাজপথ পল্টন ময়দান, টিএসসির মোড়, জনসমাবেশ আর বিশাল অবরোধ এই অবসরে দেয়াল লেখা যদি মানচিত্র হয়ে যায় অজস্র কবিতার জনসমাবেশ থেকে বুলেট কিংবা কবিতায় যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় ...... সূর্য কথা: তুহিন সুর : তুষার অচিন পাখি দিল ফাঁকি, উদাস বাউল কাকে ডাকি জলের মাঝে জীবনগুলো, তেপান্তরের পাথর ধুলো সাগর তীরের জীবন দেয়াল, সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ...... গাছের চূড়ায় নতুন শহর, নদী পানি ফুলের বহর সময় কাঁটা আতশবাজি, কাঁটাতারে বৃক্ষরাজি স্বপ্ন দহণ পূণ্য না সয় সত্যবচন ধর্মে না রয় ...... কথার মাঝে নোনা দেয়াল সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ...... কল্প সাধন মাতাল হাওয়া, আপন পথে হারিয়ে যাওয়া জীবন দেখার অবাক টানে, সরল রেখার অন্য মানে তোমার আমার কাঁচের দেয়াল সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ...... একা কথা: তুষার সুর : তুষার রাত্রি ক্লান্ত জীর্ন শীর্ন আঁধো চাঁদের আলো পিচ ঢালা পথ কখনো ধূসর কখনও বা কালো সারাটা পথ জুড়ে আমি একা হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে নীল জোছনায় স্মৃতিরো ভীড়ে হারিয়ে যায় মন আধারে। আধাঁর রাতে নেমে আসে শিশিরের ছায়া নিভে গেছে দূর কোন স্মৃতিরও মায়া নিঃসীম চারপাশ কোনো সাড়া নেই তবু এক দীপ্তি রয়ে গেছে..... যত দূরে যেতে চাই নিলীমার পথে আরো দূরে সরে যায় রাতের আকাশে চুপচাপ শহরে নিশ্বাস ফেলে আসি এই নিরব বাতাসে ........ সহসা দ্বীপ কথা: তুষার সুর : তুষার মনে পড়ে ...... পড়ে না মনে পড়ে ...... পড়ে না সহসা চলে যাই, উদাস স্মৃতির কাব্য ছুঁয়ে, ছুটে চলা, অবাক জল রাশির সীমানায় সহসা দ্বীপ ...... ধুলোর মিছিলে, মেঘ ঘন বিকেলে ক্লান্তি সরিয়ে দেখি, সে কি বিষ্ময়ে, মনে পড়ে ? ধুলোর মিছিলে নিঃশ্চুপ বিকেলে বৃষ্টি নামবে বুঝি দিগন্ত ছাড়িয়, মনে পড়ে ? অবাক জলধারার সেই সহসা দ্বীপ ...... মেঘের আড়ালে, রোদ জ্বলা বিকেলে স্নিগ্ধ পাখির ঝাকে, সে কি বিষ্ময়ে মনে পড়ে ? পূবের আকাশে, সাত রঙা ক্যানভাসে জেগে থাকা বালি দ্বীপ, এই নীল সাগরে, মনে পড়ে ? অবাক জলধারার সেই সহসা দ্বীপ .......... বাস স্টপেজ কথা:জিয়া সুর: জিয়া নার্সারি ছারিয়ে, চৌরাস্তার মোড়ে বাস স্টপেজ...... ফুলস্টপ হয়ে দাঁড়িয়ে বুকে জমা পোষ্টার- আর্ট গ্যালারির মতো উদাসীন বখাটে কারো সেল নাম্বার- বিজ্ঞাপন হয়ে বিব্রত কড়া পারফিউম অযথা সুবাস বাতাসে ক্লান্তিহীন ছুটছে কিছু বিরতিহীন বাস চকচকে পিচে বেরসিক বৃষ্টি নাম লিখে গেছে সন্ধানী হকার খুঁজে বেড়ায় গাড়ীযাত্রী কোনো হাসিমুখ এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা । ।

কিশোরীর হাতে ফুলের সুবাস, ছুঁয়ে দিতে চায় চকচকে গ্লাস বৃষ্টির ছাঁটে ভেজা পলিথিন, মিরপুর যাবে বিরতিহীন বিবর্ণ ঠোঁটে সাইনবোর্ড হাসি, বলছে প্রেমিকা “তোমায় ভালবাসি” চাক্ষুস সাক্ষী রাস্তার মোড়ে, নার্সারি ছারিয়ে একটু দূরে বিজ্ঞাপন হয় এক্স সুন্দরী বাস স্টপেজে আসে ইচ্ছে ঘুড়ি বিক্রি হয় কতো কমিক কমিক সিরিজ উদাস বিজ্ঞাপনে কাঁটে পণ্য রিলিজ এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা । । সুপ্রভাত কথা: জিয়া সুর : তুষার একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই শুভ্র সকালে ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন এই সকালে, রাস্তায় হাঁটছি ...... সুপ্রভাত একদিন আমাদের ...... দ্বিধাহীন ভোর আসে, ফুটপাতে ধুলোময় দোকানে খবরের কাগজে ...... খেয়ালী কোলাহলে জমে ওঠে শহরের রাজপথে যান্রিক কোন সুরে এই ঝড়ো সংলাপে, এই সুপ্রভাত, রুক্ষ চায়ের কাপে ...... একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই রোদেলা দুপুরে ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন ঠিক দুপুরে, রাস্তায় হাঁটছি ...... সুপ্রভাত একদিন আমাদের ..... পরিচয় কথা: তুহিন সুর : তুহিন দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে খাঁচার পাখি কখন কি আর মনের পাখি হয় ? তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি কি আর হয়। কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয় বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয় তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি কি আর হয়। লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে কোন পাখি কি আর রয় ? আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় ...... তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি হবার নয়।

বাংলাদেশ কথা: জিয়া/শাফিন সুর : শাফিন/জিয়া যখন কিশোরীর হাতে সূতোয় বোনা সবুজ গ্রাম যখন রং তুলিতে আঁকা বাংলার মুখ অবিরাম যখন গাই এখানেই শুধু শরতের রং এ হয় শেষ সেই শুভ্র কাঁশফুল ঘিরে দেখে যাই সবুজের দেশ মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ যেখানে লাল সূর্যের রংয়ে রাজপথে মিছিল যেখানে কুয়াশার চাঁদর আকাশ থাকে নীল যেখানে রিম ঝিম বৃষ্টি শুকনো মাটির টানে অবিরাম ঝড়ে সবুজ সাজায় ...... মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ যখন এক চোখে ঘুম ঘুম, এক চোখে নীল রাত আমায় ভাবিয়ে যায় যখন এক হাতে রোদ্দুর এক হাতে গোলাপ সবুজ ছুঁয়ে ভাবায় আমা একদিকে নীল নীল, এক দিকে কাঁশফুল, দু’চোখ যেখানে শেষ এক প্রান্তে সবুজ, এক প্রান্তে লাল, আমার বাংলাদেশ ......

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।