আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় প্রেমিক ও কিশোরি গ্রেফতার ( ভ্রেকিং নিউজ ১৪ )

সরকার বলে বিরোধী দল দায়ী, বিরোধী দল বলে সরকার দায়ী, জামাত বলে ভারত দায়ী, ভারত বলে পাকিস্তান দায়ী, রাজাকার বলে ভাদাকার দায়ী, ভাদাকার বলে রাজাকার দায়ী। আমি বলি আপনারা দায়ী আপনারা বলবেন আমি দায়ী। তাই আমার উপর জানজট, লোডশেডিং জারী

হোটেলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী ও তার প্রেমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গতকাল শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে এসআই আকতারুজ্জামান, এএসআই মোঃ মলাই মিয়াসহ একদল পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। থানা সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ১০টায় দাউদনগর বাজারের একটি আবাসিক হোটেলের ১০৭নং রুমে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুম ভাড়া নেয় জুবায়ের ও ফেন্সী।

হোটেলের খাতায় তাদের নাম পাওয়া যায় সৌরভ ও জোৎস্না। ঠিকানা দেয় চুনারুঘাটের বাসিন্দা হিসেবে। গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে। সংগ্রহ থেকে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার হামিদনগর গ্রামের বশির উদ্দিনের পুত্র সৌরভ জুবায়ের (২২) ও একই উপজেলার রশিদপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জিল্লুর রহমানের কন্যা জোৎস্না আক্তার উরফে ফেন্সী (১৭)। ফেন্সী থানা পুলিশকে জানায়, সে হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসির বিজ্ঞান শাখার ১ম বর্ষের ছাত্রী।

সৌরভ জানায়, সে সিলেট এমসি কলেজের বোটানি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন ফেন্সীর পিতা। তিনি থানা পুলিশকে জানান, সৌরভ ৮ম শ্রেণী পাশ করে বখাটে যুবকদের ন্যায় ঘুরাফেরা করে। এদিকে ফেন্সী জানায়, সে সৌরভকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালবাসে। গত ৩ বছর ধরে সৌরভের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশকে জানায় ফেন্সী।

সে পুলিশের কাছে দাবি করে তার প্রেমিককে যেন থানা হাজতে কোন অবমূল্যায়ন না করা হয়। সে পুলিশের কাছে আকুতি জানায়, তাকে থানায় আটকে রেখে হলেও যেন সৌরভকে ছেড়ে দেয়া হয়। অপরদিকে ভালবাসার অসীম টানে সৌরভও অনুরোধ করে তাকে আটকে রেখে যেন ফেন্সীকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু বেরসিক পুলিশ তাদের এই অনুরোধে সায় দিতে পারেনি । দ্রুত তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশের হাতে ধরাপড়া প্রেমিক জুটিকে নিয়ে গতকাল শায়েস্তাগঞ্জ শহরে আলোচনার ঝড় উঠে। ইতিপূর্বে প্রেমিক জুটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার নির্জন স্থানে আনন্দ ভ্রমণ করেছে। ফেন্সী হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের হোস্টেলে থাকতো। হোস্টেলে থাকার সুবাদে সে প্রেমিকের সাথে ঘুরে বেড়িয়েছে। আমাদের বিশষ সূত্র জানায়, ফেন্সীর এক বান্ধবী ও তার প্রেমিক মিলে হোটেলের রুমটি তাদের ঠিক করে দেয়।

পরে বান্ধবীর প্রেমিকই পুলিশকে খবর দিয়ে তাদেরকে ধরিয়ে দেয় ( কিছুটা এডিট করে প্রকাশিত করা হল এবার )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.