আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসপাতালে দেয়ালের ইটও টাকা চায়

কিবোর্ড নস্ট তাই লিথতে পারি না।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও সমস্যায় র্জজরিত থাকার অভিযোগ থাকলেও, বর্তমানে এর সাথে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের দৌরত্ম। অভিযোগ উঠেছে, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার লোকাল কল ২শ, এবং উপজেলার বাহিরের কলে কিঃমিঃ প্রতি ১০টাকা হারে চার্জ, কিঃমিঃ বেশী বলা, ফেরী ভাড়া, ভাড়ার রিসিট প্রদান না করা, রোগীর থেকে অগ্রীম বকশীশ্ আদায়, বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির দালালী, ঔষধ বিক্রেতাদের সাথে যোগসাজঁশ ও ফাঁদে ফাঁদে টাকা আদায় করে থাকেন। ইউএনও অফিসের ড্রাইভার মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, দশমিনা থেকে বরিশালের দূরত্ব প্রায় ৭৮কিঃমিঃ। অথচ্ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের মোঃ দুলাল হোসেন ১৮০ কিঃমিঃ দেখিয়ে ১ হাজার ৮শত টাকা এবং ফেরি ভাড়া ৩শ সহ ২১শ থেকে ২৪শ টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে।

পিছিয়ে থাকা অথনৈতিক এলাকা দশমিনার অসহায় ভূমিহীন গরীব লোকের সর্বস্ব বিক্রি করা টাকা হাসপাতালের কর্মকর্তাদের যোগষাজঁশে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে । অভিযোগ সর্ম্পকে ড্রাইভার দুলাল জানান, আমি আমার পূর্বের ড্রাইভার মোঃ শাহজাহানের নিয়ম অনুসারে টাকা আদায় করে থাকি। প্রতিমাসে ঐ টাকা ট্রেজারীতে জমা দিয়ে থাকি। যদি কোন দুর্নীতি থাকে তা আমার উপরের অফিসারদের। আমার কোন দুর্নীতি নাই।

মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে দশমিনা উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষের চলছে স্বাস্থ্য সেবা। একই ব্যক্তি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই। তাকে সবাই রোগী মারা ডাক্তার হিসাবে চিনেন। ডাঃ নুরুল হক মিয়ার এসব অনিয়ম-দুর্নীতি ও তার চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর সংবাদ সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশ হয়েছে।

অফিস চলাকালীন সময় ডাঃ নুরুল হক মিয়া রোগী রেখে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাথে উপুরি কামাইয়ের আলোচনায় মগ্ন থাকেন। এছাড়াও উপুরি নিয়েও মানসম্পন্ন ঔষধ লিখেন না বলে রিপ্রেজেন্টেটিভদের সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যায়। অপরদিকে রোগীদের সাথে র্দুব্যবহার ও ৫০ থেকে ২শ ৫০ টাকা ভিজিট হিসেবে গ্রহণ করে থাকে এবং টেষ্টের জন্য প্রাইভেট ল্যাবে পাঠানো হয়। এখান থেকে রোগীর সংখ্যার উপরে মাসোয়ারা গ্রহণ করে। সাধারণ রোগেও জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য রোগীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ডাক্তারের চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। গত ৩১ মার্চ উপজেলার বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তানিয়া আক্তার জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঐ ডাক্তার জন্ডিসের চিকিৎসা না করে ডায়রিয়া রোগের ঔষধ পুশ করলে ১০/১২ মিনেটের মধ্যেই মেধাবী ছাত্রী তানিয়ার অকাল মুত্যু ঘটে। আবার চিকিৎসা অবহেলায় গত ৬ জুন উপজেলার বেতাগী গ্রামের মাটি কাঁটা শ্রমিকের স্ত্রী বেলা রানী বিষ পান করায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির আধা ঘন্টা পর চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মারা যায়।

গত ৫মার্চ এক সংঘর্ষে গুরুতর অবস্থায় মোঃ আফজাল হোসেনকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বরিশালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, ডাঃ নুরুল হক মিয়া মেডিকেল রিপোর্ট এ আফজালের ইঞ্জুরি (মাথায়) ফিরিস্তিতে আড়াই ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং প্রায় আধা ইঞ্চি ডিপ লেখা হলেও রিপোর্টের শেষের অংশে শুধু সিম্পল শব্দটি লিখে অপর পক্ষ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে ডাঃ নুরুল হক মিয়া জানান, আমি নামাজি লোক; এই অভিযোগ শুনে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছে। আমি অনেক কষ্টে এইখানে রোগী দেখি।

আমার লেবাছ দেখলে কেউ বলতে পারবে না আমি কোন উপুরি টাকা পয়সা নেই। সূত্র: বা;লাদেশ প্রতিদিন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।