আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যথা নিরাময়ে মেডিটেশই সবচেয়ে বেষ্ট .....প্রসেস...

সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমার পাতা

মেডিটেশন ব্যথা নিরাময়ে অব্যর্থ সুখের অভাবই অসুখ। মনে সুখের অভাব হলেই তার প্রভাব পড়ে দেহে। মনের দুঃখ কষ্ট ক্ষোভ হতাশা গ্লানি জমে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা বেদনারূপে প্রকাশ পায়। ব্যথা বেদনার বেশিরভাগই মনোদৈহিক। মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, ব্যাকপেইন, বাত ব্যথাসহ ক্রনিক রোগগুলোর অবস্থাও তা-ই।

মেডিটেশনে এলে মনের ভেতর থেকেই অপ্রয়োজনীয় এ জঞ্জালগুলো বেরিয়ে যায়। বইতে শুরু করে নিরাময়ের সুবাতাস। মেডিটেশনের ওপর প্রথম পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায় গভীর মেডিটেশনের সময় একদল ধ্যানীর দেহে স্টিলের সুই ঢুকিয়ে দিলেও তাদের দেহে কোনো ব্যথাবোধ হয় নি। তারপর থেকে গত ৩ দশক ধরে মেডিটেশনের ওপর পরিচালিত অনেকগুলো গবেষণার মধ্য দিয়ে এ সত্যটিই ফুটে উঠেছে যে সবধরনের ব্যথা নিরাময়ে ( মাথাব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, অপারেশন পরবর্তী ব্যথা, ঘাড়, হাত ও পায়ে ব্যথা, পিরিয়ড পূর্ব যন্ত্রণা) মেডিটেশন অব্যর্থ। আমেরিকার বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী প্রিভেনশন-এর জুন ১৯৯৭ সংখ্যায় সারাদেশে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ২৭% আমেরিকান শিথিলায়ন করে ব্যথা কমান আর ২৩% আমেরিকান জানান যে, ডাক্তার তাদেরকে পেইনকিলারের পরিবর্তে শিথিলায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

গভীর শিথিলায়ন দেহে ব্যথার অনুভূতি কমায়। জার্নাল অফ দি আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন-এর জুলাই ২৪-৩১, ১৯৯৬ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, গভীর শিথিলায়ন বা মেডিটেশন পেইনকিলার ও সার্জারির মতোই দ্রুত ক্রনিক ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সার্জারি ও পেইনকিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই শিথিলায়ন বা মেডিটেশনের। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের বাঘা বাঘা ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল এটি ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো প্রথিতযশা চিকিৎসা-বিদরা সরকারিভাবে শিথিলায়নকে কোমর ব্যথা, মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন, আর্থ্রাইটিস, ব্যাকপেইন, পেশির ব্যথা, পায়ের ব্যথা, মহিলাদের মাসিকের সময়ের ব্যথা ইত্যাদি ক্রনিক ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন।

১৯৭৯ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস-এর মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. জন কাবাত জিন তার বিখ্যাত স্ট্রেস রিডাকশন ক্লিনিকে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে ওষুধ ছাড়াই ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করেন। রোগীদের অধিকাংশই ক্যান্সার, এইডস বা ক্রনিক ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন। এমনকি জন কাবাত জিনের তত্ত্বাবধানে দুরারোগ্য চর্মরোগ সোরায়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও চিকিৎসার সময় মেডিটেশন করে ভালো হয়েছেন অন্যদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি হারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।