আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বকাপের মাসকট গুলা দেখেন ... মজাক পাইবেন

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

মাসকট হলো ফুটবল বিশ্বকাপের আসর জমবে যে দেশে, ঐ দেশটির গাছ-পালা, পশু-পাখি, পোশাক-পরিচ্ছদ বা এককথায় ঐ দেশটির সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী বৈশিষ্ট্য। কিন্তু মাসকট কিন্তু মোটেই জটিল কিছু না। কারণ, মাসকট সবসময় হয় কার্টুনের মতোন। ১৯৩০ এ বিশ্বকাপ শুরু হলেও মাসকটের প্রচলন প্রথম শুরু হয় ১৯৬৬ তে ইংল্যাণ্ড বিশ্বকাপ থেকে। আসুন এবার এক এক করে পরিচিত হই মাসকটগুলোর সঙ্গে।

মুড়ি-চানাচুর মাখায়া নিয়া বসেন। চিবান আর দেখতে থাকেন। ১. উইলি - ইংল্যাণ্ড,১৯৬৬ : উইলি হলো একটি সিংহ, যে ইংল্যাল্ড এর জাতীয় পতাকা পরিহিত। এ সিংহ যুক্তরাজ্যের প্রতীক । আর ইংল্যাণ্ড দলের নিক নেম জানেন তো !!!! দি থ্রি লায়নস ২. জুয়ানিতো - মেক্সিকো, ১৯৭০: এই পিচ্চি হচ্ছে এক মেক্সিকান বালক।

সে সমব্রিরো (মেয়েদের পড়ার জন্য এক ধরনের মেক্সিকান হ্যাট) পড়ে আছে যেখানে লেখা - মেক্সিকো ৭০। স্প্যানিশ ভাষায় হুয়ান বা জুয়ান নামটি মোটামুটি কমন একটি নাম। ৩. টিপ এণ্ড ট্যাপ - পশ্চিম জার্মানী, ১৯৭৪: টিপ এণ্ড ট্যাপ নামের দুটি শিশু জার্মানির পতাকা গায়ে। একজনের জার্সিতে লেখা wm যা জার্মান (Weltmeisterschaft, World Cup) ভাষায় বিশ্বকাপ বোঝায়। অন্যজনের জার্সিতে লেখা ৭৪ ।

৪. গাউচিতো - আর্জেন্টিনা, ১৯৭৮: গাউচিতো হল আর্জেন্টিার পতাকা পড়া এক সাহসী কিশোর, যার ডান হাতে একটি চাবুক। তার পায়ে বল আর মাথার টুপিতে লেখা ছিল আর্জেন্টিনা ৭৮। কি মনে হয়, লিওনেল মেসি মনে হয় পিচ্চিকালে এমন ই ছিলো তাই না । ৫. নারানযিতো - স্পেন, ১৯৮২: এই মাসকাটটি কোনো প্রানীকে নিয়ে না। কমলাকে নিয়ে ।

স্পেনের ভাষায় কমলাকে বলা হয় নারানযা। স্পেনের পতাকাবাহী কমলার হাতে ছিল একটি ফুটবল। ইমো মার্কা একটা হাসি ও ছিল তার মুখে । ভাই মুড়ি কি ফুরাইয়া গেছে। এইবার ফ্রিজ থেকে একটা কমলা খেয়ে দেখতে পারেন।

মুড়ি চানাচুর কমলা যদি শেষ হয়, এইবার গরম গরম একমগ কফি নিয়া বসেন। ৬. পিকু - মেক্সিকো, ১৯৮৬: মেক্সিকো এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজকের গৌরব অর্জন করে। মেক্সিকান খাবারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রচণ্ড ঝাল। স্প্যানিশে ঝাল মসলাদার সসকে বলে পিকান্তে। এখান থেকেই পিকু এসেছে।

পিকু নামের মরিচ টি ডান বগলে একটি আস্ত ফুটবল বগলদাবা করে আছে "মুই কি হনুরে -ভঙ্গিতে"। ৭. চ্যা্ও - ইটালি, ১৯৯০: ইতালির পতাকার রঙের তালপাতার সেপাই মার্কা শরীর আর মাথার স্থানে বল, এটাই হল চ্যা্ও(Ciao)। ৮. স্ট্রাইকার - যুক্তরাস্ট্র, ১৯৯৪: কুকুর আমেরিকানদের খুব ই প্রিয়। আমেরিকার জাতীয় দলের পোশাক পড়া এই কুকুরটির নাম স্ট্রাইকার। অবশ্য নিন্দুকেরা বলে সকার হল তার পঞ্চম পছন্দের খেলা।

বাকি চারটি হল বেসবল, বাস্কেটবল, ফুটবল আর হকি। বুঝলাম না। ব্রিটিশরা যেটাকে ফুটবল বলে, আমেরিকানরা তো তাকেই সকার বলে । এটা কেমন কৌতুক হল। ৯. ফুটিক্স - ফ্রান্স, ১৯৯৮: ফুটিক্স শব্দটি এসেছে ফুটবলের ফু আর জনপ্রিয় কমিকস্ সিরিজ অ্যাস্টেরিক্সের ইক্স থেকে।

ফ্রান্স দলের জার্সির সাথে মিল রেখে এর রঙ ও নীল। এর বুকে লেখা ফ্রান্স ৯৮। ১০. এটো, ক্যাজ, নিক - কোরিয়া-জাপান, ২০০২: কমলা, লাল আর নীল রঙের তিনটি মাসকটের একটি ফুটবল দল। যেখানে, এটো হল কোচ, ক্যাজ ও নিক হল খেলোয়াড়। আর দলটার নাম অ্যাটমোবল।

১১. গোলিও এবং পিল্লে - জার্মানী,২০০৬: গোলিও হচ্ছে এমন একটা সিংহ যে ডিজনির দি লায়ন কিং এর মুফাসা নামক সিংহের চরিত্রে অংশ নিতে চায়। কিন্তু অডিশন রাউণ্ডে ব্যথ্য হ্ওয়ায়, সে পিল্লে নামের একটি কথা বলা বলের প্রেমে পড়ে। গোলিও শব্দটি গোল এবং লিও(সিংহ) থেকে এসেছে। এর মানে হল গোলদাতা সিংহ। ১২. জাকুমি - সাউথ আফ্রিকা, ২০১০: জাকুমির জা হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোড।

আর আফ্রিকার বিভিন্ন ভাষায় কুমি মানে হল দশ । জাকুমি-র সবুজ এবং হলুদ বা সোনালী রঙ টি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের জার্সির এবং জাতীয় পতাকার রঙ নির্দেশ করে । জাকুমি হল একটি লিওপার্ড বা চিতা। জাকুমি তার চুল আচড়াতে খুব পছন্দ করে এবং আইলাইনার দেয় চোখে। ভাই কফি কি ফুরাইয়া গেছে???? আমার পোস্টাটা্ও ফুরাইয়া গেছে।

ভালো থাকবেন সবাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।