আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত!!! ভেড়া গুনছেন শুয়ে শুয়ে?? :: আসুন দেখা যাক সমাধান করা যায় কিনা

অপেক্ষায় আছি সেই পলিনেশিয়ান তরুণীর যার বাম কানে সাঁজানো লাল জবা...
রাতে ঘুম খুব দরকারী একটি শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়া। খুব স্বাভাবিক ভাবেই একজন মানুষের দিনে (২৪ ঘন্টায়) গড়ে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। অনেকের রাতে বিভিন্ন কারনে ঘুম কম হয়, অনেকে সারারাত ঘুম আসার জন্য অপেক্ষা করেন। অনেকে ঘুম আনতে ভেড়াও গোনেন। আসুন দেখা যাক ভেড়া না গুনে অন্য কি করা যেতে পারেঃ @ দিনের বেলা নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন।

অনেকের দুপুরে ভাত ঘুম ঘুমানোর অভ্যেস আছে। এটি কিন্তু রাতের ঘুমে সমস্যা তৈরী করে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। @ ঘুমোতে যাবার আগে ঘরের বাতি নিভিয়ে দিতে পারেন। যারা অন্ধকার ঘরে ঘুমোতে পারেননা তারা ঘরে কম আলোর বাতি বা ডীম লাইট ব্যবহার করতে পারেন।

@ বিছানায় শুয়ে ঘুম আসছেনা, কেন ঘুম আসছেনা, তাড়াতাড়ি ঘুমানো দরকার, সকাল-সকাল উঠতে হবে এমন ভাববেননা। গভীর নিঃশ্বাস নিন, এবার আস্তে-আস্তে শ্বাস ছাড়ুন, চোখ বন্ধ করে দিনের আনন্দময় কোন ঘটনার কথা ভাবতে পারেন। @ যদি ঘুম একেবারেই না আসে সেক্ষেত্রে বিছানায় শুয়ে না থেকে উঠে একটা গল্পের বই বা যেকোন বই হাতে নিয়ে পড়তে বসতে পারেন। হালকা কোন কাজে হাত দিতে পারেন। @ বারবার ঘড়ির দিকে তাকাবেননা।

ঘড়ির সময় এগিয়ে যাবে ঘুম...!!! @ শোবার ক্ষেত্রে পেটে চাপ পড়ে এমন ভাবে শোবেননা (উপুর হয়ে), যেকোন এক সাইডে শোবেন। @ অনেকে ঘুম না আসলে ঘুমের ঔষধ খান। এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। আজ হয়ত আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমুতে পারবেন, কিন্তু ধিরে ধিরে এটি এডিকশনের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আর এমন সময়া আসতে পারে যখন ঘুমের ঔষধ না খেলে আর স্বাভাবিক ঘুমই আসবেনা।

@ অনেকের ক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম দুধ ঘুমের আগে খেলে বেশ কাজে দেয়। @ ঘুমুতে যাবার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিতে পারেন। @ ঘুমের ঘন্টা খানেকের মাঝে ব্যায়াম করবেননা। @ চা, কফি বা ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। @ রাতের বেলার খাবারে রিচ ফুড, তেল সমৃদ্ধ খাবার যত কম রাখা যায় ভাল।

যদি আপনি অনেকদিন যাবৎ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলবেন। আজকের ঘুম শান্তির হোক, আনন্দের হোক। উৎসর্গঃ রাত জাগা সব ইনসমনিক-কে
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।