আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজিকের দিনের বাস্তবতা

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

ল্যাপিটা আমার নয় দোস্তের, ধার করেছি । তবে ব্যাটা অনেক শয়তান । তার ল্যাপটপ পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড । কিন্তু আমি মনে প্রানে আমি লুসির প্রেমে মত্ত । তাই উবুন্টুকে ইউএসবিতে রাইট করে নিয়েছি ।

তারপর বন্ধুর ল্যাপটপে বসে ইউএসবি থেকে বুট করে ট্রায় উবুন্টু উইথআউট ইনস্টল এ এন্টার করে ঢুকে গিয়েছি উবুন্টু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় । এতে বন্ধু টেরও পাবে না । যেহেতু আমি লিনাক্স ইনস্টলও করি নাই কিন্তু ব্যবহার করছি । সাপ মরল লাঠিও ভাঙল না । তবে দোস্তের ল্যাপিটা থেকে আমার ল্যাপিটা অনেকটা শক্তিশালী তবে আমার পাওয়া ক্যাবেল এ সমস্যা হয়েছে তাই ব্যবহার করতে পারছি না ।

নতুন একটা কিন্তে হবে । এখন টাকাও নাই । তাই কিন্তেও পারছি না । দোস্তের র‍্যাম ৫০০ মেবা. এর থেকে একটু বেশী । তাই সমস্যা হচ্ছে অনেক ।

তবে আপাতত রিপোজেটরীকে হালকে করে লোড করেছি আর কিছু কম্পোনেন্ট ডিসএবল করে দিয়েছি । ইন্টারনেট চালানোই আমার মূল লক্ষ্য । যদিও আমার মোবাইল থেকেও ফেইসবুকে ইন করতে পারতাম কিন্তু সুবিধা পাচ্ছিলাম না দ্রুত টাইপ করার জন্য । তবে চিন্তা করছি স্ল্যাক্স রাইট করব উবুন্টুর জায়গায় । কারণ স্ল্যাক্সও উবুন্টু মত আরেকটা ছোট্ট হালকা ইউজার ফ্রেন্ডলী ওএস http://www.slax.org/ তবে আরেকটা আছে ছোট্ট লিনাক্স ওএস ড্যাম স্মল লিনাক্স তবে বেটা বেশী ছোট ।

ড্যাম স্মল লিনাক্স ওএস এর গ্রাফিক্স অতটা ভাল নয় । তাই এর বিপরীতে স্ল্যাক্স লিনাক্স ওএস অনেক ভাল । তাছাড়া আমি স্ল্যাক্স এর মত ছোট্ট লিনাক্স খুজছিলাম । কারণ জরুরী প্রয়োজনী যেকোন কম্পিউটার চালানো যাবে ইনস্টল ছাড়াই । যদিও এখনও স্ল্যাক্স রাইট করি নাই ।

তবে নজরে রেখেছি । আমি একসময় মাক্রোসফট এর গ্রাহক + অনুরাগী ছিলাম । এখন আমি লিনাক্সের ! আমার অরিজিন্যাল এক্সপি, ভিসতা, ৭ আছে । তাছাড়া গেইম এর এইজ এম্পায়রস ৩ কালেকশন আছে যা আমার অত্যন্ত প্রিয় গেইম । যাকে অনেক মিস করি কারণ মাইক্রোসফট তার পরবর্তী ভার্সন ছাড়বে না ।

আজ বৃষ্টি হবে । লেখাটা লেখছি গতকাল থেকে... গতকাল বৃষ্টি হচ্ছিল । আজও বৃষ্টি হবে আকাশের অবস্থা শেয়াল মামার বিয়ের মত । ছোটকালে রোদ থাকা অবস্থায় আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়লে সবাই বলতাম শেয়াল মামার বৃষ্টি হবে । আজও তাই হবে মনে হচ্ছে ।

এখন আমি টাইপ করছি ডেস্কটপ পিসি থেকে । দোস্তের ল্যাপটপকে ছেড়ে দিলাম । একটু রোমান্টিক গান শুনতে ইচ্ছা করছে সাউন্ড বক্স থেকে ... আমারও পরানো যাহা চায়...... তুমি তাই... তুমি তাই গো...... আমারও পরানো যাহা চায় । আমি যদি দুকলা থাকতাম, তাহলে আজ বৃষ্টিতে ভিজতাম । আমি ছোটকালে অনেক ভিজেছি ।

তখন বোনের সাথে বন্ধুদের সাথে বান্ধবীদের সাথে, কাজিনের সাথে । তখনকার দিন অনেক মধুর ছিল । আজ আমি একা । তবে বড় একা সেটা বলছি না । তবে কাউকে অনুভব করতে ইচ্ছা করছে ।

আজ সকালের নাস্তা এখনও করি নাই । আজ সরকারী ছুটি নাকি ? সবাই এত নিশ্চুপ কেন? পাখির ডাক শুনছি না । আামার আগে পোষা পাখি ছিল বিদেশী পাখি, মরে গিয়েছে অসুখে । তবে তাদের গোসল দেখতাম । তারা কিভাবে সুন্দর করে লাইন ধরে তাদের খাবারের পানিতে নতুন পানি দিলেই বিকালে দুপুরে আর সকালে ডানা ঝাপটে গোসল করে ।

তাদের অনেক মনে পরে । আরেকটু ক্ষুদা বারুক নাস্তা করতে হবে । ফুলকপি, আলু, পাপরিকা আর প্রচুর তেল দিয়ে রান্না করা হয়েছে । একসময় প্রচুর খাবার খেতাম । খাবারের রুচি ছিল ।

সে তুলনায় ব্যায়ামও করা হত । আমি রেসলার না হলেও আমি আমার জগতে সিক্স প্যাকের মালিক ছিলাম । কিন্তু একসময় নিরুতসাহিত হয়ে পরি । চিন্তা করি কেনই দরকার এত জিম এ গিয়ে ভারী জিনিস টানাটানি করার । আমার কপালে কোন নায়িকা তো আর আসবে না ।

হেহেহে .. তরুণদের বয়:সন্ধিতে চলচ্চিত্রের প্রভাবে অনেকটা মনে করে দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলে বান্ধবীর অভাব হবে না । একসময় ব্যাপারটা আমার কাছে মিথ্যা লাগল । মনের সৌন্দর্য ই প্রধান অন্তত ছেলেদের ক্ষেত্রে । যেহেতু আমি ছেলে তা ছেলেদের জন্যই বলতে পারি । মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়ত মানসিক সৌন্দর্য্য যেরকম প্রয়োজন তেমনি দৈহিক সৌন্দর্যও অনেক প্রয়োজন যা দেখে ছেলে প্রেমে পরে ।

কেউ যদি বিরোধীতা করে তাহলে আমি বলব ... ঠিকাছে ছেলে কি একটা মেয়েকে না দেখে প্রেমে পরতে পারি? অবশ্যই না সুতরাং দৈহিক সৌন্দর্য্য অবশ্যই আছে পৃথিবীতে না হলে নারীকে পুরুষই প্রপোজ করত না । ক্ষেত্র বিশেষে নারীও প্রপোজ করে কিন্তু মনে পাগল হয়ে, চেহারা দেখে পাগল হয় না মেয়োরা, হলেও কম । যাই হোক আমার মূল বিষয় প্রেম নয় এমনিতেই কথার ছলে শাখা গজিয়েছে । আসলে একজন লেখক হতে গেলে মনকে সব সময়ই ফ্রেশ রাখতে হয় । না হলে হাত থেকে লেখা ঝড়ে পরে না ।

জন্মগতভাবে কেউ প্রতিভাবন হয় না । নবী ও রাসূল ব্যতিক্রম । যেহেতু আমি আস্তিক । আমাদের প্রত্যেকর মধ্যে ক্ষমতা নিহিত । একে জাগিয়ে তোলা নিজ নিজ কাজ ।

নিজ নিজ দায়িত্বে তাকে ফোটাঁতে হয় । আমি আমার মধ্যে কোন প্রতিভা ফোটাঁতে পারি নাই । আমি জানিও না আমার মধ্যে কি নিহিত আছে । নিংড়ে বাহির করার চেষ্টা করেছি । তবে অনেক কষ্ট করে কম্পিউটারকে আক্রে ধরে রাখছি ।

আমি যখন স্কুলে ৮ কি নাইনে তখন আব্বুকে দিয়ে জোর করে ভিসু্য়েল বেসিক , সি ++ এর অবোধ্য কম্পু ভাষার মোটা মোটা বই কিনে পরার চেষ্টা করতাম । তবে এতে সহায়তা পাই নাই । বাংলা ভাষায় ব্যবহার সীমিত । ইংরেজীতে শিখতে হবে । পড়েও চেষ্টা করেছি অনেক ।

কি বোর্ড এর হাতে খড়ি পাড়ার ছোট্ট একটা কম্পু ক্লাবে ভর্তি হয়ে । যত টাকা খরচ হয়েছে এর থেক একটা কম্পিউটার কিনতে পারতাম আর তাতে প্র্যাকটিস করেছিলাম । আব্বু বলেছিল এ + পেলে কম্পু কিনে দিবে । বাজেট ৩০ হাজার টাকা । অনেক দিন আগের কথা ।

এ + না পেলেও এ - মাইনাস পেয়েছি । তবে তাতেও আমার আশা ছিল না । কিভাবে যেন পেয়েছি । পাশ্চাত্যের চলচ্চিত্রের সোনালী সাদা চুল, নীল চোখ, সবুজ চোখ আমাকে আকৃষ্ট করত । ইস আমারও যদি এরকম হত ।

কিন্তু আমার ডি এন এ ভিন্ন । সুতরাং আমাদের জাতির ব্যাপাটা কালো আর বাদামীতেই সীমাবদ্ধ । জীবনে যখন প্রেমের প্রপোজ পাই, সে মেয়ে কলেজে পরত ! শারীরিকভাবে অল্প বয়সেই খুব বড় হয়ে যাই । কিন্তু আমি স্কুলের ছাত্র । এই প্রথম প্রেমের প্রপোজ আমাকে ভীতু করে তোলে ।

শুনেছি মেয়েটি অনেক সুন্দর ছিল । নীল চোখ ছিল তার । অসম্ভব সুন্দর । কিন্তু তাকে কখনো আমার দেখা হয় নি । ইনফেক্ট ডেটিং ডেইটও আমি যায় নি ।

মনে হচ্ছিল মেয়েটি দুষ্টামি করছে অথবা যা করছে তা ভুল । আমি খুব অল্প বয়সেই মোবাইল পাই ক্লাস ৮ এ থাকতে বোন দেয় যা জন্মদিনের গিফট আর ৯ এ আব্বু থেকে । তখনকার সময় হাতে মোবাইল পাওয়া ছিল অনেক কিছু তাও এই অল্প বয়সে । পাড়ায় তখন প্রথম ইনফ্রার মাধ্যমে মোবাইলে ডাটা আদান প্রদান করা হত । অবাক হয়ে চেয়ে দেখতাম চিন্তা করতাম কখন পাব আব্বুর কাছ থেকে ।

ততদিনের আমার কাছে আছে বিশ্বের সেরা সেরা মোবাইল এর সমাহার । আইফোন, নোকিয়া এন সিরিজ এর পর পর তিনটা ভার্সন । আমি এগুলো কাউকে দেই না । আমার সখের সো কেসে জমা করে রাখি । যদিও আমার সিম সংখ্যাও বেশী তাই কাজেও লাগে ।

কাজের জন্য, বাসার জন্য, বন্ধুদের জন্য, ফ্যামেলীর জন্য আলাদা আলাদা সিম । যাতে আমার সমস্যা হলে কোনটা বন্ধ রাখতে পারি । শুনেছি নীল চোখের মেয়েটি অনেক বড়লোকের মেয়ে ছিল । বন্ধুরা বলল মিস করলি । আমি বলি বড়লোকের মেয়ে বলে না, রাজকন্যা আর রাজত্ব একসাথে পেতাম ।

আমি বললাম ভাল । আমি আমার জগতে রাজত্ব নিজেই প্রতিষ্ঠা করব । তারা বলে, মেয়েটি নাকি আমাকে অনেক ভালবাসত । আমি বলি কচুঁ । পুরান বন্ধুরা আজও আমাকে জ্বালায় নীল চোখ নিয়ে ।

মেয়েটির নাকি দুইটা বাচ্চাও আছে !, থাকে অস্ট্রেলিয়ায় । কয়দিন আগে কয়েক দোস্ত বিয়েও করেছে যদিও এরা বয়সে ছোট কিন্তু পালিয়েই করল । আমি চিন্তা করি বিয়ে মানুষ জীবনে একবারই করে । বিশেষ করে বাঙ্গালী সমাজে । তাই এটাকে একটু ধুম ধাম করে করা উচিত ।

সবাইকে কষ্ট দিয়ে পালিয়ে করা উচিত না । ভালবাসা থাকুক ভাল কথা, তবে সবাইকে কনভিন্স করা উচিত । পালিয়ে বিয়ে করা আমার ভাল লাগে না । যেখানে পরিবার সাপোর্ট দেয় না তাতে ভালবাসা না থাকাই উচিত কারণ বাবা-মা অনেক আদর করে সন্তানদের লালন পালন করে পরে যখন এক পুরুষ বা নারীর জন্য লুকিয়ে আলাদা হয়ে সংসার করতে হবে তার মানে নাই । ভালবাসার জন্য আমি আমার পরিবারকে কুরবানী দিতে পারব না ।

গতকাল দোস্তের ল্যাপিতে বসার আগে বাজারে গিয়েছিলাম মাংস কিন্তে কিন্তু দোকানে দাম দেখেই মাথা চড়ক গাছ গরু ছেড়ে মুরগীর রান ধরলাম । আমার সাধের সিক্স প্যাক আর স্টাইল উস্টাইল সব গিয়েছে সুতরাং এত চর্বির ভয় করলে চলবে না । নো বান্ধবীর চিন্তা নো সি প্যাকের প্যাকেটের ভাবনা । সুন্দর মন তৈরী করব । তারজন্য তরতাজা খাবার দরকার ।

পেয়াজঁ, বেগুন, পাপরিকা, ডিম কিনেছিলাম । তবে ভারী হওয়াতে আমার হাতের অবস্থা টাইট হয়ে গিয়েছে বাসা পর্যন্ত আনতে আগে বডি বিল্ডার ছিলাম তাই ব্যাপারই ছিল না ১৫ ২০ কিলো কিন্তু এখন বড়ই ব্যাপার । নিজেকে খুবই নাদান লাগছে । কাজিনের উপহার ইস্পাতের ঘোড়াটি শো কেসে সাজানো আছে । এখনও চোখে পড়ছে ।

তাই প্রায়ই তার কথা মনে পরে । এই উপহার দেখে অনেকে মনে করে আমাদের মধ্যে কিছু আছে কিন্তু আমি জানি আমার পক্ষ থেকে কিছুই নাই । তার পক্ষ থেকে জানি না । আমাদের বয়সটা কি এরকমই ? কথা গুলি আজ মন থেকে লিখেছি, খুব ভাল লাগছিল । অনেক দিন মন থেকে লেখা হয় না ।

:!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।