আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নান্না মিয়ার বিরিয়ানী কাহিনী

আমি পূর্ণয়

সুপ্রিয় পাঠকমন্ডলি(!) আজকের আলোচনার বিষয় হল নান্না মিয়ার বিরিয়ানী সূচনাঃ অতি আদিকাল হতেই এদেশে সূচিত হয়েছিল নান্নার মিয়ার বিরিয়ানীর প্রচলন কিন্তু তা কবে থেকে শুরু হয় তা আমার জানা না থাকলেও উহা খেতে কেমন তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হল নিচে। বর্ণনাঃ নান্না মিয়ার বিরিয়ানীর দোকান আমি পুরাণ ঢাকার বেচারাম দেওরী তে দেখেছি, লালবাগ এবং মতিঝিলেও দেখেছি। সব জায়গাতেই খাওয়া হয়েছে তবে সবচেয়ে বেশী খাওয়া লালবাগের দোকান টিতে। সুস্থ-সবল ও সুন্দর এ দোকানটিতে প্রথমেই বসার জন্য লাইন ধরতে হয় তারপর জায়গা পেলে ছোট একটি চেয়ারে চিপাচিপি করে বসতে হয়। আপনি যখন বসবেন তখন খেয়াল করে দেখবেন কয়েকজন ব্যক্তি তার বউ বাচ্চা পোলাপাইন লইয়া বসার জায়গা না পাইয়া খাড়াইয়া খাড়াইয়া ভক্ষণে নিমগ্ন আছে।

আপনি কিঞ্চিত বিরক্ত হইয়া যখন মামা কে বিরিয়ানী দেয়ার জন্য ডাকতে থাকবেন তখন দেখবেন মামা পার্সেল দিতে ব্যস্ত আছে। অনেক বার বলার পর অবশেষে অবশ্যই আপনার ভাগ্যে বিরিয়ানী জুটবে এবং আপনি খুব মজা করেই তা খেতে পারবেন। দামঃ বর্তমানে নান্না মিয়ার মোরগ পোলাও-এর দোকানে পাওয়া যায় কাচ্চি বিরিয়ানী যার দাম ১৪০ টাকা, তেহারী যার দাম ১০০ টাকা এবং মোরগ পোলাও যার দাম ১৩০ টাকা। এ ছাড়াও সে দোকানে বোরহানী যার দাম ৩০ টাকা গ্লাস ও ফিরনীও পাওয়া যায় যার দাম ১৫ টাকা মাত্র। আপনি চাইলে কোকাকোলাও খেতে পারেন।

তাছাড়া সে দোকানে ফিলটার পানি প্রতি গ্লাস ১ টাকা করে দাম রাখে। স্বাদঃ বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলে একটা বিজ্ঞাপণে বলা হত " বাংলার গৃহিণীর হাতে আছে পাকা রাধুনীর স্বাদ" কিন্তু নান্না মিয়া গৃহ কর্তা হয়েও এত টা স্বাদ কি করে দ্যান তা আমার জানা নাই। তার বিরিয়ানী গুলো সবচেয়ে উত্তম দিক হল পোলাও-এর চাল গুলো খুব ফ্রেশ, তা ছাড়া মোরগ পোলাও এর মোরগের গোস্ত এবং কাচ্চির খাসির গোস্তের ঝোল টা আজও জিভে লেগে আছে। তাকে অমৃত বললে ভুল হবে কারণ অমৃত হয় মিষ্টি তবে নান্না মিয়ার মোরগ পোলাও তে হালকা ঝালের ছোঁয়া আছে যা আপনাকে ভুলিয়ে দিবে আপনার নিজের হাতের রান্নার স্বাদ। কারণ আমি জানি আপনারা কেউ কিছুই রানতে পারেন না উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যেতে, আপনি যদি নান্না মিয়ার দোকানে বসিয়া, পা খানি চেয়ারের উপরে তুলিয়া মনের মত খাবার ভক্ষণে নিমগ্ন থেকে পকেটের অঢেল টাকা খরচ করেন তাহলে আপনার টাকা গুলো অবশ্যই সার্থক।

নিচে নান্না মিয়ার বিরিয়ানী খাওয়া অবস্থায় লেখকের ছবি দেয়া হল। মূলত লেখক তার মিড টার্ম এক্সামের দুইদিন আগে বই কিনার টাকা দিয়ে বিরিয়ানী খেয়ে এ ছবিটি তুলে নিজের টাকা কে সার্থক করে সে পরীক্ষায় বইহীন অবস্থায় ফেইল করেছিলেন

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।