আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারে বা কি মজা ! অবৈধ পন্থায় মাত্র দুই দিনে নূতন গ্যাস সংযোগ কিন্ত নূতন বৈধ সংযোগ নিষিদ্ধ



সরকার গ্যাস স্বল্পতার অজুহাতে ঘোষনা দিয়ে বেশ কয়েক বছর গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ করে রাখে, কিন্ত মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধ পথে গ্যাস সংযোগ অব্যাহত রাখে । প্রথমে সবাই ধারনা করত যে, হয়ত, কতিপয় সরকারী অসাধু কর্মকর্তারা অল্প সংখ্যক অবৈধ সংযোগ দিলেও দিয়ে থাকতে পারে, কিন্ত যখন নির্বাচন সমাগত ,জনগনের ভোট পাইতে হবে, সুতরাং সরকারের তরফ থেকে ঘোষনা দেওয়া হল যে, পর্যাপ্ত গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া হবে । কিন্ত বিধিবাম, দেখা গেল যে, বৈধ সংযোগ দেওয়া বন্ধ হওয়ার পরের বছর গুলিতে, যে পরিমান অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হইয়াছে, বৈধ পথে দিলে হয়ত সামান্য কিছুপরিমান সংযোগ বেশী দিতে হইত । অর্থ্যাৎ, বৈধ সংযোগ বন্ধ করে সরকার শুধুমাত্র জনগনের পকেট কেটে শতশত কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিল- সব অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্মচারীদের, যারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় দেশপ্রমিক । অবৈধ উপায়ে নেওয়া গ্যাস সংযোগের সরকারের অংশের প্রায় ৫০০কোটি টাকা ব্যাংকে জমা পড়ল কিন্ত অবৈধ সংযোগের টাকা বৈধ সংযোগের কোড নম্বর ব্যবহার করতে না পারায় সরকার এই টাকা সরকারের কোষাগারে নিতে পারছিল না ।

তাই সরকার আবার ঘোষনা দিল যে, যারা আগে অবৈধ সংযোগ নিয়েছিল, তাদেরটা আগে সামান্য জরিমানা নিয়ে বৈধ করা হবে কিন্ত নতুন সংযোগ আপাতত দেওয়া হবে না । ফলে সৎলোকেরা আবারও হয়ে গেল নতুন গ্যাস সংযোগের জন্য নালায়েক নাগরিক । এমনকি, যাদের পুরাতন সংযোগ আছে, তারাও তাদের চুলার সংখ্যা বাড়াতে পারছে না । কিন্ত দূর্নীতিবাজদের কপাল আরো খুলে গেল । অবৈধ সংযোগ বৈধ করার সুযোগ দানের সুযোগে, আবারো অবৈধ সংযোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে ।

এখন আর গোপনে কিছু করতে হয় না । আগে যেখানে অবৈধ সংযোগ নিতে রাতের আধারে চুপি চুপি গ্যাস সংযোগ দিতে হতো ,সময়ও লাগতো অনেক । কিন্ত বর্তমানে বেশ ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকেই মাত্র দুইদিনের মধ্যে অবৈধ সংযোগ দিতে সক্ষম হচ্ছে । একটি ডাবল বার্নার চুলা বৈধভাবে পেতে যেখানে খরচ পড়ত মাত্র দশ-বারো হাজার টাকার মতো, এখন অবৈধ উপায়ে পেতে খরচ পড়ছে মোট ষাট হাজার টাকা থেকে একলক্ষ টাকা পর্যন্ত । কি বিচিত্র দেশ আমাদের ! দূর্নীতিবাজরা হলো দেশপ্রমিক, সুতরাং পুরস্কৃত হওয়া তাদের ন্যায্য পাওনা ।

আর সৎ লোকেরা হলো- নাগরিক অধিকার ভোগের জন্য নালায়েক, সুতরাং ভোগান্তিই তাদের উপযুক্ত পাওনা । এটাই কি সংবিধানমূলে দেশের মালিক- জনগনের কপালের লিখন !


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.