আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্তু লারমা এগুলা কি বলে.........? আ.লীগ সরকারই নাকি ইউপিডিএফ'র স্রষ্টা।



বান্দরবান, মে ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - আওয়ামী লীগ সরকারই শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর স্রষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তি করলেও তা বানচালে করতে তারাই এই সংগঠনটি সৃষ্টি করেছে। " ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পাহাড়িদের প্রায় দুই দশকের সশস্ত্র আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে। সন্তু লারমার নেতৃত্বে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। কিন্তু চুক্তির বিরোধিতা করে পাহাড়িদের একটি অংশ ওই সময় ইউপিডিএফ গঠন করে।

এরপর থেকে দুটি সংগঠনের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। সা�প্রতিক সময়ে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রোববার দুপুরে জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার চতুর্থ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সংগঠনটির প্রধান সন্তু লারমা বলেন, "সরকার সেনা প্রত্যাহারের নামে পাহাড়ি লোকজনের সঙ্গে তামাশা শুরু করেছে। " এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় বান্দরবান টাউন হল প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন উদ্বোধন করেন সন্তু। পরে টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, "পাহাড়ের মানুষ একদিকে সেনাবাহিনী, অপরদিকে ইউপিডিএফ ও ইসলামী স�প্রসারণবাদীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।

" সন্তু অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ গত ১২ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনসংহতি সমিতির ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। বিগত তিনটি সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা দেখায়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পার্বত্য জেলার সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে সন্তু বলেন, "তারা পাহাড়ি হয়েও পাহাড়িদের স্বার্থ সংরক্ষণে সংসদে এখন পর্যন্ত একটি কথাও বলেনি। " তিনি বলেন, "বিএনপিও কোনো দিন আমাদের ভালো চায়নি। তারা তাদের সর্মথক আইনজীবীদের দিয়ে শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

আর এতে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে পাহাড়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। " সরকারের নজরদারির কারণে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে দাবি করে সন্তু বলেন, "আমি যেখানেই যাই সরকারি বাহিনী আমার পেছনে লেগে থাকে। আমার পেছনে লেগে থাকা গোয়েন্দাদের পেছনে সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করছে। " শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আন্দেলনকে বেগবান করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। জেলা জনসংহতি সমিতির সভাপতি সাধুরাম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার, প্রগতি বিকাশ চাকমা, মঙ্গল কুমার চাকমা প্রমুখ।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.