আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গানের পাখী ,সাবিনা ইয়াসমিন !!!

জীবন ,সে তো পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু"

"উপরওয়ালা যারে দেন,ছাপ্পড় মাইরা দেন"। নন্দিত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের ফ্যামিলির কথাই ধরা যাক। ৫ বোনের মধ্যে ৪জনই কন্ঠশিল্পী(ফওজিয়া খান, ফরিদা ইয়াসমিন, নিলুফার ইয়াসমিন)। এই বোনদের বিয়ে আবার যাদের সাথে হয়েছে,তারাও একেকজন বিরাট ব্যাক্তিত্ব। ওস্তাদ মোবারক হোসেন খান (ফওজিয়া খানের স্বামী) ক্লাসিক্যাল মিউজিকের জন্য, এককালের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন(ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী) যিনি সঙ্গীত প্রতিভাকে বিসর্জন দিয়ে পরবর্তিতে হয়ে উঠেন থ্রীলার সিরিজ 'মাসুদ রানা'র জনপ্রিয় লেখক, আর খান আতাউর রহমান (নিলুফার ইয়াসমিনের স্বামী) যিনি এক নামে বহু গুণে গুণান্বিত, কখনো চলচ্চিত্রকার, কখনো গীতিকার/সুরকার এবং কখনো শিল্পী হিসেবে।

.........মোটকথা, তাদের পুরো খান্দানই মনে হয় সঙ্গীতের জন্য নিবেদিত হয়েছেন। যাইহোক,সাবিনা ইয়াসমিন;যিনি চার দশকেরও বেশী সময় ধরে গানের ভূবনে বিচরন করছেন-বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেন নাই। গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত সাবিনা নিজেও দিতে পারবেননা তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের কোন উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর,ডি,বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে 'ডক্টরেট" ও লাভ করেছেন।

সাধারণত ফিল্মের গানেই তিনি বেশী কন্ঠ দিয়েছেন। আর ঢাকাইয়া ফিল্মের গানের যা অবস্হা, তাতে তার সমসাময়িক শিল্পীদের ভাল গানের সংখ্যা যেখানে আঙ্গুল দিয়ে গুনতে হয় সেখানে সাবিনার জনপ্রিয় গানের সংখ্যা অনেক দীর্ঘ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল গানগুলো এমন একটা সময়ে তৈরী হয়েছে যখন আমাদের রেকর্ডিং ব্যবস্হা ছিল নিতান্তই অনুন্নত। যার ফলে গানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষন করা হয় নাই এবং চাইলেই যে কেউ অধিকাংশ গান সংগ্রহ করতেও পারে না। তার অসংখ্য গানের মধ্য থেকে কিছু ভাল লাগা "একক "গান এখানে উল্লেখ করছি।

আমার রুচির সাথে হয়ত সবার মিল না ও থাকতে পারে, তবুও উল্লেখ করতে ক্ষতি কি? এ কী সোনার আলোয়----(মনের মত বউ) প্রেম যেন এক গোধুলিবেলার--(সমাধান) যদি আমাকে জানতে সাধ হয়(হারজিৎ) এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফোটে (আলোর মিছিল) জানিনা কি ভেবে কাছে নিয়েছিলে(আপনপর) মন যদি ভেঙ্গে যায় যাক (জোয়ার ভাটা) জানিনা কে তুমি -----(নাচের পুতুল) ভুলে গেছি সুর ওগো--(পিচ ঢালা পথ) অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান (অঃ দিঃ লেখা) শুধু গান গেয়ে পরিচয়---(অবুঝ মন) এ আধার কখনো যাবেনা (জীবন তৃষ্ণা) মিছে হল সবই যে মোর (এতটুকু আশা) নে রে হার মেনেছি ও মাধবী গো, আছো মোর অন্তরে এই ক্ষনটুকু শুধু আমার (ছুটির ফাঁদে) গীতিময়,সেই দিন চিরদিন (ছন্দ হারিয়ে গেল) রিমঝিম বরষাতে---------(ছন্দ হারিয়ে গেল) ছোট্ট একটি গ্রাম-----(সেতু) কিনিকিনি কংকন বাজে গো(স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা) জানিনা সে হৃদয়ে কখন এসেছে-(একই অঙ্গে এত রুপ) ফুলের মালা পরিয়ে দিলে (ময়নামতি) অনেক প্রেমে রাঙ্গানো আমার এ মন-(অনেক প্রেম অনেক জ্বালা) শহর থেকে দুরে (শহর থেকে দুরে) চিঠি দিও প্রতিদিন (অপরাধ) কোন লজ্জায় ফুল সুন্দর হল (অধিকার) ইশারায় শীষ দিয়ে আমাকে ডেকোনা (বন্দিনী) আলো তুমি নিভে যাও (অনন্ত প্রেম) রংধনু চোখে চোখে কথাকলি মুখে মুখে (মাটির মায়া) ভালবাসি বলিবনা আর (কসাই) ফুল যদি ঝরে গিয়ে আজকে রাতে (আনারকলি) দুঃখ আমার বাসর রাতের (জননী) সন্ধ্যার ছায়া নামে (পু্ত্রবধু) মন আমার ছোট্ট তরী (গাংচিল) মনটা কেন হঠাৎ করে বাধন হারালো(গাংচিল) কেউ কোনদিন আমারে তো (সুন্দরী) আমি আছি থাকবো ভালবেসে মরবো(সুন্দরী) দুঃখ ভালবেসে প্রেমের খেলা (জন্ম থেকে জ্বলছি) জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো ( !!) তুমি যদি সুখী হও আমি চলে গেলে (বড় বাড়ির মেয়ে) যদি গো তার দেখা পাইতাম---------( বড় বাড়ির মেয়ে) জনম জমম ধরে প্রেম পিয়াসী-------(দেবদাস) ভালবেসে গেলাম শুধু ---------(কেউ কারো নয়) শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে (রাজলক্ষী শ্রীকান্ত) মনটা ছিল পথে পড়ে ----(চিৎকার) ও সাথী রে ,তুমি আছো তুমি রবে(যন্তর মন্তর) কত যে ফাগুন গেল গুনে দেখিনি (চেনামুখ) আমার মনের ভিতর অনেক জ্বালা (প্রেমিক) জীবন মানে যন্ত্রণা-------(এখনই সময়) মরিব মরিব আমি দাও গো বিদায়(বড় বাড়ির মেয়ে) আহা চোখের লজ্জা (চন্দ্রনাথ) প্রেম মুরতী ঘনশ্যাম(চন্দ্রনাথ) এই দিন চিরদিন জীবনে ( স্ত্রী) এ সুখের নেই কোন ঠিকানা (স্বামী-স্ত্রী) আমার সকল চাওয়া তোমাকে ঘিরে (বিরাজ বউ) আমাকে দেখো না এমন করে (মিস লংকা) তুমি যে আমার ভালবাসা (বিসর্জন) শুনাবো কি গান ( বিসর্জন) কারো আপন হইতে পারলিনা অন্তর(প্রেম নগর) কতদিন দেখিনি তোমারে (শাস্তি) অন্তর আমার করলাম নোঙর (নাগর দোলা) এই মন তোমাকে দিলাম (মানসী) আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত (রজনী গন্ধা) তোমারই পরশে জীবন আমার (অংশিদার) এই নিরিবিলি হাওয়ায় (পরিচয়) একটি ফোটা ফুল একটি শিশির কণা (চাষীর মেয়ে) ডাকে বারেবারে কে আমারে (শিরী ফরহাদ) রাগের পরে অনুরাগ (পায়ে চলার পথ) আমি শুধুই তোমারই জন্য------????????? আশায় আশায় দিন কেটে যায়-----???? তুমি আমার জীবন তুমি আমার মরন---?????? কি যে করি (কি যে করি) রংধনু ছড়িয়ে চেতনার আকাশে (বসুন্ধরা) আমি তো কেবলই এক সাধারন (কাজল লতা) মন তুই দেখলিনা রে (আগুনের আলো) আমি ধন্য হয়েছি ওগো (সোনা বউ) এ আকাশ কে সাক্ষী রেখে (সোহাগ) ফুল আছে কাঁটা আছে (লাভ ইন সিঙ্গাপুর) কিছু বলতে আমার বড় সাধ হয় (দেনা পাওনা) জানি জানি সুখ পাখী তো দেয়না (জীবন সাথী) দিওনা এ মন দিওনা (আলতাবানু) মওসম রঙ্গীলা সোনালী (তালাশ) যেওনা সাথী--(দুরদেশ) দয়াল তোমার নামের তরী(মাটির মায়া) ও আমার মন কান্দে (নাগর দোলা) মন যা বলে মুখে আমি (বধু বিদায়) এ সময় মায়া মায়া (দরশন) ভালবেসে ভুল করেছি (ভাত দে) চোখে চোখ রেখোনা ভয় পাবে হৃদয় (সময় অসময়) কাছে থেকেও দুরে (সোহাগ) সে যে কেন এলোনা (রংবাজ) ও পাখী তোর যন্ত্রনা (অতিথি) ওরে ও দুষ্টু কোকিলা (হারানো মানিক) ওরে ও জান রে (জীবন নৌকা) তুমি কি এখন আমারই কথা ভাবছো(জীবন নৌকা) মন দিলাম প্রান দিলাম (নূরী) আজ আমার বাঁচতে যে সাধ হয় (মনিহার) সুর ভরা এই প্রানের মেলায় (আওয়ারা) গাগরী বরনে যাবনা যাবনা (রাজলক্ষী শ্রীকান্ত) খুশীতে নাচে মন (বৌরানী) যখন আমি ছোট্ট ছিলাম (জবাব) আধখানা চাঁদ ঐ আকাশে (ভাঙ্গাগড়া) আধি আধি রাত (যন্তর মন্তর) ভালবাসা ভুল (স্বামীর সোহাগ) তুমি ছিলে তুমি রবে (মা ও ছেলে) তোমাকে ভালবেসে (মা ও ছেলে) বাজুবন্ধ খুলে খুলে যায় (রাজাসাহেব) আমি যে খুজি তারে (সম্রাট) কত নিঝুম রাতের (নাচের পুতুল) মান অভিমান সে তো হৃদয়ের টান (সুখে থাকো) হৃদয়ে আকা যে ছবি (দুটি মন দুটি আশা) ও গো চাঁদ তুমি কি জান না (ইয়ে করে বিয়ে) নিজের চোখে নিজে আমি (অসাধারণ) স্মৃতি কেন কাঁদায় (স্বামী) আশা ছিল মনে মনে (একই অঙ্গে এত রুপ) বুকেরই ভিতরে রাখিব তোমারে (আমানত) অন্তর জ্বালাইলা (মালাবদল) ভালবাসার মনিহারে (অগ্নিকন্যা) যখন আমার ডাক শুনবে (কা-পুরুষ) ও নদীরে আমি নালিশ জানাই (অভিমান) ভালবেসে যদি অপরাধ করে (প্রিয়তমা) বাদী হল নর্তকী (আনারকলি) চোখে চোখ রেখো না (প্রেম বন্ধন) পাখী তুই বলনা--- ???? আমি যদি হারিয়ে যাই একই শোনালে আমায় (অবুঝ মন) যে কথা নীরবে ভাষা খোজে (ভালমানুষ) পৃথিবী ঘুমিয়ে আছে (কাবিন) নীড় ভাঙা মন (দুটি মন দুটি আশা) ভীরু পায়ে এলো ভালবাসা (অনির্বান) আমি তোমার গানের পাখি (অলংকার) আমি তো শিল্পী নই (অলংকার) ------------------------------------------------------------------

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.