আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীন, সিটিসেল, একটেল বাতিল হল না অথচ বেসরকারি পাঁচটি ল্যান্ডফোন কম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হল কেন?



অবৈধ ভিওআইপির কারণে গ্রামীন, সিটিসেল, একটেল বাতিল হল না অথচ বেসরকারি পাঁচটি দেশীয় ল্যান্ডফোন েকামম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হল কেন? শুনেছ এ সকল বিদেশী কোম্পানির অর্থে মেশিন ফিট করেছে বিটিআরসি ভিওআইপি ধরার জন্য। চোরের কাছে মুরগি বাগা আর কি? বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ পেয়েছে... কিছু বক্তব্য আছে কি? বেসরকারি পাঁচটি ল্যান্ডফোন কম্পানির লাইসেন্স বাতিল http://www.kalerkantho.com/ দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি বেসরকারি ল্যান্ডফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান র‌্যাংকসটেল, ঢাকা ফোন, ওয়ার্ল্ডটেল, পিপলসটেল ও ন্যাশনাল টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি। এ-সংক্রান্ত চিঠি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসায় জড়িত এসব প্রতিষ্ঠানে গত মার্চের শেষ দিকে র‌্যাবের সহযোগিতায় বিটিআরসি অভিযান চালায়। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর টেলিফোন সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বিটিআরসির পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে র‌্যাংকসটেল উচ্চ আদালতে মামলা করলে গত মঙ্গলবার আদালত এ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। অবশ্য এর এক দিন আগেই গত সোমবার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। আদালতের নির্দেশনা লাইসেন্স বাতিলের বিপক্ষে নয়_এ খবর পাওয়ার পর বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ গতকাল দীর্ঘ সময় বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, 'আমরা কিছুক্ষণ আগেই লাইসেন্স বাতিলের চিঠি চূড়ান্ত করেছি। ' আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা আদালতের রায়ের কথা শুনেছি, কিন্তু এখনো অনুলিপি পাইনি।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ' বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন, র‌্যাংকসটেলের লাইসেন্স বাতিল করা হলে সেখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। ছয় মাস বা র‌্যাংকসটেলের ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিটিআরসির বৈঠকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিলের পর প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করার নেতিবাচক দিকগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, এ বেসরকারি ল্যান্ডফোন প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসান দিচ্ছে।

সেখানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হলেই কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। তা ছাড়া আদালত শুধু র‌্যাংকসটেলের জন্য এ ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বৈঠকে আরো বলা হয়, দেশে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনে প্রশাসক নিয়োগের বিধান নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অধ্যাদেশে এ বিধান ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। বিটিআরসির তালিকায় সচল রয়েছে এমন ল্যান্ডফোন কম্পানির সংখ্যা ১২।

সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ছিল আলোচিত পাঁচটি কম্পানির। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার পর বেসরকারি ল্যান্ডফোন খাতের অবস্থা কী হতে পারে_প্রশ্ন করা হলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, 'ভিওআইপির অবৈধ কারবারসহ কোনো পিএসটিএন (ল্যান্ডফোন) অপারেটর থাকার দরকার নেই। এরা লোকসানের কথা বলে সরকারকে রাজস্ব দেয় না, লাইসেন্স নবায়ন ফি দেয় না। এসব অসৎ প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই। ' চেয়ারম্যান জানান, যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর অসৎ কর্মকাণ্ডের অনেক তথ্য-প্রমাণ বিটিআরসির কাছে রয়েছে।

দুটি প্রতিষ্ঠানকে এর আগেও ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসার জন্য জরিমানা করা হয়; কিন্তু তারা ওই পথ থেকে সরে আসেনি। ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে গত ১৫ মার্চ ঢাকা ফোন এবং ১৯ মার্চ র‌্যাংকসটেলের সুইচ রুম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা ফোন ও র‌্যাংকসটেলের মালিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এরপর একই অপরাধে গত ১৭ মার্চ ওয়ার্ল্ডটেল এবং ২১ মার্চ পিপলসটেলের সুইচ রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ বন্ধ করা হয় ন্যাশনাল টেলিকমের কার্যক্রম।

এসব অপারেটরের হিসাব অনুযায়ী অবৈধ ভিওআইপির কারণে গ্রামীন, সিটিসেল, একটেল বাতিল হল না অথচ বেসরকারি পাঁচটি দেশীয় ল্যান্ডফোন েকামম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হল কেন? শুনেছ এ সকল বিদেশী কোম্পানির অর্থে মেশিন ফিট করেছে বিটিআরসি ভিওআইপি ধরার জন্য। চোরের কাছে মুরগি বাগা আর কি? বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ পেয়েছে... কিছু বক্তব্য আছে কি? বেসরকারি পাঁচটি ল্যান্ডফোন কম্পানির লাইসেন্স বাতিল http://www.kalerkantho.com/ দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি বেসরকারি ল্যান্ডফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান র‌্যাংকসটেল, ঢাকা ফোন, ওয়ার্ল্ডটেল, পিপলসটেল ও ন্যাশনাল টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি। এ-সংক্রান্ত চিঠি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসায় জড়িত এসব প্রতিষ্ঠানে গত মার্চের শেষ দিকে র‌্যাবের সহযোগিতায় বিটিআরসি অভিযান চালায়। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর টেলিফোন সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বিটিআরসির পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে র‌্যাংকসটেল উচ্চ আদালতে মামলা করলে গত মঙ্গলবার আদালত এ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। অবশ্য এর এক দিন আগেই গত সোমবার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। আদালতের নির্দেশনা লাইসেন্স বাতিলের বিপক্ষে নয়_এ খবর পাওয়ার পর বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ গতকাল দীর্ঘ সময় বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, 'আমরা কিছুক্ষণ আগেই লাইসেন্স বাতিলের চিঠি চূড়ান্ত করেছি। ' আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা আদালতের রায়ের কথা শুনেছি, কিন্তু এখনো অনুলিপি পাইনি।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ' বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন, র‌্যাংকসটেলের লাইসেন্স বাতিল করা হলে সেখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। ছয় মাস বা র‌্যাংকসটেলের ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিটিআরসির বৈঠকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিলের পর প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করার নেতিবাচক দিকগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, এ বেসরকারি ল্যান্ডফোন প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসান দিচ্ছে।

সেখানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হলেই কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। তা ছাড়া আদালত শুধু র‌্যাংকসটেলের জন্য এ ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বৈঠকে আরো বলা হয়, দেশে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনে প্রশাসক নিয়োগের বিধান নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অধ্যাদেশে এ বিধান ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। বিটিআরসির তালিকায় সচল রয়েছে এমন ল্যান্ডফোন কম্পানির সংখ্যা ১২।

সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ছিল আলোচিত পাঁচটি কম্পানির। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার পর বেসরকারি ল্যান্ডফোন খাতের অবস্থা কী হতে পারে_প্রশ্ন করা হলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, 'ভিওআইপির অবৈধ কারবারসহ কোনো পিএসটিএন (ল্যান্ডফোন) অপারেটর থাকার দরকার নেই। এরা লোকসানের কথা বলে সরকারকে রাজস্ব দেয় না, লাইসেন্স নবায়ন ফি দেয় না। এসব অসৎ প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই। ' চেয়ারম্যান জানান, যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর অসৎ কর্মকাণ্ডের অনেক তথ্য-প্রমাণ বিটিআরসির কাছে রয়েছে।

দুটি প্রতিষ্ঠানকে এর আগেও ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসার জন্য জরিমানা করা হয়; কিন্তু তারা ওই পথ থেকে সরে আসেনি। ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে গত ১৫ মার্চ ঢাকা ফোন এবং ১৯ মার্চ র‌্যাংকসটেলের সুইচ রুম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা ফোন ও র‌্যাংকসটেলের মালিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এরপর একই অপরাধে গত ১৭ মার্চ ওয়ার্ল্ডটেল এবং ২১ মার্চ পিপলসটেলের সুইচ রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ বন্ধ করা হয় ন্যাশনাল টেলিকমের কার্যক্রম।

এসব অপারেটরের হিসাব অনুযায়ী

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.