আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইপিএস ও আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থ!!!!!!

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

একদিন বাসায় পৌছে দেখি যে আম্মা একটি আইপিএস কিনে ফেলেছেন। আই পি এস নামক বস্তুটি কখনো আমার পছন্দনীয় ছিল না। কারন আইপিএস বিদ্যুৎ উৎপাদন করে না, গ্রীডের বিদ্যুৎ ধরে রাখে, যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন সেই জমানো বিদ্যুৎ থেকে সাপ্লাই দেয়। আমাদের দেশে এখন আইপিএস ব্যবসার রমরমা অবস্থা। বিদ্যুৎ বিভাগের বদান্যতায় ঘরে ঘরে আইপিএস প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই হয়ত কয়েক লাখ আইপিএস রয়েছে। সেদিন মনে মনে একটি হিসেব করলাম। গড়ে প্রতিটি বাড়িতে অন্তত ১টি আইপিএস রয়েছে। আমি উত্তরায় থাকি। আমাদের রোডে প্রায় ১০০টি বাড়ি রয়েছে।

আমাদের সেক্টরে ২০টির বেশী রোড রয়েছে। তার মানে আমাদের সেক্টরে ২০০০টি বাড়ি রয়েছে। তাহলে উত্তরায় মোট ১৪টি সেক্টরে ২৮০০০ বাড়ি থাকার কথা। একটু কমিয়ে ধরে নিলাম ১৫০০০ বাড়ি আছে। তাহলে প্রতিটি বাড়িতে যদি ১ কিলোওয়াটের আইপিএস থেকে থাকে তাহলে শুধু উত্তরাতেই ১৫০০০ কিলো ওয়াটের আইপিএস আছে।

উত্তরাটি আয়তনে পুরো ঢাকা শহরের ১০ ভাগের ১ ভাগ হবে কিনা জানিনা তবে শুধু উত্তরাতেই যদি ১৫০০০ আইপিএস থাকে তাহলে গুলশান, বনানী, ডিওএইচএস, ধানমন্ডি, রামপুরা, মালিবাগ, মিরপুর ইত্যাদি মিলিয়ে কমপক্ষে (১৫০০০ গুন ৫)= ৭৫ হাজার আইপিএস আছে। প্রতিটি আইপিএস যদি দিনে ২ বার ফুল চার্জ হয় বা ফুল সার্ভিস দেয় (যদিও এখন দিনে ৭-৮বার কারেন্ট যায় তবুও একটু কম করে ধরলাম) তাহলে প্রতিটি আইপিএস দিনে পাওয়ার গ্রীড থেকে ২কিলোওয়াট বিদ্যুৎ নেয়। তাহেলে ৭৫ হাজার আইপিএস দিনে দের লাখ কিলোওয়াট = ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যূৎ খরচ করে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ঢাকা শহরে আইপিএস না থাকলে সরবরাহ লাইনে আরো ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশী থাকত। আমি সাধারন আইপিএস হিসেব করেছি।

অনেক জাম্বো আইপিএস আছে যা দিয়ে ফ্রীজ, টিভি, এসি ইত্যাদিও চালানো যায়। যারা এখনো আমার লেখার মূল বক্তব্য বুঝতে পরেননি তাদের জন্য বলছি, মূল কথা হচ্ছে এক শ্রেনীর মানুষ আইপিএস দিয়ে বিদ্যুৎ ধরে রেখে আরম করে যাচ্ছে আর যাদের আইপিএস কেনার সামর্থ নেই তারা গরমে কস্ট করছে। আসলে গরীব মানুষ খুবই কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, হয়ত একটি লাইট ও একটি ফ্যান, কিন্তু সেই কম বিদ্যুৎ টিও তারা এখন পায় না অপর পক্ষে ধনীরা বিদ্যুৎ মজুত করে রেখে এসি পর্যন্ত ব্যবহার করে যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.